প্রকৌশলী

রাত থেকেই তুমুল যুদ্ধ চলছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের হোসেনাবাদ গ্রামে একাত্তরের ৭ ডিসেম্বর বিজয়ী মুক্তিযোদ্ধাদের দল যখন মেতে উঠেছেন বিজয়োল্লাসে, তখন কে এম রফিকুল ইসলামের ...

প্রকৌশলী এ কে এম মনিরুজ্জামানকে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ টুকরো টুকরো করে ফেলে অবাঙালিরা। বাবার এই করুণ পরিণতির কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন তাঁর ছেলে রফিকুল আলম। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী, ঢাকায় বসবাস করেন।

রাজশাহী বেতারের প্রকৌশলী মহসিন আলী অনুষ্ঠান উপস্থাপনার পাশাপাশি আবৃত্তিও করতেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি স্ত্রী-সন্তানদের রাজশাহী থেকে গ্রামের বাড়ি মেহেরপুরে নিয়ে আসেন।

বুদ্ধিজীবী হত্যা

আমার মা শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীনের এই ছবিটা দেখে অনুভূতি হলো একটু অন্য রকম—মনটা বিষণ্নতায় ভরে গেল। আমি ফিরে গেলাম ১৯৯১ সালে। সে বছর প্রেসক্লাবে আফতাব আহমেদের একটি ছবি প্রদর্শনী চলছিল। ...

আবদুস সামাদ ছিলেন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী। পাকিস্তানি হানাদার সেনারা গণহত্যা শুরু করলে নারায়ণগঞ্জ শহরে তিনি প্রতিরোধযুদ্ধে অংশ নিয়ে শহীদ হন।

গঙ্গাঋদ্ধি থেকে বাংলাদেশ-এর উপসংহারে আমি বলেছিলাম: ‘বাঙালি নাকি কোনো দিন স্বাধীন ছিল না! যে অর্থে আমরা “স্বাধীন” বা “স্বাধীনতা”র কথা ব্যবহার করি, তা দু’শ বছর আগে সে অর্থে ব্যবহূত হতো না। এখনো কথাটা ...

রেলওয়ের যান্ত্রিক বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী আবুল কাশেম মুক্তিযুদ্ধের সময় কর্মরত ছিলেন পাবনার ঈশ্বরদীর পাকশীতে। মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করায় পাকশীর অবাঙালিরা তাঁকে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে তুলে দেয়। নির্মম ...

মাথার খুলির পেছনে গুলি লেগেছিল প্রকৌশলী মো. শফিকুল আনোয়ারের। ধানখেতের ভেতরে পড়ে ছিল তাঁর মৃতদেহ। শত্রুমুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশে একটি নিজস্ব এয়ারলাইনস গ

একাত্তরে এ কে এম নূরুল হক ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান বেতার বিভাগের বিভাগীয় প্রকৌশলী (বেতার)। তাঁর কর্মস্থল ছিল ঢাকায়। ২৯ মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি দল মহাখালীর ওয়্যারলেস ক্যাম্পাসে তাঁর সরকারি বাসা ...

একাত্তরে মোজাম্মেল হক চৌধুরী ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান রেলওয়ের চিফ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। কর্মস্থল ছিল চট্টগ্রামে। বাসা পাহাড়তলীর এফ-থ্রি বাংলোতে। ৫ এপ্রিল সোমবার একদল অবাঙালি তাঁর বাংলো ঘিরে ...

একাত্তরে মোহাম্মদ শামসুজ্জামান চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী ছিলেন। ২১ মে সকালে তিনি তাঁর অফিসে গিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ পর পাকিস্তান নৌবাহিনীর কয়েকজন সদস্য তাঁকে তাদের চট্টগ্রাম ঘাঁটিতে ...

উদয়ের পথে শুনি কার বাণী-৯৮

কর্মজীবনে সবার প্রিয় ও শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন আলতাফ হোসেন। নিজে ছিলেন কর্তব্যপরায়ণ, তেমনি অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকেও কর্তব্যপরায়ণতা আশা করতেন। শিল্প-সাহিত্যের প্রতি ছিল তাঁর গভীর অনুরাগ। ...

উদয়ের পথে শুনি কার বাণী-৯৩

কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ছিলেন প্রকৌশলী এ কে এম শামসুদ্দীন (আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দীন)। এই প্রকল্পের সঙ্গে তিনি প্রথম থেকেই যুক্ত ছিলেন। এখানকার তিনটি বিদ্যুৎ ইউনিট তাঁর হাতেই ...

উদয়ের পথে শুনি কার বাণী-৮৭

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী ছিলেন মোহাম্মদ নূর হোসেন। চট্টগ্রাম বেতারের কথক ও খেলাধুলার ভাষ্যকার এবং সমাজসেবী হিসেবেও তাঁর পরিচিতি ছিল। একাত্তরের ২২ মে সকালে তিনি বাসা থেকে অফিসে ...

সরকারি কর্মকর্তাসহ ২৬ জনের মুক্তিযোদ্ধার সাময়িক সনদ ও গেজেট বাতিল করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এঁদের মধ্যে পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের যুগ্ম প্রধান, শিক্ষক, ব্যাংকার, হিসাবরক্ষণ ...