বিজ্ঞাপন
default-image

মো. নূর ইসলাম ১১ নম্বর সেক্টরের অধীন মহেন্দ্রগঞ্জ সাব-সেক্টরে যুদ্ধ করেন। তাঁর যুদ্ধ এলাকা ছিল কামালপুর। তাঁর বাড়িও এই এলাকায়। ১৯৭১ সালে এপ্রিল পর্যন্ত ওই এলাকা মুক্ত ছিল। পাকিস্তানি বাহিনী কামালপুরে ঘাঁটি স্থাপন করলে ২২ মে তিনি ভারতে গিয়ে মহেন্দ্রগঞ্জ যুবশিবিরে আশ্রয় নেন। পরে তেলঢালা পাহাড়ে এক মাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি মহেন্দ্রগঞ্জ সাব-সেক্টরে যোগ দেন।

জুলাইয়ের শেষ থেকে কামালপুর এলাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিনিয়ত যুদ্ধ হয়। নূর ইসলাম খাসিয়াপাড়া, বাট্টাজোড়, কামালপুর, উঠানিপাড়া, গলাকাঠি, খাসির গ্রাম, তেনাচিড়া ও ধানুয়ার যুদ্ধে অংশ নেন। তিনি স্থানীয় লোক হওয়ায় যুদ্ধে তাঁর আরেকটি দায়িত্ব ছিল। তাঁকে বেশির ভাগ সময় গাইড হিসেবে কাজ করতে হতো। নূর ইসলাম মুক্তিযোদ্ধাদের রাস্তাঘাট চিনিয়ে দেওয়ার কাজে সাহায্য করতেন। সে কারণে বেশির ভাগ সময় তাঁকে সবার পুরোভাগেই থাকতে হতো।

১৭ অক্টোবর ধানুয়ায় সম্মুখযুদ্ধে নূর ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। মুক্তিযোদ্ধারা তাঁকে উদ্ধার করে তুরায় পাঠিয়ে দেন। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে প্রথমে গোয়াহাটি, পরে লক্ষ্ণৌতে পাঠানো হয়। তিনি সেখানে থাকা অবস্থায় দেশ স্বাধীন হয়।

নূর ইসলাম জানান, তিনি দুটি খেতাব পেয়েছেন—‘বীর প্রতীক’ ও ‘বীর বিক্রম’। এটি তিনি ২০১১ সালে জেনেছেন। তিনি বীর প্রতীকের সনদ পেয়েছেন, কিন্তু বীর বিক্রম খেতাবের সনদ এখনো পাননি। বীর বিক্রমের গেজেটে তাঁর নম্বর ১৭১।

সূত্র: একাত্তরের বীরযোদ্ধা: খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা, প্রথম খণ্ড, প্রথমা প্রকাশন, ঢাকা ২০১২

সম্পাদক: মতিউর রহমান, সংগ্রহ ও গ্রন্থনা: রাশেদুর রহমান