যশোর সদর হাসপাতালে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন চিকিৎসক শাখাওয়াৎ হোসেন। পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের পদলেহী রাজাকারদের কাছে এটি ছিল মারাত্মক অপরাধ। হাসপাতাল চত্বরেই তাঁকে গুলি করে হত্যা করে ...
তখনো ভোরের কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের আলো ছড়ায়নি। এলাকার মানুষ ডুবে আছেন ঘুমে। কুখ্যাত রাজাকার কছিম উদ্দীনের তথ্যের ভিত্তিতে ভাটপাড়া ক্যাম্প থেকে পাকিস্তানি হানাদারদের এক বিশাল বাহিনী ঢোকে মেহেরপুরের ...
মুক্তিসংগ্রামের এই পর্যায়ে ১২ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা দখলের লড়াই শুরু হয়। বাংলাদেশের বেশির ভাগ এলাকা কার্যত মুক্ত। আগের দিন ভারতীয় বাহিনীর ছত্রীসেনারা ঢাকার আশপাশে মুক্ত কিছু এলাকায় নেমে পড়েন। সবকিছু ...
পাকিস্তানি বর্বর হানাদার বাহিনীর নিষ্ঠুর পৈশাচিক তাণ্ডবে একাত্তরে সীমান্তবর্তী মেহেরপুর জেলার বামুন্দী এলাকার গ্রামগুলো ছিল বিপর্যস্ত। বহু মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতের নদীয়ার করিমপুর ও শিকারপুরে ...
১৯৭১ সালে বাঙালির স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী স্থলভিত্তিক মুক্তিবাহিনী ছাড়া জলপথে যাঁরা যুদ্ধ করেছিলেন, সেসব বাঙালি গেরিলাকে মুক্তিবাহিনীর অন্য যোদ্ধাদের থেকে আলাদাভাবে পরিচয় করানোর প্রয়োজন আছে। ...
An eight hour curfew has been imposed in Dacca Municipal limits from 10 Wednesday night to guard against possible hooliganism and lawlessness under an order issued by Martial Law Authorities ...
একাত্তরের ১৭ জুলাই শুক্রবার ভোরবেলা। নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর গ্রামে হানা দেয় রাজাকার ও পাকিস্তানি হানাদার সেনাবাহিনী। ঘিরে ফেলে শিক্ষক তরফদার আতিয়ার রহমানের বাড়ি। বাইরে শোরগোল শুনে তিনি বিছানা ...
বিকেল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল সেদিন। বাড়ির উঠানে পানি জমেছে। ঘর থেকে সদর দরজা পর্যন্ত একটি একটি করে ইট বিছানো। রাত তখন নয়টা। মেহেরপুরের সাহারবাটি গ্রামে উজির আলী মালিথ্যা রাতের খাবার খেয়ে জানালায় ...
একাত্তরের মার্চ-এপ্রিল মাসজুড়ে মেহেরপুরের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ে। শহরের আদালত প্রাঙ্গণে ছিল পাকিস্তানি হানাদার সেনাদের ক্যাম্প। সেখানে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিকামী ...
দেশের ১০টি জেলায় অনুসন্ধান চালিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, বধ্যভূমি, গণকবর ও নির্যাতন কেন্দ্রের নতুন নতুন স্থানের সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব স্থানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা মিলে ...
মুক্তিযুদ্ধের সময় ঘাতক পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও এই দেশের কিছু রাজাকার চিকিৎসক বজলুল হককে বলেছিল তাদের সঙ্গে হাত মেলাতে। কুখ্যাত শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল তাঁকে।
আমার স্বামী সৈয়দ আবদুস সাত্তার পাকিস্তান আর্মির রিটায়ার্ড সুবেদার মেজর ছিলেন। ১৯৭১ সালে আমরা খালিশপুরে ছিলাম। শেখ সাহেবের ৭ মার্চের ভাষণ শুনেই আমার স্বামী এখানে ‘সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করলেন। সেই সংগ্রাম ...
আমি ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে সংঘবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন গ্রাম এবং স্থানীয় মিল-কারখানা থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করি। পরে মিছিল করে ফুলতলা থানায় গিয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ...