শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মরণ

বিজয়ের পথ—১৪

চূড়ান্ত পরাজয়ের আগে বুদ্ধিজীবী হত্যা

মুক্তিযুদ্ধে বিজয় এসেছিল কঠিন পথে; অসংখ্য মানুষের ত্যাগে ও সংগ্রামে, নানা রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও সামরিক উদ্যোগে। গুরুত্বপূর্ণ সেসব ঘটনা নিয়ে এ আয়োজন।

চূড়ান্ত পরাজয়ের আগে বুদ্ধিজীবী হত্যা

বুদ্ধিজীবীদের ব্যবহার্য সামগ্রী

একটু থমকে দাঁড়াই। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের এই ঘরটিতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিস্মারক রয়েছে। ঘরটি ছোট, কিন্তু মনে হয়, এ যেন ইতিহাসের ব্যাপ্তি নিয়ে হাজির হয়েছে চোখের সামনে।

বুদ্ধিজীবীদের ব্যবহার্য সামগ্রী

ললিত কুমার বল

প্রবীণ আইনজীবী রায় সাহেব ললিত কুমার বল সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন না। তবে সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছিলেন

ললিত কুমার বল

সিরাজ উদ্দিন আহমেদ

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী রাজাকারদের নিয়ে মার্চ ও এপ্রিলজুড়ে মেহেরপুর শহরে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। গ্রামের পর গ্রাম তারা জ্বালিয়ে দেয়। ৩০ এপ্রিল নজরুল ও আনোয়ারুল দুই ভাইকে ছাড়াও মেহেরপুর সদরের ...

সিরাজ উদ্দিন আহমেদ

জ্ঞানেন্দ্রলাল চৌধুরী

একাত্তরের ২১ মে সকাল। কক্সবাজার শহরের লালদিঘির পাড়ে নিজ বাড়ি ‘আনন্দ ভবন’ থেকে আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন আইনজীবী জ্ঞানেন্দ্রলাল চৌধুরী। হঠাৎ একদল রাজাকার বাড়ি ঘেরাও করে অস্ত্রের মুখে তাঁকে ...

জ্ঞানেন্দ্রলাল চৌধুরী
বিজ্ঞাপন

মন্মথ নাথ রায়

নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক মন্মথ নাথ রায় রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুনে তিনি মুক্তিযুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ হন। তাঁর ছাত্র ও তরুণদেরও সংগঠিত করতে থাকেন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ...

মন্মথ নাথ রায়

মির্জা মাহাতাব বেগ

‘তিনি সৈয়দপুর শহরে এসেছিলেন অবরুদ্ধ বাঙালিদের উদ্ধার করতে। তখন সকাল সাড়ে ১০টা। শুরু হয় তুমুল প্রতিরোধযুদ্ধ। এ সময় একটি তপ্ত বুলেট বিদ্ধ হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা মাহাতাব বেগের তলপেটে।’

মির্জা মাহাতাব বেগ

শুধাংশু মোহন সাহা

টাঙ্গাইলের মোহনপুর উপজেলা সদর থেকে ১২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে চাপরি গ্রাম। ভেতর দিয়ে বয়ে গেছে বংশাই নদ। একাত্তরে গ্রামের মানুষ প্রায়ই বংশাইয়ের স্রোতে ক্ষতবিক্ষত লাশ ভেসে যেতে দেখতেন। মে মাসের এক ...

শুধাংশু মোহন সাহা

নুরুল আবসার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর

হানাদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিরীহ বাঙালিদের গণহত্যা শুরুর দিন থেকেই কার্যত গৃহবন্দী ছিলেন চিকিৎসক লে. কর্নেল নুরুল আবসার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। পাঁচ দিন পর ৩০ মার্চ তাঁকে বাসা তুলে নিয়ে গিয়ে ফায়ারিং ...

নুরুল আবসার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর

মধুসূদন ধর

একাত্তরের ১৬ মে দুপুরের কথা। গৌরীপুরের শালীহর গ্রামের কাঁচা রাস্তা দিয়ে মুক্তিকামী এক শিক্ষককে পাকিস্তানি হানাদার সেনারা ধরে নিয়ে যাচ্ছিল। রাস্তার দুপাশে বিস্তৃত লোকালয় থেকে অনেক নির্বাক মানুষ সে ...

মধুসূদন ধর

আবদুল মান্নান মোল্লা

ওষুধ কিনতে গ্রাম থেকে গোপালগঞ্জ শহরে গিয়েছিলেন চিকিৎসক আবদুল মান্নান মোল্লা। মুসলিম লীগ আর শান্তি কমিটির লোকজন লঞ্চঘাট থেকে তাঁকে ধরে তুলে দেয় পাকিস্তানি হানাদার সেনাদের হাতে। টানা তিন দিন অমানুষিক ...

আবদুল মান্নান মোল্লা

হোসেন আহমেদ

সদালাপী ও মানবতাবাদী একজন চিকিৎসক ছিলেন শহীদ হোসেন আহমেদ। আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা করার সময় তাঁকে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার সেনারা। দেশ শত্রুমুক্ত হওয়ার মাত্র ১৮ দিন আগে একাত্তরের ২৮ ...

হোসেন আহমেদ
বিজ্ঞাপন

কাজী মোহাম্মদ মসরুর আহমেদ

একাত্তরের মার্চ, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পর সারা দেশ উত্তাল। সাতক্ষীরার মুক্তিকামী বাঙালিরা প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের জন্য। গোপনে প্রশিক্ষণ নিতে থাকেন অনেকেই। তাঁদের সহায়তা করছিলেন আইনজীবী ...

কাজী মোহাম্মদ মসরুর আহমেদ

অতুল চন্দ্র কর্মকার

মুক্তিযুদ্ধের সময় বরিশাল ব্রজমোহন (বিএম) স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক ছিলেন অতুল চন্দ্র কর্মকার। পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন শহরের নতুন বাজার এলাকায়। রাজনীতিসচেতন ও সংস্কৃতিমনা মানুষ ছিলেন। দেশের প্রতি ছিল ...

অতুল চন্দ্র কর্মকার

শ্রী অখিল চন্দ্র সেন

পরোপকারী, সদালাপী স্বভাবের মানুষ ছিলেন আইনজীবী শ্রী অখিল চন্দ্র সেন। পাকিস্তানপন্থী মুসলিম লীগের চিহ্নিত কয়েকজন নেতা ও রাজাকার একাত্তরের ৭ আগস্ট রাত ১১টার দিকে নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া এলাকার বাসা ...

শ্রী অখিল চন্দ্র সেন
বিজ্ঞাপন