চিকিৎসক

শাখাওয়াৎ হোসেন

যশোর সদর হাসপাতালে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন চিকিৎসক শাখাওয়াৎ হোসেন। পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের পদলেহী রাজাকারদের কাছে এটি ছিল মারাত্মক অপরাধ। হাসপাতাল চত্বরেই তাঁকে গুলি করে হত্যা করে ...

শাখাওয়াৎ হোসেন

প্রমথনাথ পাল

একাত্তরের ২৫ এপ্রিল সকাল ৯টা। পাকিস্তানি সেনারা নওগাঁর রানীনগর উপজেলার ছোট যমুনা–তীরবর্তী আতাইকুলা পালপাড়া গ্রামে পৈশাচিক হামলা চালায়। কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে পুরো গ্রাম ঘিরে ফেলে তারা। হানাদারেরা বাড়ি ...

প্রমথনাথ পাল

এস এম ইয়াকুব

বাড়িতে দুপুরে গোসল করছিলেন চিকিৎসক এস এম ইয়াকুব। সৈয়দপুর সেনানিবাস থেকে আসা একদল পাকিস্তানি হানাদার সেনা সেই অবস্থায় ভেজা শরীরেই তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। আর ফিরে আসেননি তিনি।

এস এম ইয়াকুব

নওশের আলী

ঈশ্বরদীর নওশের আলী পেশায় চিকিৎসক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি ৯ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। সেখানে তিনি আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা দিতেন। এ কারণে রাজাকাররা তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত ছিল।

নওশের আলী

করুণা কুমার চৌধুরী

করুণা কুমার চৌধুরী ছিলেন চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার জমিজুরির খ্যাতনামা এলএমএফ চিকিৎসক। বাড়িতেই ছিল তাঁর চেম্বারসহ বেশ বড় ডিসপেন্সারি। দূরদূরান্ত থেকে রোগীরা আসতেন। আবার প্রয়োজনে তিনি নিজেও সাইকেল ...

করুণা কুমার চৌধুরী
বিজ্ঞাপন

রামচন্দ্র তালুকদার

রামচন্দ্র তালুকদার ছিলেন পল্লিচিকিৎসক। রাজনীতি-সচেতন ও সহজ প্রাণের এই চিকিৎসক নেত্রকোনা সদর উপজেলার লক্ষ্মীগঞ্জ ইউনিয়নের বিরামপুর বাজারে একটি ওষুধের দোকানে বসে এলাকাবাসীকে চিকিৎসা দিতেন। এ ছাড়া ...

রামচন্দ্র তালুকদার

মনসুর রহমান সরকার

একাত্তরের এপ্রিলের প্রথম ভাগে রাজশাহীসহ আশপাশের উপজেলা শহরগুলোতে অবস্থান নেয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তাদের উপস্থিতি, বন্দুকের গুলি আর বুটের শব্দে আতঙ্কিত মানুষ তখন ছুটছিল নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে। ...

মনসুর রহমান সরকার

একাত্তরের গণহত্যা

একটি বাড়িতেই ব্রাশফায়ার করে ১৮ জনকে হত্যা

‘ভোররাতের কিছু আগে। অন্ধকার ফিকে হয়ে আসতে শুরু করেছে। লাইন দিয়ে গ্রামে ঢুকতে থাকে পাকিস্তানি বাহিনী। মেশিনগানের সাথে দুই চাকা দিয়ে টেনে আনে কামান। ভোরের আলো ফুটে ওঠার আগেই শুরু হয় গুলি।

একটি বাড়িতেই ব্রাশফায়ার করে ১৮ জনকে হত্যা

কোরবান আলী

কোরবান আলী ছিলেন একজন গুণী মানুষ। পেশায় ছিলেন চিকিৎসক। ফরিদপুর জেলা বোর্ডের স্বাস্থ্য বিভাগে চাকরি করেছেন। অর্থবিত্তের প্রতি লোভ ছিল না। সাধারণ জীবন যাপন করতেন। সর্বশেষ কর্মস্থল ফরিদপুরের বোয়ালমারী ...

কোরবান আলী

বজলুল হক

মুক্তিযুদ্ধের সময় ঘাতক পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও এই দেশের কিছু রাজাকার চিকিৎসক বজলুল হককে বলেছিল তাদের সঙ্গে হাত মেলাতে। কুখ্যাত শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল তাঁকে।

বজলুল হক

এম এ আজিজ সরকার

‘তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ শুনে দারুণভাবে উদ্বেলিত হয়েছিলেন চিকিৎসক এম এ আজিজ সরকার। তিনি নিজ বাসভবনে বাংকার খুঁড়ে দুর্গ গড়ে ...

এম এ আজিজ সরকার

আবদুল জব্বার

‘মা, আমি একজন ডাক্তার। ইপিআরের দেড় শ আহত সদস্য হাসপাতালে। তাঁদের রেখে কীভাবে যাব? কেউ আমার ক্ষতি করবে না, ডাক্তারদের কোনো শত্রু থাকে না।

আবদুল জব্বার
বিজ্ঞাপন

হেমচন্দ্র সেন

রাজনীতি–সচেতন ও সংস্কৃতিমান মানুষ ছিলেন হেম চন্দ্র সেন। পেশায় আইনজীবী, নেত্রকোনার নামকরা মোক্তার ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবার নিয়ে শহরের বাসা ছেড়ে অবস্থান করছিলেন এক আত্মীয়ের বাড়িতে।

হেমচন্দ্র সেন

এ বি এম হুমায়ুন কবীর

মেধাবী ছাত্র ছিলেন ডা. এ বি এম হুমায়ুন কবীর। শিল্পী ও সমাজসেবক হিসেবেও তাঁর পরিচিতি ছিল। ভালো গিটার বাজাতে পারতেন, নাটকে অভিনয় করতেন। এ ছাড়া স্কাউটিং ও বিনা মূল্যে সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবায় ছিল ...

এ বি এম হুমায়ুন কবীর

নইমুল ইসলাম

নির্বিরোধী, বন্ধুবৎসল ও স্নেহপরায়ণ ছিলেন ডা. নইমুল ইসলাম। চিকিৎসক হিসেবে তাঁর সুনাম ছিল। একাত্তরে কর্মরত ছিলেন গাজীপুর সমরাস্ত্র কারখানায়। থাকতেন সমরাস্ত্র কারখানার আবাসিক এলাকায়।

নইমুল ইসলাম
বিজ্ঞাপন