তখনো ভোরের কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের আলো ছড়ায়নি। এলাকার মানুষ ডুবে আছেন ঘুমে। কুখ্যাত রাজাকার কছিম উদ্দীনের তথ্যের ভিত্তিতে ভাটপাড়া ক্যাম্প থেকে পাকিস্তানি হানাদারদের এক বিশাল বাহিনী ঢোকে মেহেরপুরের ...
প্রতিভাবান তরুণ ছিলেন মেহেরপুরের আবদুল হামিদ। যেমন ভালো অভিনয় করতেন, তেমনি সুনাম কুড়িয়ে ছিলেন খেলাধুলায়। তবে তাঁর প্রতিভা বিকাশের সুযোগ দেয়নি রাজাকাররা। মুক্তিযুদ্ধের সময় আজকের এই দিন ৩ ডিসেম্বরে ...
ভারতের শিকারপুরে প্রশিক্ষণ শেষে ৩১ জন মুক্তিযোদ্ধা মেহেরপুরের মুজিবনগরের জয়পুর গ্রামে সমবেত হন। তাঁদের পরিকল্পনা ছিল পাশের নাটুদহ গ্রামে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে অভিযান চালানো।
পাকিস্তানি বর্বর হানাদার বাহিনীর নিষ্ঠুর পৈশাচিক তাণ্ডবে একাত্তরে সীমান্তবর্তী মেহেরপুর জেলার বামুন্দী এলাকার গ্রামগুলো ছিল বিপর্যস্ত। বহু মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতের নদীয়ার করিমপুর ও শিকারপুরে ...
বিকেল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল সেদিন। বাড়ির উঠানে পানি জমেছে। ঘর থেকে সদর দরজা পর্যন্ত একটি একটি করে ইট বিছানো। রাত তখন নয়টা। মেহেরপুরের সাহারবাটি গ্রামে উজির আলী মালিথ্যা রাতের খাবার খেয়ে জানালায় ...
আগারগাঁওয়ে নতুন ভবন, আজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
অস্ত্র হাতে গেরিলা মুক্তিযোদ্ধারা যাচ্ছেন অভিযানে। কখনো গাদাগাদি করে তাঁরা ঘুমাচ্ছেন এক কক্ষে। চোখের সামনে মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহৃত পোশাক আর অস্ত্র। একাত্তরের এমন ছবি মনে শিহরণ জাগাবে।
প্রতিষ্ঠার ২১ বছর পর নিজস্ব ভবনে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। নতুন ঠিকানা এফ-১১/এ-বি, সিভিক সেক্টর, আগারগাঁও, ঢাকা। শুধু নতুন ভবনই নয়, এটির পরিসরও বাড়ছে। যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন নিদর্শন।
একাত্তরের মার্চ-এপ্রিল মাসজুড়ে মেহেরপুরের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ে। শহরের আদালত প্রাঙ্গণে ছিল পাকিস্তানি হানাদার সেনাদের ক্যাম্প। সেখানে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিকামী ...
১৯৫৯ সালে আমি পূর্ব পাকিস্তান ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসে (ইপিআর) নিযুক্ত হই। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে আমাদের ক্যাম্পে যে খানসেনারা ছিল, তাদের আমরা মেরে ফেলি। আমি নিজে এয়াকুব খানকে গুলি করে মারি।
রাজশাহী বেতারের প্রকৌশলী মহসিন আলী অনুষ্ঠান উপস্থাপনার পাশাপাশি আবৃত্তিও করতেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি স্ত্রী-সন্তানদের রাজশাহী থেকে গ্রামের বাড়ি মেহেরপুরে নিয়ে আসেন।
সেদিন বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে দেশের মুক্তিসংগ্রাম পরিচালনায় যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, তা বাংলাদেশ এবং এ দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের স্বার্থেই নিয়েছিলাম।
১ এপ্রিল মেহেরপুর মহকুমার পতন ঘটলে আমরা পালিয়ে পিরোজপুরে চলে যাই। কিন্তু সেখানে গিয়ে আমাদের থাকা-খাওয়ার খুব অসুবিধা হতে লাগল। এই অবস্থায় আমরা সাত ভাইবোন এবং আব্বা-আম্মা সবাই বেশ মুশকিলে পড়ে গেলাম।
বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নিষ্ঠুর পৈশাচিক তাণ্ডবে সীমান্তবর্তী মেহেরপুর জেলার বামন্দী এলাকার গ্রামগুলো প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়েছিল। ঘাতকের দল বিভিন্ন গ্রাম থেকে মুক্তিকামী বাঙালিদের ধরে এনে ...