উনসত্তরে এ দেশে একটি গণ-আন্দোলন হয়েছিল। ওই আন্দোলনে তরুণ একটি প্রজন্মের মধ্যে প্রবিষ্ট হয়েছিল র্যাডিক্যাল ধারণা। জন্ম নিয়েছিল স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা। ওই সময় আমি সুকান্ত পড়ি—‘আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ’।
আমার বন্ধু ময়নার সঙ্গে দেখা হলে দশটা যদি কথা হয়, অন্তত একটা হয় মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে। হবেই–বা না কেন? নাটক করতে শহর ছেড়ে বেরিয়েছিল, তার মধ্যেই যুদ্ধ শুরু হলো, ময়নার আর ঘরে ফেরা হলো না। সীমান্ত পার হয়ে ...
ঠিক যে মুহূর্তে পাকিস্তান বাহিনী আত্মসমর্পণ করল, আমি তখন ছিলাম বেতকা নামের একটি জায়গায়। বেতকা জায়গাটি মুন্সিগঞ্জে, সেখানে আমার বাড়ি। তবে ঠিক বিজয়ের মুহূর্তটি নিয়ে আলোচনার আগে একটু পেছন ফিরে তাকাতে ...
আমি স্মরণ করছি যে ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মানেক শর ‘হাতিয়ার ডাল দো’র আহ্বানে সাড়া দিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ মস্তিষ্কে এবং সজ্ঞানে, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার, বিকাল সাড়ে চার ঘটিকায়
একাত্তরের পুরো সময় আমি ঢাকা শহরে ছিলাম। দেখেছি বাঙালির অগ্রযাত্রার চিত্রাবলি। দেখেছি ডিসেম্বর মাসের বিজয়ের দিন। ২০১৮ সালের বিজয়ের মাসে বলতে চাই একাত্তরের দিকে তাকিয়ে বাঙালির কণ্ঠ থেকে সমবেতভাবে ...
১৯৭১ সাল। চারদিকে প্রচণ্ড গরম। বিকেল না হতেই খেলায় মেতে উঠেছে একদল কিশোর-কিশোরী। দেশে যে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে, সেদিকে তাদের কোনো খেয়ালই নেই।
গত সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তৈরি হলো। তখন স্পষ্টই মনে হয়েছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ধারণাটাকে কথার কথায় পরিণত করা হচ্ছে। এই আইনে অন্তত ১৪টি ধারায় আটককে অজামিনযোগ্য বলা ...
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ প্রকৃত অর্থেই ছিল জনযুদ্ধ। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই–ই সর্বাত্মক এই যুদ্ধে শামিল হয়েছিল সমানভাবে। ২৫ মার্চের কালরাতের পর পাকিস্তানি সৈন্যরা যখন পুরো বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণ নিতে ...
পাকিস্তানের মুষ্টিমেয় সহযোগী ছাড়া বাংলাদেশের প্রত্যেক মানুষের জয় হয়েছিল ১৯৭১ সালের ষোলোই ডিসেম্বরে। সে-বিজয় অবশ্য অর্জিত হয়েছিল অশ্রু আর সম্ভ্রম, স্বেদ আর রক্তের বিনিময়ে।