আনোয়ারুল আলম শহীদ, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমের নেতৃত্বে টাঙ্গাইলে এই বাহিনী সংগঠিত হয়। কাদের সিদ্দিকী মুক্তিযুদ্ধের আগে কিছু দিন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন।
বিমানবাহিনী
২৮ সেপ্টেম্বর ভারতের ডিমাপুরে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী জন্মলাভ করে। ৯ জন বৈমানিক এবং ৫৭ জন বিমান ক্রুর সমন্বয়ে গড়ে ওঠে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর কিলো ফ্লাইট। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে একটি ...
১৯৭১ সালের এপ্রিলে টাঙ্গাইলের পতন হলে প্রতিরোধযোদ্ধারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। পরে তাঁরা টাঙ্গাইলের প্রত্যন্ত এলাকা সখীপুরে সমবেত হন। এখানে শুরু হয় তাদের পুনর্গঠন-প্রক্রিয়া। পরবর্তীকালে এ বাহিনীরই নাম হয় ...
টাঙ্গাইলজলার কালিহাতী উপজেলার একটি গ্রাম বল্লা। ১৯৭১ সালের জুন মাসের মাঝামাঝি সময় সেখানে কয়েক দিন ধরে অবস্থান করছেন হামিদুল হকসহ একদল মুক্তিযোদ্ধা। সকাল আটটার দিকে মুক্তিযোদ্ধারা খবর পেলেন ভারী ...
টাঙ্গাইল জেলা সদরের উত্তরে কালিহাতী উপজেলা। এর দক্ষিণ প্রান্তে বল্লা। ১৯৭১ সালের ১৫-১৬ জুলাই এখানে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাদেরিয়া বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবিরাম যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে অংশ নেয় ...
টাঙ্গাইল জেলা সদর থেকে দক্ষিণে নাগরপুর উপজেলা। এর পরই মানিকগঞ্জ জেলার সীমানা শুরু। মুক্তিযুদ্ধকালে নাগরপুরে ছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর শক্ত এক প্রতিরক্ষা অবস্থান। কাদেরিয়া বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধারা ...
১৭ জুন ভোরে বাথুলীতে হাজির হলো একদল পাকিস্তানি সেনা। তারা আক্রমণ করল মো. হাবিবুর রহমান তালুকদারদের দলের ওপর। মুক্তিযোদ্ধারাও পাল্টা আক্রমণ চালালেন। মো. হাবিবুর রহমান ও তাঁর সহযোদ্ধারা সাহসের সঙ্গে ...
১২ অক্টোবর ১৯৭১। সকাল আনুমানিক আটটা বা সোয়া আটটা। এ সময় মো. আবদুল্লাহ দেখতে পেলেন পাঁচ-ছয়টি গরুর গাড়ি ও চার-পাঁচটি রিকশা। সেগুলোতে মালামাল ভরা। নাগরপুরে অবস্থানরত পাকিস্তানি সেনা ও সহযোগীদের জন্য ...
১৯৭১ সালের আগস্ট মাসের প্রথম দিক। টাঙ্গাইলে যমুনা নদীতীরবর্তী এলাকায় অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধাদের কয়েকজন দলনেতা খবর পেলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে কয়েকটি জলযান রংপুরে যাচ্ছে। তাতে অনেক অস্ত্রশস্ত্র আছে। প্রতিটি ...
সকালবেলায় আবদুল গফুরের অবস্থান ধলাপাড়ার কাছাকাছি। গোলাগুলির শব্দ। তিনি বুঝতে পারলেন আশপাশে কোথাও পাকিস্তানি সেনারা এসেছে। আবদুল গফুর মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর সঙ্গে আছেন ৪০-৪৫ জন সহযোদ্ধা। দলনেতা তিনি ...
হালকা শীতের রাতে মুক্তিযোদ্ধারা নেমে পড়লেন পানিতে। তাঁদের নেতৃত্বে আনিসুর রহমান। মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও গোলাবারুদ। সেগুলো নিয়ে ঠান্ডা পানির মধ্যে সাঁতরে যেতে থাকলেন সামনের দিকে। ...
১৯৭১ সালের ২০ মে। আনোয়ার হোসেন পাহাড়ীকে তাঁর মা বললেন, ‘বাবা, তুমি আমার একমাত্র ছেলেসন্তান। তার পরও বলি, বাড়িতে থেকে মরার চাইতে যুদ্ধ করে মরলেও আমি মনকে সান্ত্বনা দিতে পারব যে আমার ছেলে দেশের জন্য ...
মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বভূষণ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে শহীদুল ইসলাম সর্বকনিষ্ঠ। ১৯৭১ সালে তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর। তিনি লালু নামে বেশি পরিচিত। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিবাহিনী ছাড়াও দেশের ভেতরে ...
মো. আবদুল হাকিম পাকিস্তানি সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। ১৯৭১ সালে তিনি ঢাকার অদূরে দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে হাবিলদার পদে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মেজর কে এম সফিউল্লাহর নেতৃত্বে দ্বিতীয় ...