রাধানগর ছিল মুক্তিবাহিনীর ৫ নম্বর সেক্টরভুক্ত এলাকা। অক্টোবর পর্যন্ত এ এলাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা অবস্থানে মুক্তিবাহিনীর পক্ষে প্রথাগত আক্রমণ পরিচালনা সম্ভব হয়নি। এ সময় ৪ ও ৫ নম্বর ...
জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ছিলেন। এর অবস্থান ছিল চট্টগ্রামের ষোলশহরে। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী হত্যাযজ্ঞ শুরু করলে ওই ...
নভেম্বর মাস। আবদুল লতিফসহ মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র কাঁধে এগিয়ে যেতে থাকেন তাদের লক্ষ্যস্থল অভিমুখে। নিঃশব্দে সমবেত হন তাঁরা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অবস্থানের অদূরে। লক্ষ্য, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে আক্রমণ ...
মো. সানা উল্লাহ চাকরি করতেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর তৃতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে। ১৯৭১ সালের মার্চে সম্ভাব্য ভারতীয় আগ্রাসনের কথা বলে তৃতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বেশির ভাগ সদস্যকে সেনানিবাসের বাইরে ...
অন্ধকারে মুক্তিযোদ্ধারা নিঃশব্দে এগিয়ে যেতে থাকলেন গোয়াইনঘাটের উদ্দেশে। তাঁরা কয়েকটি দল। একটি দলে আছেন খন্দকার রেজানুর হোসেন। তিনি মেশিনগান প্লাটুনের সহ-মেশিনগান চালক। গোয়াইনঘাটে ছিল পাকিস্তানি ...
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি প্রথমে যুদ্ধ করেন দিনাজপুর এলাকায়। পরে জেড ফোর্সের অধীনে যুদ্ধ করেন জামালপুরের বাহাদুরাবাদ, সিলেটের গোয়াইনঘাট, রাধানগর ও ছাতকসহ আরও কয়েকটি জায়গায়। তিনি ছিলেন নিয়মিত ...
মো. আবদুল কুদ্দুসসহ একদল মুক্তিযোদ্ধা গোপনে এসেছেন বাংলাদেশের ভেতরে। তাঁদের অবস্থান ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে প্রায় ২৫ মাইল দূরে। একদিন রাতে তাঁরা গোপন অবস্থান থেকে বেরিয়ে পড়েন। পূর্বপরিকল্পনা ...
মধ্যরাতে মঞ্জুর আহমেদ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অবস্থানের কাছাকাছি তাঁর সহযোদ্ধাদের নিয়ে অবস্থান নেন। রাত শেষ হয়ে আসছে। এ সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাঁদের ওপর আকস্মিকভাবে হামলা করে। মুক্তিযোদ্ধারা ...
গভীর রাতে মুক্তিযোদ্ধাদের কয়েকটি দল একযোগে আক্রমণ চালায় দেওয়ানগঞ্জে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগীদের বিভিন্ন অবস্থানে। মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দলে আছেন আলী নেওয়াজ। তাঁরা আক্রমণ করলেন চিনিকল, থানা, ...
আবুল কালাম ১৯৭১ সালে কর্মরত ছিলেন দিনাজপুর ইপিআর সেক্টর হেডকোয়ার্টারে। কুঠিবাড়িতে ছিল তাঁদের হেডকোয়ার্টার। ২৬ মার্চ খুব ভোরে তাঁরা ঢাকার খবর পেয়ে যান। সে সময় সেক্টর হেডকোয়ার্টারে বাঙালি কোনো ...
আবদুল মজিদ ১৯৭১ সালে ছিলেন এসএসসি পরীক্ষার্থী। তাঁর বাড়ির পাশেই ছাতক (টেংরাটিলা) গ্যাসক্ষেত্র। এপ্রিলে ১২ জন পাকিস্তানি সেনা এই গ্যাসক্ষেত্র পাহারা দিতে আসে। এরপর আবদুল মজিদসহ কয়েকজন যুবক সীমান্ত ...
১৯৭১ সালের ২৬ নভেম্বর ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৫/৫ গোর্খা রেজিমেন্টের তিনটি কোম্পানি সিলেটের রাধানগরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অবস্থানে আক্রমণ করে। পাকিস্তানি সেনাদের পাল্টা আক্রমণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার ...
ভোর চারটার আগেই ভুলু মিয়া তাঁর দল নিয়ে অবস্থান নিলেন বাহাদুরাবাদ রেলঘাটের জংশন পয়েন্টে। তাঁরা কয়েকটি দলে একযোগে আক্রমণ করবেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বাহাদুরাবাদ ঘাট অবস্থানে। তাঁদের সবার নেতৃত্বে ...
সালুটিকর সিলেট জেলার অন্তর্গত। শহর থেকে সাত কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। নবাটিলার দক্ষিণ দিক ঘেঁষে বিমানঘাঁটি এলাকা। সালুটিকরে ছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর শক্ত এক প্রতিরক্ষাব্যূহ। মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত ...