দিনাজপুর

মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা

দিনাজপুর জেলার উপজেলা সমূহ: নবাবগঞ্জ, বীরগঞ্জ উপজেলা, ঘোড়াঘাট, বিরামপুর, পার্বতীপুর উপজেলা, বোচাগঞ্জ উপজেলা, কাহারোল উপজেলা, ফুলবাড়ী উপজেলা, দিনাজপুর সদর, হাকিমপুর উপজেলা, খানসামা, বিরল উপজেলা, ...

২৭ নভেম্বর ১৯৭১

দিনাজপুর অঞ্চলের হিলিতে পাকিস্তানি বাহিনীর শক্ত ঘাঁটি মুক্ত করার জন্য মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনীর সমন্বিত আক্রমণ ২৭ নভেম্বর তীব্র আকার ধারণ করে। হিলিতে তীব্র লড়াই হয়।

একাত্তরের এপ্রিলের প্রথম ভাগে রাজশাহীসহ আশপাশের উপজেলা শহরগুলোতে অবস্থান নেয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তাদের উপস্থিতি, বন্দুকের গুলি আর বুটের শব্দে আতঙ্কিত মানুষ তখন ছুটছিল নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে। ...

এই লেখাটিতে বর্তমান বাংলাদেশ যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ তার দুঃখগুলো বিবেচনা করব। এই বিচার কাজটিতে আমি সমঙ্ূর্ণ নিরপেক্ষ ও নিরাসক্ত দৃষ্টিতে সংশ্লিষ্ট ঘটনাগুলো যথাসম্ভব সংক্ষেপে বর্ণনা করব। সংক্ষেপে ...

১৯৭১ সালে পাকিস্তানি দখলদার ও তাদের এ দেশীয় সহযোগীদের নির্যাতনের শিকার হন বাংলাদেশের লাখ লাখ নারী। সেই নির্যাতনের ফসল ‘যুদ্ধশিশু’দের ওপর গবেষণা করতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি লেখক ও গবেষক ড. ...

নয়টা মাস মা-বাবাসহ আমরা কেউ ঠিকমতো ঘুমাতে পারিনি। রাত ফুরালেই সকাল থেকে আসা শুরু হতো খানসেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের নিহত হওয়ার খবর। প্রতিদিন সকাল হতেই আতঙ্কে থাকতাম আমি। এই বুঝি খবর পাব, ...

১ এপ্রিল মেহেরপুর মহকুমার পতন ঘটলে আমরা পালিয়ে পিরোজপুরে চলে যাই। কিন্তু সেখানে গিয়ে আমাদের থাকা-খাওয়ার খুব অসুবিধা হতে লাগল। এই অবস্থায় আমরা সাত ভাইবোন এবং আব্বা-আম্মা সবাই বেশ মুশকিলে পড়ে গেলাম।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে এক পরিবারের তিন সহোদরসহ মামাতো ভাইকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে একসাথে হত্যা করে গণকবর দেওয়া হয়। জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি নওদা (প্রয়াগপুর) গ্রামে একটি পরিবারে বর্বরোচিত এই হত্যাকাণ্ড ...

প্রবন্ধ

স্বাধীনতাযুদ্ধের নয় মাস ধরে মুক্তিবাহিনীর অবিশ্রান্ত ছোট-বড় আক্রমণ এবং স্থানীয় জনসাধারণের সর্বাত্মক অসহযোগিতার ফলে হানাদার বাহিনী দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়ে পড়ছিল। চূড়ান্ত পরাজয় ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র।

‘মা, আমি একজন ডাক্তার। ইপিআরের দেড় শ আহত সদস্য হাসপাতালে। তাঁদের রেখে কীভাবে যাব? কেউ আমার ক্ষতি করবে না, ডাক্তারদের কোনো শত্রু থাকে না।

‘তিনি সৈয়দপুর শহরে এসেছিলেন অবরুদ্ধ বাঙালিদের উদ্ধার করতে। তখন সকাল সাড়ে ১০টা। শুরু হয় তুমুল প্রতিরোধযুদ্ধ। এ সময় একটি তপ্ত বুলেট বিদ্ধ হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা মাহাতাব বেগের তলপেটে।’

চট্টগ্রামের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) আবাসিক এলাকার বাসায় থাকতেন চিকিৎসক লেফটেন্যান্ট কর্নেল বদিউল আলম চৌধুরী। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগে তিনি কর্মরত ছিলেন করাচি ও লাহোরে। চট্টগ্রাম সিএমএইচে ...

শাহ মোহাম্মদ সোলায়মান ছিলেন রংপুর কারমাইকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি ক্যাম্পাসে থাকা অনিরাপদ ভেবে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে দিনাজপুরে চলে যান। সেখানেও প্রাণসংশয় দেখা দেয়। অবশেষে ...

‘“আমি যদি শহর ছেড়ে পালিয়ে যাই, তাহলে এ শহরের বাঙালিরা ঝুঁকিতে পড়বে।” অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে এ কথা বলেছিলেন আমার বাবা।’ চোখ ছলছল করছিল অধ্যাপক সাখাওয়াৎ হোসেনের। বাবা শহীদ চিকিৎসক শামসুল হকের স্মৃতিচারণা ...