বিজ্ঞাপন
default-image

একাত্তরে আমাদের দেশের মানুষের কাছে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র অভূতপূর্ব সাহস, উদ্দীপনা, অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছিল। মুক্তিযুদ্ধের রক্তঝরা দিনগুলোতে দেশের আবালবৃদ্ধবনিতা থেকে শুরু করে রণাঙ্গনের বীর যোদ্ধারা বেতারযন্ত্রে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান শুনেছেন মহাত্মাদের ঐশীবাণী শ্রবণের মতো। গভীর আগ্রহে। অখণ্ড মনোযোগে। প্রবল বিশ্বাসে। অতীত দিনের সেসব স্মৃতি অনেকের মনেই ঝকঝকে রয়ে গেছে। কেমন করে অর্ধশতাব্দী আগে যাত্রা শুরু হয়েছিল এই অবিস্মরণীয় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের।

দ্বিতীয় ফ্রন্ট, দ্বাদশ সেক্টর

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র সম্পর্কে এই অর্ধশতকে বহু বিশ্লেষক বহু মূল্যায়ন করেছেন। তাঁদের কেউ একে অস্ত্র হাতে শত্রুর বিরুদ্ধে রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়ার সমতুল্য বিবেচনা করে আখ্যায়িত করেছেন ‘মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় ফ্রন্ট’ হিসেবে। আবার কেউ কেউ রণাঙ্গনের ১১টি সেক্টরের অনুরূপ হিসেবে গণ্য করে একে বলেছেন ‘দ্বাদশ সেক্টর’। এর সঙ্গে যুক্তদের ‘কণ্ঠসৈনিক’, ‘শব্দসৈনিক’ এমন অভিধায় সম্মানিত করা হয়েছে। সেই যোগাযোগবিচ্ছিন্ন দিনে সংবাদপত্র দেশের সর্বত্র পাওয়া যেত না। আর পত্রিকাগুলো কড়া নিয়ন্ত্রণে ছিল। বেতারই ছিল তথ্য পাওয়া ও বিনোদনের প্রধান উৎস। একাত্তরের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র যে তাৎপর্য নিয়ে জনতার জীবনে উদ্ভাসিত হয়েছিল, নিঃসন্দেহে কোনো দিন তার তুলনা খুঁজে পাওয়া যাবে না। সেই অবিস্মরণীয় উদ্যোগের অর্ধশতবর্ষ পূর্ণ হলো এবার।

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিল তিনটি পর্যায়ে। প্রথম ধাপের শুরু ২৫ মার্চ রাতে হানাদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণহত্যা শুরুর কয়েক ঘণ্টার ভেতরেই। ২৬ মার্চ বেলা দুইটার দিকে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে প্রায় পাঁচ মিনিটের একটি বিদ্রোহী কণ্ঠ ইথারে ভেসে এসেছিল। হানাদার বাহিনীকে সর্বশক্তি দিয়ে রুখে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল বাংলার জনতার প্রতি। এরপর সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে আরেকটি ঘোষণা আসে। স্বাধীন বাংলা বেতারের জ্যেষ্ঠ অনুষ্ঠান সংগঠক শামসুল হুদা চৌধুরী তাঁর একাত্তরের রণাঙ্গন বইয়ে উল্লেখ করেছেন, ‘ঘোষিত হলো, “নাসরুম মিনাল্লাহে ওয়া ফাতহুন কারীর” (আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় নিকটবর্তী)। চট্টগ্রাম বেতারের কালুরঘাট ট্রান্সমিটারে সদ্য সংঘটিত স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র থেকে ভেসে এসেছিল এই বিপ্লবী কণ্ঠ। ঘোষক ছিলেন চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি কলেজের তৎকালীন ভাইস-প্রিন্সিপাল আবুল কাশেম সন্দ্বীপ।’ পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করেছিলেন চট্টগ্রাম বেতারের গীতিকার ও কবি আবদুল সালাম। কালুরঘাটে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্রের অভ্যুদয়ের সঙ্গে যুক্তি ছিলেন যে ১০ জন সার্বক্ষণিক সংগঠক, তাঁদের প্রধান উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি বেলাল মোহাম্মদের নাম উল্লেখ করেছেন। অন্যরা হলেন আবুল কাশেম সন্দ্বীপ, প্রকৌশলী সৈয়দ আবদুস শাকের, অনুষ্ঠান প্রযোজক আবদুল্লাহ আল ফারুক ও মোস্তফা আনোয়ার, টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট রাশেদুল হোসেন ও আমিনুর রহমান, টেকনিক্যাল অপারেটর শরাফুজ্জামান ও রেজাউল করিম চৌধুরী এবং কাজী হাবিবউদ্দিন (বেতারকর্মী নন)।

প্রথম পর্বের সঙ্গে আরও অনেকে নানাভাবে যুক্ত ছিলেন। বিশেষ করে প্রথম অধিবেশনে যে অনুষ্ঠান বা ঘোষণাগুলো সম্প্রচারিত হয়েছিল, তার আয়োজনে অনেকে অংশ নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ২৫ মার্চ রাতের ইংরেজিতে দেওয়া স্বাধীনতার ঘোষণাটি বাংলায় অনুবাদ করে প্রথম অধিবেশনের সম্প্রচার করা হয়েছিল। সেটি অনুবাদ করেছিলেন চট্টগ্রামের চিকিৎসক সৈয়দ আনোয়ার আলীর স্ত্রী চিকিৎসক মঞ্জুলা আনোয়ার। এরপর তাঁরা সেই অনুবাদ সম্প্রচারের জন্য কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে যান। সে কারণে তাঁর স্ত্রী এই বেতার কেন্দ্রের প্রথম উদ্যোক্তা বলে উল্লেখ করেছেন তিনি (দৈনিক বাংলা, ২৬ মার্চ ১৯৮১)।

প্রথম পর্ব: জয় বাংলা বাংলার জয়

স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্রের সম্প্রচার শুরু হয়েছিল চট্টগ্রামের কালুরঘাট প্রচার ভবন থেকে একটি ১০ কিলোওয়াট মিডিয়াম ওয়েভ ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে। চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র ছিল আগ্রাবাদে। উদ্যোক্তাদের পরিকল্পনা ছিল হানাদার বাহিনীর যুদ্ধজাহাজের শেলিংয়ের আওতামুক্ত এলাকা থেকে সম্প্রচারকাজ শুরু করা। তাই তাঁরা কালুরঘাটকে বেছে নিয়েছিলেন। বেলাল মোহাম্মদ তখন ছিলেন পাকিস্তান রেডিওর চট্টগ্রাম কেন্দ্রের নিজস্ব লেখক-শিল্পী, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র গ্রন্থে তিনি এ সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছেন। প্রথম পর্বে যখন এর কার্যক্রম শুরু, তখনো মুক্তিবাহিনী গঠিত হয়নি, বরং স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র থেকেই মুক্তিবাহিনী গঠনের ডাক দেওয়া হয়েছিল। ‘শোনেন বলি নতুন করে পুরান ঘটনা নামের’ এক প্রবন্ধে উদ্যোক্তাদের সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, ‘কেউই আমরা ছিলাম না কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মী।...তবে ঐ সময়ে আমরা সবাই সর্বতোভাবে ছিলাম একক একচ্ছত্র জাতীয় নেতৃত্বের ছত্রচ্ছায়ায় ঐকমত্য পোষক। সেই নেতৃত্বের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।...মুখে মুখে একই জয়ধ্বনি জয় বাংলা ( মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ত্রৈমাসিক স্বপ্ন’৭১, সম্পাদনা আবু সাঈদ, মুক্তিযুদ্ধে রেডিও সংখ্যা)।’
প্রথম পর্বের কার্যকাল ছিল ৩০ মার্চ পর্যন্ত। কালুরঘাটে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিমান হামলা হয় ৩০ মার্চ। বেতার কেন্দ্রের প্রথম পর্ব এটুকুই। তবে জান্তা ইয়াহিয়া খান বাঙালিকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার যে ঘৃণ্য অপচেষ্টা করেছিল, স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্রের অভ্যুদয়ের ভেতর দিয়ে পাওয়া গিয়েছিল তার দর্পচূর্ণ করার প্রস্তুতির ইঙ্গিত। এই বেতারের অনুষ্ঠান শুরু হতো ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গানের সুর দিয়ে।

দ্বিতীয় পর্ব: আগরতলায়

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের দ্বিতীয় পর্বের সম্প্রচার শুরু হয় একাত্তরের ৩ এপ্রিল। বোমা হামলার পর বেতার কেন্দ্রের সার্বক্ষণিক ওই ১০ কর্মী এক কিলোওয়াটের একটি ট্রান্সমিটার সঙ্গে নিয়ে রামগড় সীমান্ত দিয়ে প্রতিবেশী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে এসে পৌঁছান। সেখানে বাগফায় বিএসএফের একটি ২০০ ওয়াট শর্টওয়েভ ট্রান্সমিটার থেকে আবার সম্প্রচার শুরু হয়। এরপর ৮ এপ্রিল তাঁদের একাংশ আসেন আগরতলায়। এখানে শালবাগান থেকে বিএসএফের ৪০০ মেগাওয়াট শর্টওয়েভ ট্রান্সমিটার থেকে সম্প্রচারকাজ শুরু হয়। ত্রিপুরা থেকে এক কিলোওয়াটের ট্রান্সমিটারটি থেকেও একযোগে সম্প্রচার চলতে থাকে। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে আরও অনেকে এসে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দিতে থাকেন। তাদের অনুষ্ঠানগুলোও ক্রমেই জনপ্রিয় হতে থাকে। এর মধ্যে ১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি করে গঠিত হয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকার। ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় এই সরকারের মন্ত্রিদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের খবর সম্প্রচার করে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র।

তৃতীয় পর্ব: মুজিবনগর

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কার্যক্রম ব্যাপকভাবে শুরু হয় মূলত এর তৃতীয় পর্ব থেকে। মুজিবনগর সরকার গঠনের পর সরকারিভাবে এই প্রথম স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর ওপর দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পান আবদুল মান্নান এমএনএ। পরে কর্মীদের আনুষ্ঠানিক নিয়োগ দেওয়া হয়। একটি ৫০ কিলোওয়াট মিডিয়াম ওয়েভ ট্রান্সমিটারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল যেন সারা দেশের শ্রোতারা ভালোভাবে এর অনুষ্ঠান শুনতে পারেন। এসব ব্যবস্থা করে ২৫ মে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু হয়। এর অনুষ্ঠান বিভাগের প্রধান ছিলেন শামসুল হুদা চৌধুরী, বার্তা বিভাগে কামাল লোহানী, প্রকৌশল বিভাগে সৈয়দ আবদুশ শাকের, প্রশাসন বিভাগে অনিল কুমার মিত্র প্রমুখ। মুজিবনগর পর্বেই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটেছিল। দেশের মুক্তিকামী শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের কৃতী ব্যক্তিদের বিপুল সমাগমে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান বৈচিত্র্যময় হয়ে ওঠে। প্রতিদিন সকাল সাতটা ও সন্ধ্যা সাতটায় দুটি করে অধিবেশনে এসব অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হতো।

অনুষ্ঠানমালা

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের মুজিবনগর পর্বের কার্যক্রম পরিচালিত হতো আসলে কলকাতার ৫৭/৮ বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের একটি দোতলা বাড়ি থেকে। এখানেই অনুষ্ঠান রেকর্ড করা হতো। সম্প্রচার করা হতো কৃষ্ণনগর সরকারি কলেজের ওল্ড হিন্দু ছাত্রাবাসে বসানো ট্রান্সমিটার থেকে। পশ্চিমবঙ্গের সাংবাদিক সঞ্জিত দত্ত ‘কৃষ্ণনগরের ওল্ড হিন্দু ছাত্রাবাসে স্বাধীন বাংলা বেতারের স্ট্রান্সমিটার’ প্রবন্ধে লিখেছেন, বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে রেকর্ড করা অনুষ্ঠান বিশেষ ব্যবস্থায় কৃষ্ণনগরে আনা হতো। এটা খুব গোপনীয় ছিল। (স্বপ্ন’৭১, মুক্তিযুদ্ধে রেডিও সংখ্যা)। পরে এখান থেকে কলেজ স্ট্রিটের ‘হৈমন্তিভবনে’ ট্রান্সমিটারটি সরিয়ে আনা হয়।

অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে বাংলা ও ইংরেজিতে খবর ছাড়াও ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদসহ বিভিন্ন মন্ত্রীর ভাষণ সম্প্রচারিত হতো। নিয়মিত থাকত ‘চরমপত্র’। অত্যন্ত জনপ্রিয় এই বিদ্রূপাত্মক কথিকা রচনা ও পাঠ করতেন স্বনামখ্যাত সাংবাদিক এম আর আখতার মুকুল। কল্যাণ মিত্রের রচনা ও রাজু আহমেদের অভিনয়ে খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছিল জল্লাদের দরবার নাটিকা। এ ছাড়া ‘বঙ্গবন্ধুর বাণী’, ‘মুক্তিবাহিনীকে নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘অগ্নিশিখা’, ‘রক্তস্বাক্ষর’, ‘পিন্ডির প্রলাপ’, ‘রাজনৈতিক মঞ্চ’, ‘রণাঙ্গণের চিঠি’, ‘কাঠগড়ার আসামী’, ‘মুক্তাঞ্চল ঘুরে এলাম’, ‘সোনার বাংলা’, ‘ইসলামের দৃষ্টিতে’সহ অনেক অনুষ্ঠান আর ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’, ‘একটি ফুলকে বাঁচাব বলে’, ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে’—এমন অসংখ্য উদ্দীপনাময় গান সম্প্রচারিত হতে থাকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে। মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় বিজয়ের পর ১৬ ডিসেম্বর থেকে এর সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। পরে এটি রূপান্তরিত হয় বাংলাদেশ বেতারে।

স্মৃতির আয়নায়

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠানগুলো দেশে অবরুদ্ধ মানুষের মধ্যে সাহস, আশা ও শক্তির সঞ্চার করত। তাঁরা উদ্‌গ্রীব হয়ে থাকতেন এসব অনুষ্ঠান শোনার জন্য। শুরুতে যেমন বলেছিলাম বেতারের স্মৃতির কথা, স্মৃতির কাছে ফেরা যাক—কেমন ছিল সেসব দিনে অভিজ্ঞতা? কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন প্রথম আলোকে বললেন, ‘আমরা এলিফ্যান্ট রোডের কাছে থাকতাম। বাসার সবাই এক ঘরে এসে একটু গোপনে অনুষ্ঠান শুনতাম। এসব অনুষ্ঠান একটি বড় সহায়ক শক্তি ছিল, আবেগের জায়গা ছিল। একটি মানসিক শক্তি অর্জনের জায়গা ছিল।’

আশীষ–উর–রহমান: সাংবাদিক