খাতাজুড়ে ফুটছে আসমানি ফুল, কলম লিখছে
সেই ঘ্রাণ
কিন্তু আঙুল অদৃশ্য,
এই মেঘহীন নিঝুম বৃষ্টিকে বলতে পারো কবির স্বাক্ষর;
আকাশ দেখি না কিন্তু দেখি দেবতাদের চোখের
মতো লক্ষ লক্ষ তারা
মানুষের এই যে কাতর বুক, বিষণ্নতা
কে তার লিখেছে ভাষ্য, করেছে তরজমা?
শুধু শিশিরের মতো ফোঁটা ফোঁটা শব্দ ঝরে পড়ে।
মূলবই কোথায় হারিয়ে গেছে, কিন্তু হয় তার স্বচ্ছ অনুবাদ
এই খাতাভরা মাতাল মেঘের দিন, অশ্রু, হাহাকার
কে লিখেছে এই কাব্য? এই স্বপ্ন, অন্ধকার
মিলেমিশে হয়তো হয়েছে কিছু ভাঙা পঙিক্ত, নদীর মতন
এই বাঁকা ভুরু
সেই অদৃশ্য আঙুল আর অদৃশ্য নদীর জল দেখতে দেখতে
অন্ধ এক পাহাড়ে উঠেছে;
শুধু তার শেষ আছে, কিন্তু শুরু নেই, এই নিস্তব্ধ তরঙ্গ
আর উত্তাল ঝাউবন
পেরিয়ে অনন্ত ভোর, মুখোমুখি নিঃশব্দ আলাপ
আর কেউ নেই, একাই যুগলবন্দী;
এই দুঃখ বা আনন্দকে বলতে পারো নৈঃশব্দ্য, কবিতা।
সূত্র: ১৬ ডিসেম্বর, ২০০৯ সালের বিশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত