এ কে নিয়াজি

শত্রুপক্ষ

আমাকে যে দুর্ভাগ্য বরণ করতে হয়েছে, তাতে আমার কোনো হাত অথবা ইচ্ছা ছিল না। পশ্চিম পাকিস্তান রক্ষায় প্রেসিডেন্ট আমাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলে আমি বিচলিত হয়ে পড়ি। তখন আমার সামনে দুটি পথ খোলা ছিল। ...

১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১

দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি পায় কাঙ্ক্ষিত মুক্তিযুদ্ধে বহুপ্রত্যাশিত বিজয়। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে পূর্ববঙ্গের আপামর জনতা পৃথিবীর মানচিত্রে জন্ম দেয় ...

১৫ ডিসেম্বর ১৯৭১

ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মানেকশ ১৫ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীকে আত্মসমর্পণের জন্য শেষবারের মতো নির্দেশ দেন। এর আগে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ এ কে নিয়াজি বেলা আড়াইটার দিকে ...

২৭ নভেম্বর ১৯৭১

দিনাজপুর অঞ্চলের হিলিতে পাকিস্তানি বাহিনীর শক্ত ঘাঁটি মুক্ত করার জন্য মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনীর সমন্বিত আক্রমণ ২৭ নভেম্বর তীব্র আকার ধারণ করে। হিলিতে তীব্র লড়াই হয়।

১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর তারিখে দুপুর প্রায় বারোটা পর্যন্ত ঢাকাবাসীর মনে নিশ্চিতভাবে একটা প্রশ্নই কাজ করেছে-আমরা বাঁচব তো? না-বাঁচার সম্ভাবনা প্রায় পুরোপুরি; সামান্য যেটুকু সম্ভাবনা তাও ছেড়ে দিয়ে আছি ...

১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১, বৃহস্পতিবার, বিকেল চারটা পঞ্চান্ন মিনিটে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় অধিনায়ক লে. জেনারেল এ এ কে নিয়াজি বাংলাদেশ-ভারত মিত্র বাহিনীর অধিনায়ক লে. ...

২৫ মে ১৯৭১

ঢাকা শহর ও নারায়ণগঞ্জ থেকে ভয়ানক দুঃসংবাদ এসে পৌঁছেছে। গত ১৭ এবং ১৮ মে তারিখে খোদ ঢাকা শহরের দুই জায়গায় হ্যান্ডগ্রেনেড ছোড়া হয়েছে। এসব জায়গার মধ্যে রয়েছে প্রাদেশিক সেক্রেটারিয়েট, স্টেট ব্যাংক অব ...

বিদেশিদের চোখে: পাকিস্তান

পাকিস্তান ভাঙনের আগের কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ মাস আমি তরুণ ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলাম। এর মধ্যে আমি পদোন্নতি পেয়ে মেজর হিসেবে ঢাকা ও চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালন করি। প্রথমে সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ও ...