বিজ্ঞাপন
default-image

উকলাঘর জঙ্গলের চিপা দিয়ে ধীরগতিতে নৌকা চলে। গুজাকাঁটায় ছেয়ে আছে পুরো এলাকা। শরীরে খোঁচা লাগছে। এটা হাওর এলাকা। একটু দূরেই আবছাভাবে দেখা যাচ্ছে গ্রাম। নৌকার যাত্রীরা প্রাণপণে বৈঠা মারছে। রাতের আঁধারে বনের মধ্যে বসে থাকা রাতচোরা পাখিরা নৌকার শব্দে ডানা ঝাপটে পালিয়ে যায়। এক সারিতে তিনটি নৌকা। নৌকার ওপরে অস্ত্র হাতে বসে আছে মুক্তিযোদ্ধারা। গ্রামের কাছে নৌকাগুলোকে ভিড়ানো হলো। সবাই নৌকা থেকে নেমে এল। অন্ধকারে কাউকে চেনা যায় না, শুধু ছায়া দেখা যায়। তবে একজনকে সবাই চিনতে পারে। তার ছায়া সবচেয়ে ছোট। নাম ইসমাইল। ১২ বছরের কিশোর। গ্রাম টামনিপাড়া, জেলা কিশোরগঞ্জ। একজন অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা।

ইসমাইলের পাশে এসে দাঁড়াল ওদের কমান্ডার ইয়ামেন। সে নামকরা একজন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। ৫ নম্বর সেক্টরের একজন অসম সাহসী মুক্তিযোদ্ধা।

—ইসমাইল।

—জি কমান্ডার।

—গ্রামের ভেতরে রেকি করে দেখে আয়, থাকার ব্যবস্থা হবে কি না।

—আচ্ছা।

অন্ধকারে মিলিয়ে গেল ইসমাইল। গ্রামের জংলা রাস্তায় দুবার হোঁচট খেল সে। সিলেটের এ অঞ্চলে পাকিস্তানি দালালদের আধিপত্য একটু বেশি। তাই আশ্রয় নেওয়ার আগে ভালোভাবে দেখতে হবে নিরাপদ কিনা।

ইসমাইলের মনে পড়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে আসার কথা। ১০ মে ১৯৭১। গ্রাম থেকে করিমগঞ্জ সদরে এসে সমমনা বেশ কয়জনকে পেয়ে যায় সে। তারাও যাবে যুদ্ধে। কিন্তু ইসমাইলকে সঙ্গে নিতে অনেকে আপত্তি করে। এই বাচ্চা ছেলে ক্যামনে যুদ্ধ করবে। ইসমাইলের মনোবল আর জিদের কাছে ওরা হার মানে। রাতের অন্ধকারে ওরা চলে আসে টেকেরহাটে। ১০-১৫ দিন সেখানে থাকার পর একদিন সুযোগ বুঝে চলে আসে তাহেরপুর থানায়। থানার ওসি ছিল বাংলাদেশ সমর্থক। ওসি এবং ওই এলাকার পাথর সরবরাহের প্রজেক্ট ম্যানেজার কাজী আবদুল কাদেরের সহায়তায় তারা সবাই পৌঁছে যায় বালাহাট মুক্তিযোদ্ধা ট্রানজিট ক্যাম্পে। সেখানে দেখা হয় কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগের নেতা অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদের সঙ্গে। তার সহযোগিতায় পুরো দলটি চলে যায় মেঘালয় মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। প্রশিক্ষণ শেষে চলে আসে ৫ নম্বর সেক্টরের অধীনে। তখন ৫ নম্বর সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর মীর শওকত (বীর উত্তম, পরবর্তী সময়ে মেজর জেনারেল), এরপর থেকেই ইসমাইলের যুদ্ধজীবন শুরু।

পাকসেনাদের ওপর তার প্রথম আক্রমণ ছিল তেলিখাল আর্মি ক্যাম্পে। সেদিনের কথা মনে আছে।

সেক্টর কমান্ডার বলেছিলেন, তোমাদের কাজ হবে ‘হিট অ্যান্ড রান’। পাকসেনাদের ক্যাম্পে ফায়ার করে দু-চারজনকে খতম করে মুহূর্তের মধ্যে সেখান থেকে চলে আসবে। জীবনের প্রথম যুদ্ধে ইসমাইলের কমান্ডার ছিলেন আতাউর রহমান। ওরা সবাই ছিল ইকো-১ কোম্পানির মুক্তিযোদ্ধা। রাতের আঁধারে ওরা বিড়ালের মতো বুক মাটিতে রেখে ক্রল করে একেবারে তেলিখাল পাকসেনাদের পজিশনের কাছে চলে যায়। পাকসেনারা টেরও পেল না। ইসমাইলের মনে হলো পেটে কিছু নেই। জীবনের প্রথম সম্মুখযুদ্ধ। একটু ভয় করতে লাগল তার। একেবারে বাচ্চা একটা ছেলে। সবাই জোয়ান বয়সের। ৩০৩ রাইফেল নিয়ে সে পজিশন নিয়েছে। তার পাশেই সেকশন কমান্ডার আতাউর। ফিসফিস করে কমান্ডার বললেন, ‘ফায়ার’। রাইফেলের বোল্ট টেনে প্রথম গুলি ছুড়ল সে। তারপর একের পর এক বোল্ট টেনেছে আর গুলি করেছে। দলের সবাই বৃষ্টির মতো গুলি করতে লাগল। ওদিকে বাংকার থেকে পাকসেনারা চিত্কার শুরু করল—মুক্তি অ্যায়া, মুক্তি অ্যায়া।

ওদের আর্তনাদ শুনতে পেল সে।

একজন চিত্কার করে উঠল ‘ইয়া আল্লাহ্’। পাকসেনারাও তাদের বাংকার থেকে ফায়ার শুরু করল। দুই পক্ষের গোলাগুলি চলছে তুমুল। ইসমাইলের হাত ব্যথা হয়ে গেল ৩০৩ রাইফেলের বোল্ট টানতে টানতে। ওদের মনে পড়ল সেক্টর কমান্ডারের কথা, ‘হিট অ্যান্ড রান’। বেশি অপেক্ষা করা যাবে না। ওরা রণে ভঙ্গ দিয়ে ফিরে এল ক্যাম্পে।

এভাবে প্রায় রাতেই পাকসেনাদের ক্যাম্পে ‘হ্যারাসিং’ ফায়ার করত ওরা। একদিন সেক্টর কমান্ডার মেজর শওকত সাহেব বললেন—একটা কোনো স্পেশাল অপারেশন করে দেখাও।

স্পেশাল অপারেশনটা কী হবে তা কেউ ভেবে পেল না। ক্যাম্প থেকে স্পেশাল অপারেশন কীভাবে করা যাবে? ইসমাইল সাহস করে মেজর শওকতকে বলল—স্যার, ক্যাম্পে থেকে তো স্পেশাল অপারেশন হবে না। আমাদের দেশের ভেতরে যেতে দেন। স্পেশাল অপারেশন করে আসি।

কোম্পানি কমান্ডার ইয়ামেন ওর হাত ধরে টান দিয়ে বলল—এই চুপ কর, বস। সেক্টর কমান্ডারের মুখে মুখে কথা!

মেজর শওকত বলল—আরে, ওকে বলতে দাও। তুমি তো একেবারে বাচ্চা, স্পেশাল অপারেশন করতে গেলে মরতে হবে যে—

—মরব কেন স্যার, মারতে এসেছি, মাইরা তারপর মরব।

—শাব্বাশ বেটা। তোমাকে অনুমতি দিলাম স্পেশাল অপারেশনে যাওয়ার জন্য।

পরদিনই কমান্ডার ইয়ামেনের নেতৃত্বে তারা বেরিয়েছে স্পেশাল অপারেশন করতে। সেদিন থেকে প্রায় পাঁচ দিন তারা নৌকায় চেপে এই হাওরে ঘুরছে।

ঘেউ ঘেউ। কুকুরের ডাকে ইসমাইল বর্তমানে ফিরে এল। সামনেই বেশ কয়টা বাড়ি। আশপাশটা ভালো করে দেখে নিল সে। জায়গার নাম সে জানে না। সে কিশোরগঞ্জের ছেলে। এদিকটার একদম জানাশোনা নেই। কী মনে করে বাড়ির লোকজনকে ঘুম থেকে না ডেকে ফিরে এল সে। কমান্ডারকে বলল, যারা সিলেটের ভাষা জানে তাদের সঙ্গে করে গ্রামে গেলে ভালো হবে।

রাতটা তারা গ্রামেই কাটিয়ে দিল। প্রায় এক সপ্তাহ হাওরের ওপরে নৌকা চালিয়ে সবাই পরিশ্রান্ত। এক ঘুমেই কেটে গেল রাত। যখন ঘুম ভাঙল বেশ বেলা হয়েছে। ১০টার কাছাকাছি। হাওরের পানিতেই সবাই হাত-মুখ ধোয়া এবং গোসল সেরে নিল। দুপুরের খাবার আয়োজনে সবাই ব্যস্ত। গ্রামের ভেতরে দুই বাড়িতে রান্না হচ্ছে। গ্রামবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেছে। হঠাত্ করে ভো...ভো...শব্দ ভেসে এল। শোনামাত্র মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র হাতে তৈরি হলো। শব্দ কিসের? পাকসেনারা কি তাদের খবর পেয়ে গেল? হাওরের ভেতর দিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকা করে পাকসেনারা আসছে কি না নিশ্চিত হওয়ার জন্য দু-চারজন হাওরের চারদিক দেখার জন্য চলে গেল। একটু পরে সবাই বুঝতে পারল শব্দ আসছে আকাশ থেকে। পাকসেনাদের পরিবহন বিমান। গ্রামবাসী জানাল, হাওরের পশ্চিম পাশেই সালুটিকর বিমানবন্দর। মাসে দু-একবার করে এই পরিবহন বিমান আসে। মালামাল খালাস করে চলে যায়। সালুটিকর বিমানবন্দর এখান থেকে বেশি দূরে নয়। মাইলখানেক।

বিমানটি আড়াই চক্কর দিয়ে ধীরে ধীরে অবতরণ করছে। বিমানটি তাদের এত কাছ দিয়ে উড়ে গেল যে, তারা সবাই দেখতে পেল—বিমানের গায়ে লেখা ৩০.। চাকাগুলো নেমে বলে বিমানের গা থেকে। তারপর ধীরে ধীরে নামছে বিমান। ইসমাইল হঠাত্ বলল—কমান্ডার একটা কথা কইবাম।

—ক!

বিমানটা গুলি করলে ক্যামুন হয়, এটাই আমাদের স্পেশাল টার্গেট।

—এখন গুলি করবি ক্যামনে। নেমে পড়ছে তো।

—ঘণ্টা দুই-তিন পর আবার তো উঠব। আমাদের মাথার ওপর দিয়ে চক্কর দেওয়ার সময় গুলি করা যায় না?

—কথাটা ঠিক কইছস।

দলের সবার মনে ধরল কথাটা। বিমানে গুলি করে ফেলতে পারলে এটাই হবে উল্লেখযোগ্য টার্গেট। মুক্তিবাহিনীর হাতে বিমান ধ্বংস। উত্তেজনায় সবাই টান টান হয়ে গেল।

কমান্ডার ইয়ামেন হিসাব করে দেখলেন, ওদের সঙ্গে দুটো এলএমজি আছে। কিছু ট্রেসার রাউন্ডও আছে। এ ছাড়া রাইফেল তো আছেই। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হলো পাকবাহিনীর এই ৩০ বিমানকে গুলি করা হবে।

আসন্ন অপারেশনের প্লান করা হলো যে, দুটো এলএমজি উকলাঘর বনের ভেতরে প্রায় ২০০ গজ দূরে পজিশন নেবে। দুটো নৌকা থাকবে দুইপাশে। বাঁশ দিয়ে নৌকা বাঁধা হবে আর দুটো বাঁশের ওপরে এলএমজি দুটো আকাশের দিকে মুখ করে বাঁধা হবে। দুই এলএমজির মাঝ বরাবর থাকবে আর একটি নৌকা। এ নৌকায় থাকবে রাইফেল হাতে চারজন। বাকি সবাই প্রায় ৫০০ গজ এলাকাজুড়ে বাঁশঝাড় ও গুজাকাঁটার ঝোপের ভেতরে পজিশন নেবে। বিমান যখন চক্কর দিয়ে এই ৫০০ গজ এলাকা অতিক্রম করতে যাবে তখন সবাই ফায়ার করবে। অপারেশনের পরিকল্পনা মোতাবেক সবাই যার যার পজিশনে চলে গেল। বাঁশ পুঁতে ভালোভাবে এলএমজি বসানো হলো। এলএমজি চেম্বারে ঢুকানো হলো ট্রেসার রাউন্ড। সবার চেম্বারেই গুলি। এখন শুধু প্রতীক্ষার পালা।

প্রতীক্ষার সময় খুবই দীর্ঘ ও ক্লান্তিকর। স্নায়ুর ওপরে প্রচণ্ড চাপ। কখন উড়বে বিমান। এর মধ্যে একজন এসে জানাল দুপুরের খাবার তৈরি। কিন্তু খাবারের প্রতি কারো কোনো আগ্রহ নেই। কেউ পজিশন ছেড়ে যেতে চায় না।

আচানক কখন উড়ে যাবে বিমান কে জানে! পরিষ্কার আকাশ। চিল উড়ছে। হাওরের সাদা বক উড়ে উড়ে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গা বসছে। পানকৌড়ির ঝাঁক এই ডুব দেয়, এই ওঠে। পানির ওপরে টুকবুগ টুকবুগ করছে তাদের কালো মাথাগুলো। ঝপাত্ করে ঝাঁপ দিচ্ছে মাছরাঙা। দূরে কোথাও একটানা ডেকে চলছে ডাহুক। ১ ঘণ্টা পার হয়ে গেল। বিমান উড্ডয়নের কোনো আভাস নেই। প্রতীক্ষার ধৈর্যে ক্লান্তির আভাস। হাওরের পানিতে ছোট ছোট ঢেউ। এক সময় হাওরে ছিল মাছ ধরার ধুম। পাকসেনাদের ভয়ে এখন নৌকায় চেপে কেউ মাছ ধরে না। এখন শূন্য হাওর। ২ ঘণ্টা পার হয়ে গেল। ঠায় বসে আছে সবাই। কমান্ডার ইয়ামেন ভাবছেন, এখন কী করবেন। কয়েকজন করে গ্রামে পাঠিয়ে খেয়ে আসতে বলবে কি না?

এমন সময় ভো...ভো...ঝ...ঝ...। শুনতে পেল সবাই। এই শব্দেরই প্রতীক্ষায় ছিল তারা। সবাই নতুন উদ্যমে আবার প্রস্তুত হয়ে গেল। এবার সবার আঙুল অস্ত্রের ট্রিগারে। পাকসেনাদের পরিবহন বিমানটি সালুটিকর বিমানবন্দর থেকে উঠল। হাওরের পশ্চিম কোনায় গ্রামের ওপরে দেখা গেল তাকে। তখনো বিমানের চাকা তোলা হয়নি। চাকাগুলো দেখা যাচ্ছে। ধীরে ধীরে চাকাগুলো ঢুকে গেল। নাক বরাবর আসছে বিমানটি। বেশ নিচু দিয়ে। এসে গেছে একেবারে কাছে। শুরু হলো প্রচণ্ড গুলি। কিন্তু বিমানের শব্দে গুলির কোনো আওয়াজ শোনা যাচ্ছে না। সবাই গুলি করছে। সেকেন্ডে সেকেন্ডে দুটো এলএমজি দিয়ে গুলি করা হয়েছে। মাথার ওপর দিয়ে প্রচণ্ড শব্দে উড়ে গেল বিমানটি। বিমানের শব্দ আর বাতাসের বেগে হাওরের বুকে ঢেউ উঠল। ছপাত্ ছপাত্ শব্দের সঙ্গে নৌকাগুলো দুলে উঠল।

নৌকার দুলুনিতে গুজাকাঁটার খোঁচা খেয়ে অনেকের শরীর রক্তাক্ত হলো। কিন্তু সবকিছু ভুলে সবাই তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে। কেউ জানে না বিমানে গুলি লেগেছে কি না। হঠাত্ আকাশে দেখা গেল বিমানের লেজের দিক থেকে চিকন কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে। একটু পরেই চিকন ধোঁয়াটি মোটা কালো ধোঁয়ার রূপ নিল এবং ভকভক করে বেরোতে লাগল। বিমানে গুলি লেগেছে...। ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠল মুক্তিযোদ্ধারা।

সবার চোখ এখন আকাশের দিকে। বিমানটি দুলছে। চক্কর নিয়ে বিমানবন্দরের দিকে মুখ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু পারছে না। কাটা ঘুড়ির মতো বিমানটি এদিক-ওদিক দুলছে প্রচণ্ডবেগে। আশপাশের প্রতিটি গ্রাম থেকে ভেসে আসছে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান। আবালবৃদ্ধবনিতার সবার চোখ এখন আকাশের দিকে। এদিকে সালুটিকর বিমান ঘাঁটি থেকে পাকসেনারা অজানা শত্রুর উদ্দেশে শুরু করেছে প্রচণ্ড গুলিবর্ষণ। তারা জানে না হাওরের কোন প্রান্ত থেকে বা কোন গ্রাম থেকে বিমানে গুলি করা হয়েছে।

আকাশে দুলছে পাকসেনাদের বিমান। কালো ধোঁয়ার আঁধার। এলাকাজুড়ে গগনবিদারী স্লোগান। এবার বেশ নিচুতে নেমে এল বিমানটি। বেশ কিছু দূরে হাওরের দক্ষিণ প্রান্তে নাক নিচু করে চাষাজমির মধ্যে হুমড়ি খেয়ে পড়ল বিমানটি।

দুই দিন পরেই আকাশবাণী থেকে প্রচারিত হলো খবরটি। জয় বাংলা পত্রিকায় খবরটি প্রকাশিত হলো, ‘বিমানবিধ্বংসী ইয়ামেন’ শিরোনামে। কিশোর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইলের মাথা থেকে যে পরিকল্পনা বের হয়েছিল, সেদিন তা বাস্তবে রূপ নিয়েছিল।

আজও ইসমাইল বেঁচে আছে। এখন তার বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি। তিনি এখন কিশোরগঞ্জ সরকারি হাসপাতালের পিয়ন। জীবনযুদ্ধে পর্যুদস্ত। টাকার অভাবে তার ছোট ছেলেটি কলেজে ভর্তির ফরম পূরণ করতে পারেনি।

সূত্র: ১৬ ডিসেম্বর, ২০০৫ সালের বিশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত