বিজ্ঞাপন
default-image

শাহে আলম পাকিস্তানি সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে লাখ লাখ লোক মারা যায়। তখন তিনি ছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানে। খবর শুনে তিনি ছুটি নিয়ে চলে আসেন নিজ দেশে। এর কিছুদিন পর শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ।

পাকিস্তানি সেনারা ভোলা দখল করার পর শাহে আলম তাঁর কয়েকজন সঙ্গীসহ ভারতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। ৪ নম্বর সেক্টরের অধীনে তিনি সিলেটে যুদ্ধ করেন।

সিলেটের সুরমা নদীর ওপর নির্মিত সেতু দখলের লক্ষ্যে কানাইঘাট এলাকায় ৪ ডিসেম্বর সকাল থেকেই শুরু হয় সম্মুখযুদ্ধ। শাহে আলমের নেতৃত্বে এক প্লাটুন মুক্তিযোদ্ধা সেখানে অবস্থানরত পাকিস্তানি সেনাদের ওপর আক্রমণ করেন। পাকিস্তানি সেনারা বাংকার থেকে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকলে শাহে আলম জীবন বাজি রেখে ক্রল করে আস্তে আস্তে সামনে এগিয়ে যেতে থাকেন এবং শত্রুসেনাদের ব্যাংকার লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়েন। আর ঠিক তখনই পাকিস্তানি সেনাদের গুলি শাহে আলমের মাথায় লাগে। তাঁর মাথার খুলি উড়ে যায়। তিনি বীরের মতো শহীদ হন।

সূত্র: একাত্তরের বীরযোদ্ধা: খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা, প্রথম খণ্ড, প্রথমা প্রকাশন, ঢাকা ২০১২

সম্পাদক: মতিউর রহমান, সংগ্রহ ও গ্রন্থনা: রাশেদুর রহমান