তীব্র শীত, অন্ধকার ও কুয়াশা উপেক্ষা করে একদল মুক্তিযোদ্ধা এগিয়ে চলেছেন। একটি উপদলের নেতৃত্বে আবদুল হালিম। নির্ধারিত সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা অবস্থানে শুরু হয় গোলাবর্ষণ। গোলা আসে পেছন ...
রাতে আবদুল মান্নানসহ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা রওনা হলেন তাদের লক্ষ্যস্থল অভিমুখে। সবার আগে একজন পথপ্রদর্শক। তাঁর পেছনে দলনেতা ও আবদুল মান্নান। তাঁদের পেছনে সহযোদ্ধারা। তাঁদের কাছে ভারী অস্ত্র মাত্র দুটি। ...
কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চৌদ্দগ্রাম। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চৌদ্দগ্রামের ওপর দিয়ে চলে গেছে। এ সড়কের কিছু অংশ সীমান্তের খুব কাছ ঘেঁষা। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এ সড়কে নিয়মিত টহল ...
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর থেকে পশ্চিম দিকে ২০ কিলোমিটার দূরে আশুগঞ্জ। মেঘনা নদীর তীরে। নদীর অপর তীরে ভৈরব বাজার। মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধারা মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় আক্রমণ করেন সেখানে। ...
নির্ধারিত সময়ে ভারত থেকে শুরু হয় দূরপাল্লার গোলাবর্ষণ। চারদিকের মাটি কেঁপে ওঠে। গোলাবর্ষণ শেষ হওয়া মাত্র সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম সহযোদ্ধাদের নিয়ে সাহসের সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়েন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ওপর। ...
১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের প্রথমার্ধ। শেখ দিদার আলীসহ একদল মুক্তিযোদ্ধা ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়ে কয়েক দিন আগে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসেন। তাঁদের অবস্থান কুষ্টিয়ার সদর উপজেলায় (তখন থানা) গোপন এক ...
মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়। মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল ছিল কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলায় (তখন থানা)। তাঁদের দলনেতা আফতাব উদ্দিন আহমেদ। তাঁর দলে শামসুদ্দীন আহমেদসহ মাত্র কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা। তাঁদের ...
তীব্র শীত, অন্ধকার ও কুয়াশার বাধা উপেক্ষা করে মুক্তিযোদ্ধারা এগিয়ে যেতে থাকলেন সামনে। তাঁরা কয়েকটি দলে বিভক্ত। একটি দলে আছেন শহীদ উল্লাহ। রাত আনুমানিক ১১টা। তাঁরা সমবেত হলেন সিঙ্গারবিলের অদূরে। ...
মুক্তিবাহিনীর ৩ নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধারা প্রস্তুত হতে থাকলেন চূড়ান্ত যুদ্ধের জন্য। একটি দলে আছেন মোবারক হুসেন মিয়া। আক্রমণের নির্ধারিত সময় ১ ডিসেম্বর মধ্যরাত। লক্ষ্যবস্তু আখাউড়া ও সংলগ্ন বিভিন্ন ...
তখন মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়। এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল ছিল কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলায় (তখন থানা)। এই দলে ছিলেন মো. সদর উদ্দিন আহমেদসহ মাত্র কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা। তাঁরা ক্ষুদ্র একটি দল। তাঁদের ...
মুক্তিযোদ্ধারা সফলভাবে রেলসেতু ধ্বংস করেছেন। কয়েক দিন পর একদিন খবর এল, পাকিস্তানি সেনারা সেই সেতু মেরামত শুরু করেছে। ভারতে মুক্তিযোদ্ধা শিবিরে সিদ্ধান্ত হলো, পাকিস্তানি সেনাদের ওই প্রচেষ্টা যেকোনো ...
১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাস। মুক্তিবাহিনীর ১১ নম্বর সেক্টরে অবস্থানরত মো. বিলাল উদ্দিন খবর পেলেন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগীরা তাঁর এলাকায় ব্যাপক অত্যাচার-নির্যাতন চালাচ্ছে। পরে আরও কয়েক দিন ...
রাতের প্রথম প্রহর থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। চলছে মধ্যরাতেও। কোনো বিরাম নেই। বৃষ্টির পানিতে চারদিক টইটম্বুর। এর মধ্যেই বেরিয়ে পড়েন মো. নাজিম উদ্দিনসহ একদল দুঃসাহসী মুক্তিযোদ্ধা। সংখ্যায় তাঁরা মোট ১৫ জন। ...
১৯৭১ সালে মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুরের সিও কার্যালয়ে ছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একটি ক্যাম্প। তখন সিও কার্যালয় ছিল বারৈখালীতে। পাকিস্তানি ক্যাম্পে ছিল নিয়মিত সেনা, ইপিআর, ইপিসিএএফ ও রাজাকার। সব মিলিয়ে ...
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সাহস ও বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেও মুক্তিযোদ্ধারা তাঁদের অবস্থান ধরে রাখতে পারলেন না। তাদের প্রচণ্ড আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধাদের বেশির ভাগই পিছু হটতে বাধ্য হলেন। কিন্তু পিছু ...