বিজ্ঞাপন
default-image

আলী আকবর মিজি প্রথমে রৌমারী, পরে দেওয়ানগঞ্জ ও বাহাদুরাবাদ এবং শেষে সিলেটে যুদ্ধ করেন। সিলেটের ছাতকের দক্ষিণে তাঁরা এক দিন টানা তিন ঘণ্টা যুদ্ধ করেন। যুদ্ধে সাতজন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। একপর্যায়ে সেখান থেকে পাকিস্তানি সেনারা পালিয়ে যায়। এরপর তিনি যুদ্ধ করেন সিলেট বিমানবন্দরে। সেখানে দিনের বেলায় পাকিস্তানি সেনারা তাঁদের ঘেরাও করে ফেলে। দুই ঘণ্টার যুদ্ধে সেখানে পাকিস্তানি একজন সেনা নিহত হয় এবং ইপিআরের একজন সদস্য আহত হন।

ডিসেম্বরে তিনি সর্বশেষ যুদ্ধ করেন সিলেটের লনী গ্রামে। সেখানে ছিল পাকিস্তানি সেনাদের শক্ত একটি ঘাঁটি। ওই যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাদের হামলায় ভারতের ৫/৫ গোর্খা রেজিমেন্টের ৬৭ জন সদস্য শহীদ হন। পরে সাফায়াত জামিলের নেতৃত্বে একদল মুক্তিযোদ্ধা পাকিস্তানি সেনাদের ওপর হামলা চালিয়ে সাতজন পাকিস্তানি সেনাকে অস্ত্রসহ আটক করেন।

আলী আকবর মিজি ১৯৭১ সালে ইপিআরে ছিলেন। কর্মরত ছিলেন দিনাজপুরে। ২৫ মার্চ ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাদের হামলার কথা শুনে ২৬ মার্চ থেকেই তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। পরে তাঁরা ভারতের তরঙ্গপুরে যান। সেখান থেকে তাঁদের পাঠানো হয় তেলঢালা পাহাড়ে। জুলাই-আগস্টে তাঁরা প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অংশ নেন।

১৯৭৯ সালে সুবেদার হিসেবে চাকরি থেকে অবসর নেন।

সূত্র: একাত্তরের বীরযোদ্ধা: খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা, প্রথম খণ্ড, প্রথমা প্রকাশন, ঢাকা ২০১২

সম্পাদক: মতিউর রহমান, সংগ্রহ ও গ্রন্থনা: রাশেদুর রহমান