সর্বাধিনায়ক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (১৭ মার্চ ১৯২০ - ১৫ আগস্ট ১৯৭৫)
প্রতিরক্ষামন্ত্রী: তাজউদ্দীন আহমদ (২৩ জুলাই ১৯২৫ - ৩ নভেম্বর ১৯৭৫)
প্রধান সেনাপতি: কর্নেল (জেনারেল) মুহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী ...
যেকোনো যুদ্ধ, যত নৈতিক বা অনৈতিক হোক না কেন, যুদ্ধরত সৈনিকদের দাঁড় করিয়ে দেয় মৃত্যুর দুয়ারে। এটা বাস্তব যে, যুদ্ধে সবাই মরে না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটি সমীক্ষা থেকে দেখা যায়, ১৫ হাজার উড়ন্ত গুলির ...
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কালে একদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পরিকল্পিত গণহত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের এবং অন্যদিকে স্বাধীনতালাভের মরণপ্রয়াসের যে-বিপুল কর্মযজ্ঞ চলেছিল, তার কথা মনে হলে বিস্ময় জাগে। ...
মুক্তিবাহিনীর কয়েকটি দল একযোগে আক্রমণ চালাল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা অবস্থানে। একটি দলের নেতৃত্বে ছিলেন হালদার মো. আবদুল গাফফার (এম এ গাফফার হালদার)। তাঁর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা বিপুল ...
মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই খালেদ মোশাররফ ঢাকা-কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকার ইপিআর সেনা, পুলিশ-আনসারসহ ছাত্র-যুবক ও সাধারণ জনতাকে সংগঠিত করেন। তাঁর দলে তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করে বিরাট এক বাহিনী গড়েন। এ ...
আবদুস সালেক চৌধুরী নির্ধারিত সময়ে সংকেত দেওয়ামাত্র গর্জে উঠল মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র। তাঁর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা বীর বিক্রমে যুদ্ধ করতে থাকেন। একপর্যায়ে ভীতসন্ত্রস্ত পাকিস্তানি সেনারা পিছু হটতে শুরু ...
ফেনী জেলার অন্তর্গত বিলুনিয়া। ১৬ মাইল লম্বা এবং ছয় মাইল প্রস্থ সরু এক ভূখণ্ড। এলাকাটি অনেকটা উপদ্বীপের মতো। প্রায় গোটা এলাকাই ভারতের মধ্যে প্রবেশ করেছে। এর তিন দিকেই ভারত সীমান্ত। মুক্তিযুদ্ধের ...
তীব্র শীত, অন্ধকার ও কুয়াশা উপেক্ষা করে একদল মুক্তিযোদ্ধা এগিয়ে চলেছেন। একটি উপদলের নেতৃত্বে আবদুল হালিম। নির্ধারিত সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা অবস্থানে শুরু হয় গোলাবর্ষণ। গোলা আসে পেছন ...
১৯৭১ সালে নোয়াগাঁও গ্রামে ছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর শক্ত এক ঘাঁটি। নোয়াগাঁও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার অন্তর্গত। কুমিল্লা থেকে ঊর্ধ্বতন পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তারা কয়েক দিন পর পর সেখানে আসত। ...
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর মুহাম্মদ আইনউদ্দিন প্রতিরোধযুদ্ধ শেষে ২ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন। মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা শোনা যাক তাঁর বয়ানে (১৯৭৩): ‘মনতলা ক্যাম্প থেকে দুই কোম্পানি মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে ...
সীমান্ত এলাকা থেকে কিছুটা দূরে কালাছড়া চা-বাগান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অন্তর্গত। ভারতে মুক্তিযোদ্ধা শিবিরে খবর এল, ওই চা-বাগানে একদল পাকিস্তানি সেনা অবস্থান নিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের অধিনায়ক সেখানে ...