বিজয় দিবস সংখ্যা ২০০৬

দীর্ঘ দীর্ঘশ্বাস

দাঁড়াতে চায় না কেউ আমার ছায়ার কাছে। যদি পুড়ে যায় পুড়ে পুড়ে যদি খাক হয়ে যায়। যদি ছাই...। ভগ্নপরমাণু ফুলে-ফুলে, ফলে-ফলে দেখা নেই, দেখা নাহি পায়

দীর্ঘ দীর্ঘশ্বাস

এই ভূমিবিতান

এই ভূমিবিতান কি আমাদেরই নয়? আমাদেরই হাড়চূর্ণ দিয়ে এর সবুজ প্রতি ফলনের মাটি কি উর্বর নয়? তাহলে কার সাধ্য আমাদের উত্খাত করে? কেড়ে নেয় আমাদের হাত থেকে গেলাশে এর সবিজর সবুজ রস?

এই ভূমিবিতান

প্রেক্ষাপট

ফল খেতে আজো খুব আতঙ্ক আমার; আদি পিতামাতার ধরনে, স্বর্গের বদলে, ফলাহারে না জানি দুনিয়া থেকে বিতাড়িত হই! আমারই তৃষ্ণার্ত ঠোঁট স্থাপনেরও আগে

প্রেক্ষাপট

পোষমানা প্রসঙ্গে

তোমার চোখজোড়া খুব চকচক করে! সবুজ মার্বেলের মতো রাতের অন্ধকারে অন্তর্ভেদী দৃষ্টি যেন ওঁত্ পেতে আছে; তোমার চোখজোড়া,

পোষমানা প্রসঙ্গে

দেশাত্মবোধক কবিতা

আমরা গরিব লোকের ছা আমাদের দুইটা মাত্র পা দুই পা যদি জোরসে চালাই ধরতে পারবা না

দেশাত্মবোধক কবিতা
বিজ্ঞাপন

বিপন্ন বিনিময়

যতদিন রক্ত দিয়ে লেখা যায় এই বৃক্ষ ওই পাতা শাখা ও প্রশাখা বিভাজিত ডালপালা তৃণের আবেগ নিয়ে কেঁদে চলা সবুজাভ ধানচারা ধুধু হাওয়া; চরে গোরু, রাখাল বাজায় বাঁশি পেরিয়ে প্রান্তর;

বিপন্ন বিনিময়

আমার পুত্র

আমার পুত্র না তার নরম বাহু ধরতে দেয় না তার ঠোঁটে চুমু ছড়িয়ে দিতে দেয় আমার পুত্র দুধের বদলে শরতের শাদা মেঘ ভালোবাসে

আমার পুত্র

উত্তরবঙ্গ

আমাদের মধ্যপাড়া শিলাপ্রকল্পের কথা, কয়লা খনির কথা— গুরুত্বসম্পন্ন হয়ে উঠেছে ক্রমশ এদিকে বাড়ির পাশে, বর্ষাকালে, ব্যাঙ ডাকাডাকি করে এমনই সন্ত্রাস!

উত্তরবঙ্গ

ক্ষত

আমাদের চিন্তারা নেমেছে বাড়ি থেকে রাস্তায়; আঁকছি সূর্যালোকে জ্যোত্স্না। মনে হচ্ছে আমাদেরই চিরবাসের অসংখ্য ক্ষত হুবহু নকল করে আহত সাজছে চারপাশ।

ক্ষত

সোনারগাঁ এক্সপ্রেস

জনকের কাঁধে মাথা ঐতিহ্যের পথে— ডানা মেলা চুল হাওয়ায় ভাসে ওই যে অয়নপথ—বিশাখা, রোহিণী, উত্তরফাল্গুনী আজ বুঝি আলোর প্লাবন...

সোনারগাঁ এক্সপ্রেস

একটি আগল খোলা গ্রেনেডের গল্প

সাতাশ নম্বর ধানমন্ডির বেঙ্গল গ্যালারিতে ছিল নীলুফার জাহানের ‘অন্য ছন্দ’ প্রদর্শনীর প্রেস কনফারেন্স। শিল্পসঞ্চালক বন্ধু সুবীর নীলুফারের সঙ্গে আমাকেও বসিয়ে দিলেন ওর কাজ নিয়ে কথা বলার জন্য।

একটি আগল খোলা গ্রেনেডের গল্প

ওঁম্ শান্তি!

আত্মবিদ্রূপ কী বুঝিস না? মারব এক চড়! আকাশ থেকে পড়বি। বোমার মতন। তখন তোর তের গুষ্টিসুদ্ধা আসিস অগ্নি কেন আগুন তোদেরকে টের পাওয়াব

ওঁম্ শান্তি!
বিজ্ঞাপন

তিনটি কবিতা

কৈশোরের কথা তুলে এত কষ্ট দিলে তুমি, সোনা?— বুক ভেঙে চুরমার! নিরাশাবাদীকে দিলে এমন যন্ত্রণা— যার নেই কোনো উপশম। দাও। আমি সহ্য করব সব। তুমি থাকো ঊর্ধ্বে চাঁদ। আমি নিচে রাত্রির পৃথিবী: গভীর নীরব

তিনটি কবিতা

লা’ আদ্রি! লা’ আদ্রি!

তসবীহ্ হাতে আল্লাহকে গুনতে গুনতে একজন পিতামহ ‘যথার্থ নির্দয়’ কবরে ঘুমিয়ে গেলেন। একজন গোধূলি রংয়ের সন্ন্যাসী জপমালা হাতে ভগবানকে টিপতে টিপতে বৈতরণীর তীরে এসে দাঁড়িয়েছেন।

লা’ আদ্রি! লা’ আদ্রি!

গ্রাম

একেকদিন পুরো গ্রাম আলো হয়ে ছড়িয়ে পড়লে আমি মাটিতে কান পেতে রাখি, তার চরণধ্বনি শুনব বলে, রূপপসারিণী পাতারা জানে কীভাবে নকশা হয়, তারা ফাঁকফোকরের জাল বুনে আলোকে ধরে আর চেড়ে দিয়ে খেলা শুরু করে, আর এই ...

গ্রাম
বিজ্ঞাপন