কবিতা

বিজয়ের পরের পঙ্ক্তিমালা

উদ্বাস্তু

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশ শত্রুমুক্ত হওয়ার পর ১৮ ডিসেম্বর থেকে পত্রপত্রিকা প্রকাশিত হতে শুরু করে। এ সময় পত্রিকাগুলোতে আলাদাভাবে সাহিত্যপাতা দেখা যায়নি, দু–একটি কবিতা যা ছাপা হয়েছে, তা মূল কাগজের ...

উদ্বাস্তু

বিজয়ের পরের পঙ্ক্তিমালা

আমার বন্দিত্ব

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশ শত্রুমুক্ত হওয়ার পর ১৮ ডিসেম্বর থেকে পত্রপত্রিকা প্রকাশিত হতে শুরু করে। এ সময় পত্রিকাগুলোতে আলাদাভাবে সাহিত্যপাতা দেখা যায়নি, দু–একটি কবিতা যা ছাপা হয়েছে, তা মূল কাগজের ...

আমার বন্দিত্ব

বিজয়ের পরের পঙ্ক্তিমালা

ডিসেম্বরে বঙ্গদেশ

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশ শত্রুমুক্ত হওয়ার পর ১৮ ডিসেম্বর থেকে পত্রপত্রিকা প্রকাশিত হতে শুরু করে। এ সময় পত্রিকাগুলোতে আলাদাভাবে সাহিত্যপাতা দেখা যায়নি, দু–একটি কবিতা যা ছাপা হয়েছে, তা মূল কাগজের ...

ডিসেম্বরে বঙ্গদেশ

মুক্তিযুদ্ধের কবিতা

যুদ্ধভাসান: দশ

তোমার বুকের ফুটো অকস্মাৎ বিসুভিয়াসের জীবন্ত মুখের মতো মনে হয়েছিল, ফুটোর গভীর থেকে আকাশের দিকে উঠে এল উষ্ণ লাভাস্রোত

যুদ্ধভাসান: দশ

মুক্তিযুদ্ধের কবিতা

বিজয়ের কবিতা

বিজয়ের মাস ডিসেম্বর, লক্ষ প্রাণে লেখা বিজয়ের সেই সোনালি অক্ষর, দিকে দিকে শুনি জয়ধ্বনি বাংলাদেশের নামে, এই স্বাধীনতা কেনা রক্তের দামে;

বিজয়ের কবিতা
বিজ্ঞাপন

মুক্তিযুদ্ধের কবিতা

বধ্যভূমির বিস্মৃতজন

আমার স্লোগানগুলো পাখি হয়ে উড়ে গেল ইতিহাসে এখন সময় হাত মুছে ফেলবার

বধ্যভূমির বিস্মৃতজন

মুক্তিযুদ্ধের কবিতা

জয়যাত্রা

আমি জানি, মুক্তির লড়াই কী করে হয়? কী করে আদি থেকে একবিংশের স্রোতে পরাধীন মানুষের চিৎকার প্রতিধ্বনি জাগায়! আমি জানি, শেকড়ে-শরীরে কী বিপুল পিপাসার চাবুক

জয়যাত্রা

মুক্তিযুদ্ধের কবিতা

মুক্তিযোদ্ধার মা

রাজধানীতে বিভিন্ন নামে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেড়েছে। প্রায়ই খবর হচ্ছে, ইয়াবা খাওয়া কিশোরদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছে মানুষ। সেই খবরের পাশে ছাপা হচ্ছে—হাতিরঝিল থেকে গার্মেন্টস শ্রমিকের লাশ উদ্ধার।

মুক্তিযোদ্ধার মা

মুক্তিযুদ্ধের কবিতা

পা

তবলার শব্দে মনে হচ্ছে, যুদ্ধ কোথাও—কালো পর্দার ওপাশে। এপাশে তুমি শুয়ে আছ; আর তবলার শব্দে এমন অভ্যস্ত হয়ে গেছি, অকস্মাৎ মনে হয়, কোথাও উদ্ভ্রান্ত সৈনিক হাঁটছে—যুদ্ধ তখন, কালো পর্দার ওপাশে;

পা

সবশেষের সবচেয়ে পাগল লাইনগুলি

ঠক ঠক করে কী বোর্ড টিপে লিখতে লিখতে অনেক লেখার পর যেই টিপেছি থ অমনি বেঁকে গেল একটি লাইন

সবশেষের সবচেয়ে পাগল লাইনগুলি

স্নান ও গোসলবিষয়ক

বহুদিন কাকস্নান দেখিনা কোথাও নোংরা বস্তির পাশে নোংরা মানুষের উদ্ব্যস্ত গোসল শুধু চোখে পড়ে।

স্নান ও গোসলবিষয়ক

দেয়াল

বঙ্গোপসাগর ঘেঁষে ম্লান এই গাঙ্গেয় বদ্বীপ মানুষেরা ক্ষুত্কাতর নিরীহ আকাট কাক-পক্ষীর মতো অন্ন খুঁটে অন্ন খুঁটে মাথা ঠেকছে পথের ধুলোয়

দেয়াল
বিজ্ঞাপন

ভিতু

গূঢ় অভিমান পুষে, বক্ষ সঞ্চালন হবে, অসুখের ভয়ে নিমবৃক্ষ রেখেছি বিহ্বল হতে, কিশলয় ছুঁয়ে যেও।

ভিতু

যে নশ্বর ভূর্জপাতা, ভঙ্গুর পাথরে

দিব্য ইতিহাস ছিল, আছে আমাদের মৃত নিমগ্ন নগরে হ্রদ? সে তো হ্রদ নয় অন্য কোনকালে হিমযুগে মাতাল জ্যোত্স্নার নিচে পচে ওঠে নিহত শাবক শশকের; একটি বিদ্যুত্-লতা আলাভোলা ময়ালের আড়মোরা ভাঙা দেখে নেভে, ময়ূরীর ...

যে নশ্বর ভূর্জপাতা, ভঙ্গুর পাথরে

মোমেনা, এসো মরে যাই

তোমার বুকের মধ্যে যে সহন ও শেলতীব্রতা, সে ঘুম-ওম থেকে আমাকে সরিয়ে নিও না, সোনা। প্রিয় বাঘিনীর দিকে বাড়িয়ে দিলেম গলা, সে আমার কণ্ঠনালী ছিঁড়ে ফেলুক।

মোমেনা, এসো মরে যাই
বিজ্ঞাপন