বিজয় দিবস সংখ্যা ২০০৫

ইতিহাস অনেক প্রকার বদমাইশি করিয়া থাকে

আমাদের ইতিহাসের কথা উঠলেই বঙ্কিমচন্দ্রের একটি কথা আমরা সবাই স্মরণ করি : ‘বাঙ্গালার ইতিহাস চাই, নহিলে বাঙ্গালার ভরসা নাই। কে লিখিবে? তুমি লিখিবে, আমি লিখিব, সকলেই লিখিবে। যে বাঙ্গালী, তাহাকেই লিখিতে ...

ইতিহাস অনেক প্রকার বদমাইশি করিয়া থাকে

অপ্রকাশিত প্রবন্ধ

বাঙালি মুসলমানের মুক্তি আন্দোলনে প্রবাসী বাঙালিদের ভূমিকা

বিভিন্ন ভাষণ-বক্তৃতাতে তো বটেই, এমনকি সরকারি তথ্য দপ্তরের দলিলেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি বিশ্ববাসীর ‘স্বতঃস্ফূর্ত’ সহায়তার কথা প্রায়ই বলা হয়েছে।

বাঙালি মুসলমানের মুক্তি আন্দোলনে প্রবাসী বাঙালিদের ভূমিকা

মৃত্যুর কাছাকাছি

আমার চাকরি ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে। বদলি হয়ে আমি ’৭১-এর ২১ ফেব্রুয়ারি যশোরে এসপির দায়িত্ব নিই। এসপি হিসেবে পূর্ব পাকিস্তানে এটি আমার প্রথম পোস্টিং।

মৃত্যুর কাছাকাছি

১৯৭১

হোয়াইট হাউস বনাম স্টেট ডিপার্টমেন্ট

১৯৭১-এ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরুদ্ধাচরণ করে পাকিস্তানের সামরিক জান্তার পক্ষাবলম্বন করে, এ কথা আমরা সবাই জানি। আমরা এও জানি, পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের দূতালিতে ...

হোয়াইট হাউস বনাম স্টেট ডিপার্টমেন্ট

মুক্তির গান

২৫ বছর নির্মাণাধীন একটি ছবির নেপথ্য কথা

১৯৯০ সালের শেষ দিক। আমি আর তারেক তখন আমেরিকায়। শিল্পী এস এম সুলতানের জীবন ও শিল্পের ওপর তারেকের প্রামাণ্যচিত্র আদম সুরত নির্মাণ শেষ হয়েছে মাত্র। প্রচণ্ড কাজের চাপের পর এক ধরনের বিরাম নিচ্ছিলাম আমরা।

২৫ বছর নির্মাণাধীন একটি ছবির নেপথ্য কথা
বিজ্ঞাপন

মহেন্দ্র সর্দার ও মৈলী মাঈ

মহেন্দ্র সর্দার নেই। মারা গেছেন। তার সাঁওতাল কম্যুনিটির কোনো পরিবারই নেই এখন পঞ্চগড়ের সীমান্ত লাগোয়া নালাগঞ্জ গ্রামটিতে। কিন্তু এক সময় ছিল, সেই ’৭১-এ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়।

মহেন্দ্র সর্দার ও মৈলী মাঈ

শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের শেষ চিঠি

যেকোনো যুদ্ধ, যত নৈতিক বা অনৈতিক হোক না কেন, যুদ্ধরত সৈনিকদের দাঁড় করিয়ে দেয় মৃত্যুর দুয়ারে। এটা বাস্তব যে, যুদ্ধে সবাই মরে না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটি সমীক্ষা থেকে দেখা যায়, ১৫ হাজার উড়ন্ত গুলির ...

শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের শেষ চিঠি

বিমানবিধ্বংসী কিশোর

উকলাঘর জঙ্গলের চিপা দিয়ে ধীরগতিতে নৌকা চলে। গুজাকাঁটায় ছেয়ে আছে পুরো এলাকা। শরীরে খোঁচা লাগছে। এটা হাওর এলাকা। একটু দূরেই আবছাভাবে দেখা যাচ্ছে গ্রাম। নৌকার যাত্রীরা প্রাণপণে বৈঠা মারছে।

বিমানবিধ্বংসী কিশোর

একমাত্র আদিবাসী বীরবিক্রম

নাম তার উক্যচিং মারমা, পরিচিতজনরা আদর করে ডাকে ইউকে চিং। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী একমাত্র আদিবাসী বীরবিক্রম। রংপুরের হাতিবান্ধায় ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের বর্ডার ...

একমাত্র আদিবাসী বীরবিক্রম

যাদের রক্তে মুক্ত এ দেশ

‘আমার প্রাণের গান আমি গাইতে পারিনি অকুণ্ঠিত চিত্তে, নির্ভয়ে—আমার ভাষা—আমার পোশাক সম্বন্ধে শুনেছি নিরন্তর আপত্তি। আমার মতো করে আমি চলতে পারিনি—বলতে পারিনি—প্রাণ খুলতে পারিনি।

যাদের রক্তে মুক্ত এ দেশ

ইতিহাসেও ব্রাত্য

পুঠিয়া থেকে উত্তরে তাহেরপুরের দিকে দশ-বারো কিলোমিটার গিয়ে ডানদিকে খানিকটা এগোলেই দেশের সুবিস্তৃত হূদয়স্থানে পৌঁছুনো যায়, টের পাওয়া যায় তার স্তিমিত মৃদু হূত্স্পন্দন।

ইতিহাসেও ব্রাত্য

খুঁজে পাওয়া সোনার ছেলে

তখনো আমার জ্ঞান আছে। দেখলাম আমার ডান হাত ক্রমশ ঝুলে পড়ছে নিচের দিকে। একজন হাবিলদার তার লুঙ্গি ছিঁড়ে রক্ত বন্ধ করার চেষ্টা করছে... গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর আমাকে গরুর গাড়িতে নিয়ে যায়।

খুঁজে পাওয়া সোনার ছেলে
বিজ্ঞাপন

বাতাসে ভাসবে ঠিক

আমাকে যেতেই হবে দূরে, বহু দূরে। যদি পা আমার এখন প্রবল হয়ে যায়, তা’হলে নিশ্চিত আমার এই সংসারে বেকার হয়ে থাকবো এক কোণে থাকবো সবার কণ্ঠলগ্নপাত্র হয়ে, যা আমার কস্মিনকালেও নয় বিন্দুমাত্র কাঙ্ক্ষনীয়,

বাতাসে ভাসবে ঠিক

ষোলোই ডিসেম্বর

১৯৭১ সালের ষোলোই ডিসেম্বরে কী যে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিলাম আমরা, চঞ্চল হয়ে উঠেছিলাম অনাস্বাদিত আনন্দে, বুক ফুলে উঠেছিল সমষ্টিগত সাফল্যে। কোটিখানেক শরণার্থী উদেযাগ নিয়েছিল স্বদেশ-প্রত্যাবর্তনের;

ষোলোই ডিসেম্বর
বিজ্ঞাপন