১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট মোংলা সমুদ্রবন্দরের অভিযানটি ছিল দুঃসাহসিক অভিযানগুলোর একটি। এই অভিযানে সাবমেরিনার মো. আহসানউল্লাহকে প্রধান করে ৪৮ জন নৌকমান্ডোর একটি দল পাঠানো হয়। আমিও সেই দলের একজন সদস্য ...
এই অভিযান শুরু ফ্রান্সের তুঁল নৌবন্দর থেকে। কোনো রোমাঞ্চকর গল্প নয়। তবে সেই তুঁল থেকে স্পেন, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, ভারত হয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকবলিত বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত ঘটনাপ্রবাহ যেভাবে ...
একাত্তরের এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে ভারতীয় নৌবাহিনীর গোয়েন্দা পরিদপ্তরের পরিচালক ক্যাপ্টেন (পরে রিয়ার অ্যাডমিরাল) মিহির কুমার রায় ফ্রান্স থেকে পালিয়ে আসা আটজন বাঙালি নৌসেনাকে নিউক্লিয়াস ধরে ...
১৯৭১ সালে নৌ-কমান্ডো হিসেবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। নয় সদস্যবিশিষ্ট আত্মঘাতী দলের দলনেতা হিসেবে অপারেশন জ্যাকপটের মাধ্যমে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি ফেরিঘাটে প্রথম ...
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ামাত্র বিদেশ থেকে আবদুল ওয়াহেদ চৌধুরীসহ আটজন বাঙালি নাবিকের যুদ্ধে যোগদান ছিল উল্লেখযোগ্য এক ঘটনা। ফ্রান্সের তুঁল নৌঘাঁটিতে তাঁরা পাকিস্তানের সদ্য কেনা সাবমেরিনে ...
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিবাহিনীর নৌ-মুক্তিযোদ্ধারা কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা অনুসারে আগস্ট মাসে একযোগে কয়েকটি সফল অপারেশন পরিচালনা করেন। এতে পাকিস্তানি সরকারের ভিত কেঁপে ওঠে। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ...
গোপন ক্যাম্প থেকে সহযোদ্ধা নৌ-কমান্ডোদের নিয়ে আবিদুর রহমান বেরিয়ে পড়লেন। আবছা আলো-অন্ধকারের মধ্য দিয়ে নিঃশব্দে হেঁটে পৌঁছালেন নদীর পাড়ে। অবস্থান নিলেন সারিবদ্ধ দোকানের পেছনে। অদূরে নৌবন্দর। সেখানে ...
অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে মোফাজ্জল হোসেনসহ নৌ-মুক্তিযোদ্ধারা ১১ আগস্ট চট্টগ্রাম শহরের কাছে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছান। তাঁরা আসেন সমুদ্রবন্দরে দুঃসাহসী এক অপারেশন করতে। ১৩ আগস্ট রেডিওর আকাশবাণী কেন্দ্রে ...
পাবনার পাকশী ও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা রেলস্টেশনের মাঝ বরাবর পদ্মা নদীর ওপর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। ১ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রেলসেতুর পুরোটাই ইস্কাতের তৈরি। দেশের পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই ...
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সূচনাকালে ফারুক-ই-আজম উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছেন। সে সময় তিনি খুলনায় ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে অনেক বাধাবিপত্তি পেরিয়ে তিনি চট্টগ্রামে পৌঁছান। ৬ মে তিনি সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ...
খিজির আলী যুদ্ধ করেন ৯ নম্বর সেক্টরের হিঙ্গলগঞ্জ সাব-সেক্টর এলাকায়। ১৯৭১ সালে ছিলেন মেকানিক। তখন তাঁর বয়স ৩৭ বছর। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে যুদ্ধে যোগ দেন। খিজির আলীর অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ ছিল না।
মুক্তিবাহিনীর নৌ-কমান্ডোরা নির্ধারিত তারিখে বন্দরে অবস্থানরত জাহাজ মাইনের সাহায্যে ডুবিয়ে দেবেন। এ জন্য অপারেশনের আগে দিনে বন্দর ও আশপাশের এলাকা সরেজমিনে রেকি করা প্রয়োজন। দায়িত্বটা বেশ কঠিন।