যতদিন রক্ত দিয়ে লেখা যায় এই বৃক্ষ
ওই পাতা শাখা ও প্রশাখা বিভাজিত ডালপালা
তৃণের আবেগ নিয়ে কেঁদে চলা সবুজাভ ধানচারা
ধুধু হাওয়া; চরে গোরু, রাখাল বাজায় বাঁশি পেরিয়ে প্রান্তর;
যতদিন মাংসবীজে গেঁথে তোলা যায় এই ধুলো
পথের ওপরে পথ গৃহস্থ আঙিনা চতুর্দশী চাঁদে ধোয়া
নদী তার; খালপাড় ছেড়ে যায় ভিন্নমুখী পরবাসী স্রোত,
ডিঙি নাও, অচেনা নায়ের মাঝি, বিপন্ন গানের ভাঙা লয়;
হাড়ের ভেতরে হাড় ঠক ঠক বেজে চলে পদশব্দ
হাঁড়িতে চড়ে না চাল ছোটে ধোয়া পথহারা পথিকের
প্রসন্ন আকুতি মাখা; ভুল, বেমালুম ভুল পরওয়ানা,
অসীম নিঃসীম ভাঙা পাথরের কূল ছুঁয়ে-ছুঁয়ে;
এই বিশ্ব আখেরে কথার ফেরে যদি মুক্তি পায়,
হয়তো মিলে যাবে দেশ কুপিত মাটির বিনিময়!
বিজ্ঞাপন