একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবারের সঙ্গে তাঁরা দুই বোন পশ্চিমবঙ্গের নদীয়ায় পাড়ি জমান। উচ্চমাধ্যমিকে পড়ার সময়ই তাঁরা নার্সিং ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। সেই শিক্ষা কাজে লাগিয়ে কৃষ্ণনগরের ...
যশোর সদর হাসপাতালে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন চিকিৎসক শাখাওয়াৎ হোসেন। পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের পদলেহী রাজাকারদের কাছে এটি ছিল মারাত্মক অপরাধ। হাসপাতাল চত্বরেই তাঁকে গুলি করে হত্যা করে ...
তখনো ভোরের কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের আলো ছড়ায়নি। এলাকার মানুষ ডুবে আছেন ঘুমে। কুখ্যাত রাজাকার কছিম উদ্দীনের তথ্যের ভিত্তিতে ভাটপাড়া ক্যাম্প থেকে পাকিস্তানি হানাদারদের এক বিশাল বাহিনী ঢোকে মেহেরপুরের ...
প্রতিভাবান তরুণ ছিলেন মেহেরপুরের আবদুল হামিদ। যেমন ভালো অভিনয় করতেন, তেমনি সুনাম কুড়িয়ে ছিলেন খেলাধুলায়। তবে তাঁর প্রতিভা বিকাশের সুযোগ দেয়নি রাজাকাররা। মুক্তিযুদ্ধের সময় আজকের এই দিন ৩ ডিসেম্বরে ...
পাকিস্তানি বর্বর হানাদার বাহিনীর নিষ্ঠুর পৈশাচিক তাণ্ডবে একাত্তরে সীমান্তবর্তী মেহেরপুর জেলার বামুন্দী এলাকার গ্রামগুলো ছিল বিপর্যস্ত। বহু মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতের নদীয়ার করিমপুর ও শিকারপুরে ...
একাত্তরের ১৭ জুলাই শুক্রবার ভোরবেলা। নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর গ্রামে হানা দেয় রাজাকার ও পাকিস্তানি হানাদার সেনাবাহিনী। ঘিরে ফেলে শিক্ষক তরফদার আতিয়ার রহমানের বাড়ি। বাইরে শোরগোল শুনে তিনি বিছানা ...
বিকেল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল সেদিন। বাড়ির উঠানে পানি জমেছে। ঘর থেকে সদর দরজা পর্যন্ত একটি একটি করে ইট বিছানো। রাত তখন নয়টা। মেহেরপুরের সাহারবাটি গ্রামে উজির আলী মালিথ্যা রাতের খাবার খেয়ে জানালায় ...
একাত্তরের ১৫ মে বেলা তিনটা। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মধুমতী নদীর তীরঘেঁষা ইতনা গ্রামে হামলা চালায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। বর্বরদের হাত থেকে রক্ষা পেতে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম ...
১৯৭১ সালের জুন মাসের ঘটনা। সেদিন সকালে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মহিষকুণ্ডী গ্রামের শিক্ষক আবদুল কাদেরের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ ও পাকিস্তানি হানাদার সেনার দল।
একাত্তরের মার্চ-এপ্রিল মাসজুড়ে মেহেরপুরের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ে। শহরের আদালত প্রাঙ্গণে ছিল পাকিস্তানি হানাদার সেনাদের ক্যাম্প। সেখানে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিকামী ...
প্রকৌশলী এ কে এম মনিরুজ্জামানকে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ টুকরো টুকরো করে ফেলে অবাঙালিরা। বাবার এই করুণ পরিণতির কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন তাঁর ছেলে রফিকুল আলম। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী, ঢাকায় বসবাস করেন।
রাজশাহী বেতারের প্রকৌশলী মহসিন আলী অনুষ্ঠান উপস্থাপনার পাশাপাশি আবৃত্তিও করতেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি স্ত্রী-সন্তানদের রাজশাহী থেকে গ্রামের বাড়ি মেহেরপুরে নিয়ে আসেন।