মুক্তিযুদ্ধ

মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষী

মা বললেন, ‘তোমরা সবাই পালাও, আমাকে মারবে না’

এক সকালে জাউ খেতে বসলাম আমরা। তখনই শুনি, পাকিস্তানি মিলিটারি এসেছে। জাউয়ের প্লেট ফেলে কেউ ছুটে গেলাম পাটখেতে, কেউ পানিতে কিংবা জঙ্গলে।

মা বললেন, ‘তোমরা সবাই পালাও, আমাকে মারবে না’

মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষী

সুন্দরবনে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার লড়াই

আমরা আটজন সুন্দরবনের দিকে রওনা হয়েছিলাম কাঠ কাটার জন্য। নৌকায় করে কিছু দূর যাওয়ার পর স্থানীয় লোকজন জানাল, আজ এখানে যুদ্ধ হতে পারে।

সুন্দরবনে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার লড়াই

মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষী

বাবাকে আর ডাব পাড়তে হলো না

বাবার সঙ্গে আমিও কাঁপা কাঁপা গলায় কালেমা তাইয়েবা পড়তে লাগলাম। পাশেই ছিল নারকেলগাছ। পাকিস্তানি সেনারা বাবাকে বলল, ‘ডাব পাড়ো।’

বাবাকে আর ডাব পাড়তে হলো না

কবিতা ও ছবিতে মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলো

মুক্তিযুদ্ধের সময় লেখা শামসুর রাহমানের কবিতাগুলো পরবর্তী সময়ে বন্দীশিবির থেকে এবং ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা কাব্যগ্রন্থ দুটিতে প্রকাশিত হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে প্রদর্শিত হচ্ছে কবি শামসুর রাহমানের কবিতার পাণ্ডুলিপি ও শিল্পী আমিনুল ইসলামের শিল্পকর্ম

বিজয়ের পথ—১৬

বিজয়ে অর্জিত হলো স্বাধীন বাংলাদেশ

ঢাকায় তখন পাকিস্তানি সেনাকর্তারা ফুটো বেলুনের মতো চুপসে গেছে। তাদের মধ্যে বিরাজ করছিল গভীর উদ্বেগ আর সমন্বয়হীনতা।

আত্মসমর্পণের দলিলে সই করছেন পাকিস্তানি বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ এ কে নিয়াজি। পাশে মিত্রবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা, রেসকোর্স ময়দান, ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১
বিজ্ঞাপন

পিটার আর কানের দিনপঞ্জি

সারা ঘরে পড়ে ছিল আধখাওয়া ডিমের টুকরো

জেনারেল ফরমান আলী কাদামাখানো একটি মার্সিডিজে চড়ে এসেছিলেন, লাইসেন্স প্লেটে ছিল দুটি জেনারেল তারা চিহ্ন। কোনো সশস্ত্র পাহারা ছিল না।

সারা ঘরে পড়ে ছিল আধখাওয়া ডিমের টুকরো

বিজয়ের পথ—১৫

পাকিস্তানি ঘাঁটির একে একে দ্রুত পতন

৭ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সাঁড়াশি আক্রমণে নোয়াখালী ও মাগুরা থেকে পাকিস্তানি বাহিনী পিছু হটে।

ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে দিনের আলোয় অভিযানে নিয়োজিত ভারতীয় বিমানবাহিনীর ক্যানবেরা-বোমারু বিমান। ১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর

পিটার আর কানের দিনপঞ্জি

পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণ করতে প্রচারপত্র ফেলছিল ভারতের বিমান

বিকেলের বিমান হামলার এলাকা থেকে বেশ কয়েকজন আলোকচিত্রী ফিরে এলেন। তাঁরা বললেন, বেসামরিক এলাকায় রকেট আঘাত করেছে, কমপক্ষে এক ডজন বেসামরিক বাঙালির মৃত্যু হয়েছে।

পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণ করতে প্রচারপত্র ফেলছিল ভারতের বিমান

মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষী

পাকিস্তানি সেনারা মুক্তিযোদ্ধাকে দেখিয়ে দিয়ে বলে, ‘এই লোক কে?’

তখন খানিকটা দূর দিয়ে যাচ্ছিল পাকিস্তানি সেনারা। তারা এসে কৃষককে উর্দুতে বলে, ‘এই যে বাঙালি, এদিক দিয়ে কোনো লোক গেছে?’

পাকিস্তানি সেনারা মুক্তিযোদ্ধাকে দেখিয়ে দিয়ে বলে, ‘এই লোক কে?’

একাত্তরের স্মারক—৩

খাবার খেয়ে, গান শুনে গুলি করে হত্যা

পাকিস্তানি সেনাদের আদর-আপ্যায়ন করে, গানবাজনা শুনিয়ে ভূপতিনাথ চক্রবর্তী ভেবেছিলেন, তাঁর বিপদ কেটে গেছে।

রাজধানীর মুক্তিযুুদ্ধ জাদুঘর গ্যালারিতে শহীদ ভূপতিনাথ চক্রবর্তী চৌধুরীর আঁকা দুটি চিত্রকর্ম

বিজয়ের পথ—১৪

চূড়ান্ত পরাজয়ের আগে বুদ্ধিজীবী হত্যা

মুক্তিযুদ্ধে বিজয় এসেছিল কঠিন পথে; অসংখ্য মানুষের ত্যাগে ও সংগ্রামে, নানা রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও সামরিক উদ্যোগে। গুরুত্বপূর্ণ সেসব ঘটনা নিয়ে এ আয়োজন।

চূড়ান্ত পরাজয়ের আগে বুদ্ধিজীবী হত্যা

পিটার আর কানের দিনপঞ্জি

জেনারেল নিয়াজি তিন দিন আগেও বলেছিলেন, আত্মসমর্পণের প্রশ্নই ওঠে না

রিকশা যাচ্ছিল পাশ দিয়ে এবং বিহারি যাত্রীরা রিকশায় বসে যুদ্ধের বুনো নাচ নাচছিল, তখন মাথা নিচু করে রিকশার প্যাডেলে পা চালাচ্ছিল বাঙালি রিকশাচালক।

১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ : আত্মসমর্পণের দলিলে সই করেন পাকিস্তানি বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধিনায়ক লে. জেনারেল এ এ কে নিয়াজি (ডানে বসা)। পাশে বসা মিত্রবাহিনীর লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা
বিজ্ঞাপন

মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষী

সঙ্গী হারানোর শোক আমাকে অপ্রতিরোধ্য করে তোলে

মিলিটারি ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে তাঁদের ওপর চালায় অমানুষিক অত্যাচার। টগরকে মেরে গাছে ঝুলিয়ে রাখে। আর বাকি দুজনকে হত্যা করা হয় গুলি করে।

সঙ্গী হারানোর শোক আমাকে অপ্রতিরোধ্য করে তোলে

বিজয়ের ডিসেম্বর দেশে দেশে

মালদ্বীপ: বিদেশি আগ্রাসন রুখে দেওয়ার দিন

ভাড়াটে সেনাদের অভ্যুত্থানচেষ্টার বিরুদ্ধে মালদ্বীপের বিজয় শেখায়—আকারে ছোট হলেও একটি জাতির দেশপ্রেম আর সাহসের কোনো সীমা থাকে না।

মালদ্বীপের জাতীয় পতাকা

পাকিস্তানি ইতিহাসবিদের লেখা

পাকিস্তানে বাঙালি বন্দিশিবিরের গোপন ইতিহাস

১৯৭১ সালে পাকিস্তানের আফগান সীমান্তের কাছে ঔপনিবেশিক আমলের জরাজীর্ণ শাগাই ফোর্ট ছিল সবচেয়ে কুখ্যাত ক্যাম্পগুলোর একটি, যেখানে হাজার হাজার বাঙালি আটক ছিলেন।

পাকিস্তানে বাঙালি বন্দিশিবির হিসেবে ব্যবহৃত কয়েকটি স্থাপনা
বিজ্ঞাপন