রাশিয়া

আয়তনে বিশ্বের বৃহত্তম দেশ রাশিয়া। দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ কানাডার চেয়ে এর আয়তন প্রায় দ্বিগুণ। পূর্ব ইউরোপ ও উত্তর এশিয়াজুড়ে রাশিয়া বিস্তৃত। দেশটির সরকারি নাম রুশ ফেডারেশন। রাজধানী মস্কো রাশিয়ার বৃহত্তম শহর। এটি দেশের প্রধান প্রশাসনিক, বাণিজ্যিক, শিল্প ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।

পৃথিবীর মোট আবাসযোগ্য জমির আট ভাগের এক ভাগ পড়েছে রাশিয়ায়। আয়তনের বিশালত্বের কারণে দেশটি নয়টি সময় অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। ২০১২ সালের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের নবম জনবহুল দেশ রাশিয়া। এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। বিশ্বের পারমাণবিক শক্তিধর শীর্ষ পাঁচটি দেশের অন্যতম এটি।

রাশিয়া একসময় সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে দেশটি। সাংবিধানিকভাবে বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক দেশ রাশিয়া।

রাশিয়ার সরকারব্যবস্থা বহুদলীয় গণতন্ত্র। জনগণের সরাসরি ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করা হয়। দেশটির পার্লামেন্টের নাম ডুমা। এটি উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ দুই ভাগে বিভক্ত। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় ভাষা রুশ। প্রায় ৮০ শতাংশ লোক এ ভাষায় কথা বলে। দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে রুশ ছাড়া আরও ২৭টি ভাষা প্রচলিত আছে। রাশিয়ার বেশির ভাগ মানুষ খ্রিষ্টান। মুসলমানেরা প্রধানত থাকেন ভলগা তাতারস, বশখিরস ও তাতার অঞ্চলে।

রাশিয়ার অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি প্রাকৃতিক সম্পদ। তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস ১৯৯৮ সালের অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে দেশটিকে সহায়তা করে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ‘গ্যাজপ্রম’ বিশ্বের সবচেয়ে বড় গ্যাস উত্পাদনকারী ও রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠান। ইউরোপের ক্রমবর্ধমান গ্যাস চাহিদা মিটিয়ে চলেছে গ্যাজপ্রম। দেশটির মুদ্রার নাম রুবল। রাশিয়া শীতপ্রধান দেশ। দেশটি সারা বছর হিমশীতল আবহাওয়া থাকে।

৬ নভেম্বর ১৯৭১

জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সহায়তায় গঠিত জাতীয় উপদেষ্টা কমিটি ৬ নভেম্বর মুজিবনগরে দীর্ঘ বৈঠক করে। সেখানে তারা আবারও সিদ্ধান্ত নেয়, পাকিস্তানের কাঠামোয় বাংলাদেশের আর কোনো রফা হতে পারে না। বৈঠকে ...

জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক

পাকিস্তান

পরাজয়ের দিনগুলো

বেদনাময় হলেও বাংলার এই বিভাজন ছিল অনিবার্য। তা এড়ানো সম্ভব ছিল না। পূর্ববঙ্গের বেশির ভাগ মানুষকে পশ্চিম পাকস্তানিদের শত্রু বলে বোঝানো হয়েছে, আমাদের শাসকদের সময়মতো এ সত্য অনুধাবন করা উচিত ছিল। ...

পরাজয়ের দিনগুলো

একাত্তরের চিঠি

বাংলাদেশের পাশে বিশ্ববিবেক

ঢাকায় আলোচনা ভেঙে যাওয়ার খবর এবং পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের বিরুদ্ধে সামরিক প্রশাসনের চরম ব্যবস্থা গ্রহণ ও সশস্ত্র শক্তি প্রয়োগের খবর সোভিয়েত ইউনিয়নে গভীর আশঙ্কার সৃষ্টি করেছে।

বাংলাদেশের পাশে বিশ্ববিবেক

জাতিসংঘ

যুদ্ধের ছায়া-রণক্ষেত্র

মুক্তিযুদ্ধকালে স্নায়ুযুদ্ধে বিশ্ব ছিল বিভাজিত। এই বিভাজনের দুই পাশে পুঁজিবাদী যুক্তরাষ্ট্র ও সমাজতন্ত্রী সোভিয়েত ইউনিয়ন ছিল দুই বিপরীত আকাঙ্ক্ষা ও শক্তির প্রতিভূ। আর স্বতন্ত্র অভিলাষ নিয়ে কিছুটা ...

যুদ্ধের ছায়া-রণক্ষেত্র

ইয়াহিয়াকে নিকোলাই পদগোর্নির বার্তা

মাননীয় প্রেসিডেন্ট মহাশয়, ঢাকার আলোচনা ভেঙে যাওয়ার খবর এবং সামরিক প্রশাসন চূড়ান্ত ব্যবস্থা অবলম্বন প্রয়োজন মনে করে পূর্ব পাকিস্তানের জনসাধারণের বিরুদ্ধে সামরিক বলপ্রয়োগ করেছেন—এই মর্ম খবর সোভিয়েত ...

ইয়াহিয়াকে নিকোলাই পদগোর্নির বার্তা
বিজ্ঞাপন

রাশিয়ার প্রথম প্রকাশ্য ঘোষণা

ভারত সফররত সোভিয়েত সংসদীয় প্রতিনিধিদলের নেতা শ্রী ভি কুদরিয়াভেেসভ আজ এখানে বলেন, বাংলাদেশে যে সংগ্রাম চলছে, তা জাতীয় মুক্তি আন্দোলন এবং তার মধ্যে গৃহযুদ্ধের উপাদান রয়েছে।

রাশিয়ার প্রথম প্রকাশ্য ঘোষণা

৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭১

বাংলাদেশ সরকার ও টি এন কাউল সাক্ষাৎ

ভারত সরকারের পররাষ্ট্রসচিব টি এন কাউল ৭ সেপ্টেম্বর মুজিবনগরে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন। সকালে কলকাতার দমদম ...

বাংলাদেশ সরকার ও টি এন কাউল সাক্ষাৎ

নিউইয়র্ক টাইমস- এ প্রকাশিত প্রতিবেদন, ২৮ মার্চ ১৯৭১

৩৫ জন বিদেশি সাংবাদিক বহিষ্কার

ঢাকার একটি হোটেলে ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় আটকে রাখার পর সামরিক কতৃ‌র্পক্ষ ৩৫ জন বিদেশি সাংবাদিককে গতকাল (২৭ মার্চ, ১৯৭১) পূর্ব পাকিস্তান থেকে বের করে দিয়েছে।

৩৫ জন বিদেশি সাংবাদিক বহিষ্কার

এটি জাতীয় মুক্তিসংগ্রাম

এখানে এক বক্তৃতায় ‘বিদ্রোহী’ বা ‘বিদ্রোহী বাহিনী’ অভিধা দুটি ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু বিদ্রোহ এবং বিদ্রোহী বাহিনীর অস্তিত্ব কে নির্ণয় করেছে? এ বিষয়ে সঠিক ধারণা পেতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের ভাষ্য ...

এটি জাতীয় মুক্তিসংগ্রাম

১০ আগস্ট ১৯৭১

ইন্দিরা গান্ধী ও আন্দ্রে গ্রোমিকোর বৈঠক

ভারত সফররত সোভিয়েত ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রে গ্রোমিকো ১০ আগস্ট ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেন। আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সমস্যা নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়। বাংলাদেশের নেতা ...

ইন্দিরা গান্ধী ও আন্দ্রে গ্রোমিকোর বৈঠক

৯ আগস্ট ১৯৭১

ভারত-সোভিয়েত মৈত্রী চুক্তি সই

বাংলাদেশের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যে ৯ আগস্ট দিল্লিতে ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় এ ...

ভারত-সোভিয়েত মৈত্রী চুক্তি সই

৮ আগস্ট ১৯৭১

সোভিয়েত পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিল্লি সফরে

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে ঘিরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা এবং নতুন যুক্তরাষ্ট্র-চীন মৈত্রীর পটভূমিতে সোভিয়েত ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রে গ্রোমিকো ৮ আগস্ট দিল্লি সফরে আসেন।

সোভিয়েত পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিল্লি সফরে
বিজ্ঞাপন

৯ জুন ১৯৭১

সোভিয়েত সরকারের উদ্বেগ প্রকাশ

তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সি কোসিগিন ৯ জুন রাজধানী মস্কোতে বলেন, পূর্ব পাকিস্তান থেকে ভারতে আশ্রয় নেওয়া লাখ লাখ শরণার্থীকে তাদের স্বদেশে ফিরে যাওয়ার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে ...

সোভিয়েত সরকারের উদ্বেগ প্রকাশ

১৬ মে ১৯৭১

মাওলানা ভাসানীর চ্যালেঞ্জ ইয়াহিয়াকে

ভাসানীপন্থী ন্যাশনাল আওয়ামী পাটির (ন্যাপ) প্রধান মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানসহ বিশ্বের সব রাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, বাংলাদেশের মানুষের দাবি সম্পর্কে কারও ...

মাওলানা ভাসানীর চ্যালেঞ্জ ইয়াহিয়াকে
বিজ্ঞাপন