বাতাসে ঝাপট দিচ্ছে বাজ পাখি, তারই কাছে
শ্যামা পাখিটির নির্ভয় উড়াল।
দীর্ঘ সুনামির পর জলের করালদ্রংষ্টা দূরে গেলে
জেগে ওঠে মানবিক চর।
ঘোড়সওয়ারেরা অপসৃত হলে মাথা তোলে ক্ষুদ্র ঝিঁঝি পোকা
ওস্তাদের সারেঙির সাথে পাল্লা দেয় তার স্বরের ঝাঁঝট।
সিরাজের বিক্ষত চিবুক থেকে বের হয় লোহার করাত
কাটে জাফরের মুণ্ডু, মুষ্কদ্বয় মোম্মদী বেগের।
তীব্র তলোয়ার ঘোরে জলের দু’হাত নিচে,
ছুটে যায় তীর ধরে ধূর্ত জলযান।
আকাশে বাতাসে ওঠে হাহাকার শত কারবালার
সখিনার মর্সিয়াতে অশ্রুজল ঝরায় কুম্ভীর
আকাশে দাঁড়িয়ে গেছে সারিসারি যোদ্ধা জিয়াদের
হাতে হ্রস্ব উজিগান, চোখগুলো তামা ও কাসার।
বাতাসে ঝাপট দিচ্ছে বাজপাখি, তবু চাই শ্যামা পাখিটিকে।
সুনামির অন্ধকার জলের উচ্ছ্বাস নেমে গেলে
জেগে ওঠে মানবিক চর
ঝিঁঝি পোকা শুরু করে সুরের ঝাঁঝট তার;
মানুষেরা বেঁচে থাকে, মরে যায় মর্মভেদী ঝড়।
সূত্র: ১৬ ডিসেম্বর, ২০০৯ সালের বিশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত