লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা

১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১

মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের অভ্যুদয়

দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি পায় কাঙ্ক্ষিত মুক্তিযুদ্ধে বহুপ্রত্যাশিত বিজয়। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে পূর্ববঙ্গের আপামর জনতা পৃথিবীর মানচিত্রে জন্ম দেয় ...

মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের অভ্যুদয়

৪ ডিসেম্বর ১৯৭১

নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠক

মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকতে ৪ ডিসেম্বর উদ্যোগ নেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রসহ আটটি দেশ জরুরি বৈঠক ডাকার জন্য অনুরোধ জানিয়ে পরিষদের ...

নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠক

বাংলাদেশ

বিজয় অভিযান

ভারতীয় গার্ডস রেজিমেন্টের নেতৃত্বে ৩১১তম মাউন্টেন ব্রিগেড কলামটি নরসিংদী-ডেমরা-তারাব সড়ক ধরে ঢাকার দিকে রওনা হয়। আমার ‘এস’ ফোর্স ও ৩ নম্বর সেক্টরের বাহিনীসহ নরসিংদী-ভুলতা-মুড়াপাড়ার পথ ধরে ...

বিজয় অভিযান

যৌথ বিজয়ের মুহূর্ত

১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১, বৃহস্পতিবার, বিকেল চারটা পঞ্চান্ন মিনিটে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় অধিনায়ক লে. জেনারেল এ এ কে নিয়াজি বাংলাদেশ-ভারত মিত্র বাহিনীর অধিনায়ক লে. ...

যৌথ বিজয়ের মুহূর্ত

ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবস

১৯৪১ সালের ৮ ডিসেম্বর জাপান ফিলিপিন্স আক্রমণ করে এবং নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধপূর্ব রণাঙ্গনে তখন জাপানের জয়জয়কার। ভারতবর্ষ ছাড়া এশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রায় পুরোটাই জাপানের ...

ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবস
বিজ্ঞাপন

বিজয়ের দিন

জনতা সেদিন উল্লাসে ফেটে পড়ে

১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবস উপলক্ষে ঢাকায় আন্তবাহিনীর কুচকাওয়াজ হওয়ার কথা ছিল। আমাকে তার প্যারেড কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি হঠাত্ খবর পেলাম, ওই প্যারেড বাতিল করা হয়েছে

জনতা সেদিন উল্লাসে ফেটে পড়ে

লে. জেনারেল জে এস অরোরার সাক্ষাত্কার

বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতীয় বাহিনী

১৯৭১ সালে লে. জেনারেল জগজিত্ সিং অরোরা ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ কমান্ডের প্রধান। ১৬ ডিসেম্বর তাঁর নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর কাছে ঢাকার তত্কালীন রমনা রেসকোর্সে পাকিস্তানি ...

বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতীয় বাহিনী

ভারত

টাঙ্গাইলে প্যারাড্রপ

হেলিকপ্টারগুলো যখন পূর্ব প্রান্তে ৪ নম্বর কোরের সৈন্য ও যুদ্ধের সাজসরঞ্জাম মেঘনা পার করে দিচ্ছে, সে সময়েই দেশের মধ্যভাগে সেনাবাহিনী আর বিমানবাহিনী মিলে আরেকটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে চলেছিল।

টাঙ্গাইলে প্যারাড্রপ

ভারত

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ

আমার প্রথম কাজ ছিল আমার নেতৃত্বাধীন সেনাদের যুদ্ধপরিস্থিতি সম্পর্কে জানানো। তাঁদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশ দেওয়া।

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ

নিয়াজির আর কোনো পথ ছিল না: অরোরা

১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বরের পর ভারতীয় দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকায় ভারত ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলের অধিনায়ক লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা ও লে. জেনারেল নিয়াজির সাক্ষাৎ​কারভিত্তিক দুটি প্রতিবেদন ...

নিয়াজির আর কোনো পথ ছিল না: অরোরা

যুদ্ধের প্রস্তুতি

৩ ডিসেম্বর ১৯৭১-এর বিকেলে আমি ছিলাম কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে, আমার কার্যালয়ে। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আমার ফোন বেজে উঠল। ফোনটা ছিল সেনাপ্রধান জেনারেল (পরে ফিল্ড মার্শাল) স্যাম মানেকশর। তিনি কথা বলছিলেন ...

যুদ্ধের প্রস্তুতি

লে. জেনারেল জে এফ আর জ্যাকব

এক অনন্য আত্মসমর্পণের কাহিনী

১৯৭১ সালের মার্চে পূর্ব পাকিস্তানের ওপর পশ্চিম পাকিস্তানের প্রবল দমন-পীড়ন শুরু হলে বিপুলসংখ্যক শরণার্থী পূর্ব পাকিস্তান থেকে ভারতে ঢুকতে থাকে, ফলে ভারত সরকার বেশ চিন্তিত হয়ে পড়ে।

এক অনন্য আত্মসমর্পণের কাহিনী
বিজ্ঞাপন

বিজয়ের সূর্যালোকে

১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১। অন্যান্য শীতের ভোরের মতো সেদিনও সূর্য উঠছিল গাঢ় কুয়াশা ভেদ করে। কিন্তু অতি স্বাভাবিক এই প্রাকৃতিক দৃশ্যটাই যেন প্রতীকী হয়ে উঠেছিল। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান ঘটতে যাচ্ছিল ...

বিজয়ের সূর্যালোকে

আত্মসমর্পণের দলিল

পূর্ব রণাঙ্গনে ভারতীয় ও বাংলাদেশি যৌথ বাহিনীর জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ইন চিফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে পাকিস্তান পূর্বাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ড বাংলাদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানের সব ...

আত্মসমর্পণের দলিল

স্মৃতি মিত্রপক্ষ

ঢাকার পতন

আমাদের ব্যবস্থা অনুযায়ী নিয়াজিকে ঢাকা এয়ারপোর্টে আমার আগমনের জন্য অপেক্ষা করতে বলা হলো এবং সেখানেই আত্মসমর্পণ কাগজে সই করার ব্যবস্থা করা হয়। আমি এই প্রস্তাবটি নাকচ করে দিলাম। আমি বললাম, এটি একটি ...

ঢাকার পতন
বিজ্ঞাপন