শামসুর রহমান

বিজয়ের পরের পঙ্ক্তিমালা

উদ্বাস্তু

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশ শত্রুমুক্ত হওয়ার পর ১৮ ডিসেম্বর থেকে পত্রপত্রিকা প্রকাশিত হতে শুরু করে। এ সময় পত্রিকাগুলোতে আলাদাভাবে সাহিত্যপাতা দেখা যায়নি, দু–একটি কবিতা যা ছাপা হয়েছে, তা মূল কাগজের ...

উদ্বাস্তু

শকুন ও কোকিলের কাহিনী

প্রবহমান নদীতীরে একটি নয়নাভিরাম বৃক্ষ নানাজনের হিংসার পাত্র হয়ে মেরুদণ্ড সোজা রেখে দাঁড়িয়ে ছিলো। গাছটিতে এক ঝাঁক কোকিল মহানন্দে করতো বাস।

শকুন ও কোকিলের কাহিনী

মুক্তিযুদ্ধে বিদেশী স্বজনদের কথা

সেই পঞ্চাশ দশকের শুরু থেকে তত্কালীন পূর্ব বাংলায়-বাংলাদেশে-বাংলা ভাষা, গণতন্ত্র, স্বায়ত্তশাসন আর স্বাধিকারের সংগ্রামের শুরু থেকেই কবি, শিল্পী, গায়ক বা অন্যান্য মাধ্যমের সকল সংস্কৃতিসেবীর স্মরণীয় ...

মুক্তিযুদ্ধে বিদেশী স্বজনদের কথা

সহস্র ক্ষুধার্ত চোখ-মুখ

এমন একটা সময় ছিল, যখন প্রায়শই সকালে অথবা বিকেলে নদীতীরে হেঁটে বেড়াতাম কিংবা আয়েশে বসতাম একা। বহুদিন থেকে হঠাত্ সেই প্রিয় অভ্যাস কেন যে আমাকে ত্যাগ করেছে, বুঝতেই পারিনি।

সহস্র ক্ষুধার্ত চোখ-মুখ

বাতাসে ভাসবে ঠিক

আমাকে যেতেই হবে দূরে, বহু দূরে। যদি পা আমার এখন প্রবল হয়ে যায়, তা’হলে নিশ্চিত আমার এই সংসারে বেকার হয়ে থাকবো এক কোণে থাকবো সবার কণ্ঠলগ্নপাত্র হয়ে, যা আমার কস্মিনকালেও নয় বিন্দুমাত্র কাঙ্ক্ষনীয়,

বাতাসে ভাসবে ঠিক
বিজ্ঞাপন

ষোলোই ডিসেম্বর

১৯৭১ সালের ষোলোই ডিসেম্বরে কী যে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিলাম আমরা, চঞ্চল হয়ে উঠেছিলাম অনাস্বাদিত আনন্দে, বুক ফুলে উঠেছিল সমষ্টিগত সাফল্যে। কোটিখানেক শরণার্থী উদেযাগ নিয়েছিল স্বদেশ-প্রত্যাবর্তনের;

ষোলোই ডিসেম্বর

কবি রঙধনুময় পথে

একজন কবি রঙধনুময় পথে হেঁটে গেলে, তিনি কি জীবিত নাকি মৃত কে আমাকে বলে দেবে ঠিক এই সন্ধ্যাকালে আজ? না, আমি ধোঁয়াশা

কবি রঙধনুময় পথে

সংস্কৃতি

মুক্তিযুদ্ধের সাংস্কৃতিক সংগ্রাম

অ্যাডল্ফ হিটলারের নািস জার্মানিতে রাইখ থিয়েটার চেম্বার প্রধান হ্যান্স জোস্ট গর্ব করে বলতেন, সংস্কৃতি শব্দটি শুনলে তাঁর হাত পিস্তলে চলে যায়। চ্যান্সেলর হিসেবে হিটলারের ক্ষমতা গ্রহণের পরপর নািস পার্টির ...

মুক্তিযুদ্ধের সাংস্কৃতিক সংগ্রাম

তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা

তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা, তোমাকে পাওয়ার জন্যে আর কতবার ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায়? আর কতবার দেখতে হবে খাণ্ডবদাহন?

তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা

জন্মান্ধ গুহায়

একদা অনেক বছর আগে যার চেহারা, চলা, বলা মুখস্থ ছিল আমার, যার সঙ্গে প্রায় প্রতিদিন হতো দেখা সাক্ষাত্, তাকে আজ এমনি ধূসর মনে হয়, এমনই আবছা, তখন বড়ই অস্বস্তি বোধ করি যে ইচ্ছে হয় নিজের চুল ছিঁড়ি, তক্ষুনি ...

জন্মান্ধ গুহায়

অচেনা নয়

নিজেকে শিক্ষিত বলে দাবি করতে পারি কি এই বয়সেও? যদি বলি, দু’তিনটি ভাষার কতক বাক্য অর্থসমেত বলতে পারি, লিখতেও পারি, মিথ্যা উক্তি হবে না তা। সমাজের কোনও কোনও স্তরে সম্মানের কিছু উপঢৌকন মিলবে বটে।

অচেনা নয়

জন্ম দিবে ক্রমান্বয়ে

বহু দূর থেকে দেখছি বাড়িটা যেন আমার নয়। অথচ বহুদিন যাবত এই একই সামান্য দালানকে নিজের বাসা বলেই জেনে এসেছি।

জন্ম দিবে ক্রমান্বয়ে
বিজ্ঞাপন

পক্ষী সমাজ

কত যে খণ্ডিত হই রোজ নিজেই জানি না। পথে যেতে যেতে কত অচেনা মুখের সঙ্গে দেখা হয়, কিন্তু কথা না ব’লেই যে যার গন্তব্যে চলে যাই। এই মতো আচরণ নিন্দনীয় নয় ব’লে বিবেচিত মানব সমাজে।

পক্ষী সমাজ

অভিশাপ দিচ্ছি

না আমি আসিনি ওল্ড টেস্টামেন্টের প্রাচীন পাতা ফুঁড়ে, দুর্বাশাও নই, তবু আজ এখানে দাঁড়িয়ে এই রক্ত গোধূলিতে অভিশাপ দিচ্ছি।

অভিশাপ দিচ্ছি
বিজ্ঞাপন