সাড়ে তিন দশক পরও সমান অনুভূত মুক্তিযুদ্ধের মাহাত্ম্য! বস্তুত, ১৯৭১ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর স্বাধীনতা সংগ্রামের পূর্ব প্রস্তুতি, যুদ্ধের জন্য তৈরি বিভিন্ন রণাঙ্গনে অংশগ্রহণ, বহির্বিশ্বে প্রচারকার্যে আত্মনিয়োগ—যেকোনো মুক্তিযোদ্ধার জীবনের সবচে মূল্যবান অংশরূপে বিবেচিত হতে পারে। প্রায় দেড় শ বছর আগে বাংলা ভাষার এক কবি সেই যে গেয়ে গেছেন, ‘স্বাধীনতাহীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে, কে বাঁচিতে চায়/দাসত্ব শৃঙ্খল বলো কে পরিবে পায় হে, কে পরিবে পায়?’—তা নিশ্চয়ই আমাদের মনোজগতে প্রভাব বিস্তার করেছে। কিন্তু যথার্থ শত্রু চিহ্নিত না হওয়ার কারণে তা কার্যকর হয়নি।
এতকাল আমরা মুক্তিযুদ্ধের জন্য সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকার বিষয়টিতে যথার্থ গুরুত্ব দিতে পারিনি। সেবার দিতে হলো। তাই একাত্তরের মার্চ মাস আমাদের জন্য কুসুমের মাস আর থাকল না, হলো যুদ্ধ-প্রস্তুতির মাস। যুদ্ধই শুরু হয়ে গেল চব্বিশে মার্চের রাতে, চট্টগ্রামে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সাজ সাজ রব, পঁচিশের অপরাহ্নে। বহু বিচ্ছিন্ন কর্মকাণ্ড—হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, রাউজান ও রাঙ্গুনীয়ায়। অবশেষে রামগড়। তারপর, তারপর কী? ‘য পলায়তি স জীবতি’ (যে পালিয়েছে সে বেঁচে গেছে)? নাকি পশ্চাদপসরণের যুদ্ধ-কৌশল!—অতএব সাবরুম হয়ে আগরতলা, নিশ্চিন্ত অবস্থান নংসিংগড়। না, নিশ্চিন্ত নয়, শত্রুর নিক্ষিপ্ত ‘শেল’ এসে পড়ছে আশপাশে।
আহ্বান এল কলকাতা থেকে। আপাতত এটাই আমাদের মুজিবনগর। প্রবাসী সরকার সিদ্ধান্ত নিল: আরব দেশে আমাদের মিশন প্রতিষ্ঠা করতে হবে; সেখানে যাবেন মোল্লা জালাল উদ্দিন আহমদ ও মাহমুদ শাহ কোরেশী। মোল্লা হলেন ফরিদপুরের একজন এমপি এবং বঙ্গবন্ধুর আবাল্য সঙ্গী। আর ড. কোরেশী হচ্ছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যায়ের রিডার, ফরাসি ভাষায় কথাবার্তা বলতে পারেন, প্যারিসে পড়েছেন, পড়িয়েছেনও। দুই দশক পর জানা গিয়েছিল যে তাঁর একজন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল, কিন্তু তিনি তখনো অপোগণ্ড বালক। সদ্য ইন্টারমিডিয়েট পাস। তবে এক রাষ্ট্রদূতের ছেলে এবং স্কুলে ফ্রেঞ্চ পড়েছেন। অনেক পরে চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. আবু জাফর অবশ্য একটা মজার কথা শুনিয়েছিলেন। তাঁর মতে, আমরা আসলে আরবদের দেখাতে চেয়েছিলাম যে হিন্দুদের প্ররোচনায় আমরা মুসলিম দেশ পাকিস্তান ভাঙছি না। আমাদের নেতা স্বয়ং ‘শেখ’, আমাদের প্রতিনিধি দুজনের একজন ‘মোল্লা’, আরেকজন ‘কোরেশী’।
সে যা হোক। দিল্লিতে গিয়ে আমরা হোটেলে নিজেদের নিবন্ধীকরণ করলাম হিন্দু নামে। পাকিস্তানের গুপ্তচরদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কৌশলরূপে। ভারতীয় রাষ্ট্রযন্ত্র, শিক্ষা, সাহিত্য ও সাংবাদিকতা জগতের কিছু ব্যক্তিত্বের সঙ্গে যোগাযোগ ঘটল। তবে ঘনিষ্ঠতা হলো ফরাসি দূতাবাসের কর্মকর্তা, গবেষক ও সাংবাদিক মহলের সঙ্গে। মুজিবনগর থেকে প্রথম কূটনৈতিক মিশনে বেরিয়ে পড়া। আমরা তিনজন একসঙ্গে ঘোরাফেরা করছি—এম আর সিদ্দিকী (তখন মি. দত্ত), তিনি যাবেন মার্কিন মুলুকে। মোল্লা জালাল (মি. চৌধুরী) আর আমি (মি. সেন) যাব বৈরুত। কদিন পর নেপাল ও দূরপ্রাচ্যে যাওয়ার দল দুটিও এসে পড়ল।
১৯ জুলাই ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকায় বাংলাদেশ সম্পর্কে জাতীয় সর্বোদয় নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণের একটা শক্ত কড়া বিবৃতি প্রকাশিত হলো। ভারত সরকারের মনোযোগ আরেকটু বেশি দাবি করেন তিনি। এর কদিন পর তিনি বিদেশে, কিন্তু তাঁর সচিব এ সি সেন আমাদের নিয়ে গেলেন তাঁদের কার্যালয়ে—আসন্ন বাংলাদেশ সম্মেলনের প্রস্তুতি সভায়। প্রসঙ্গক্রমে সেখানে আমি ফ্রান্সের অঁদ্রে মালেরা, জঁ-পল সার্ত্র, লুই দুমোঁ, প্রাগের ড. দুশন জ্ভাবিতেল এবং আরও অনেকের নাম-ঠিকানা দিয়েছিলাম সম্ভাব্য অংশগ্রহণকারী রূপে। আমন্ত্রণের জবাবে মালেরার চিঠি/বিবৃতি ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল। সে বিষয়ে আমরা পরে আসব।
দিল্লিতে বেশ ফলপ্রসূ দুটি সপ্তাহ কাটিয়ে ২৭ জুলাই মোল্লা জালাল ও আমি বৈরুতে এসে পৌঁছুলাম। ভারি সুন্দর শহর তখন বিশ্বের এক সেরা প্রমোদনগরী! ভারতীয় রাষ্ট্রদূত এ কে দার এখানে আমাদের সাহায্যকারী ও উপদেষ্টা। প্রথম দিন সকালেই তাঁর সঙ্গে দুই ঘণ্টা বৈঠক হলো। আরবজগতে আমাদের প্রচারকাজ চালাতে হলে প্রথমে প্রয়োজন: সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা; বিশেষত সম্পাদকদের কাছে গিয়ে আমাদের মূল বক্তব্য তুলে ধরা; প্রয়োজনমতো তাঁদের তথ্যাদি সরবরাহ করা; রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাত্ করে তাঁদের প্রভাবিত করার প্রয়াস চালানো। বৈরুত, দামেস্ক ও আলেপ্পোতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে আমাদের সাক্ষাত্ হয়েছে; অনেকের সহযোগিতা পেয়েছি। যাঁদের সঙ্গে সাক্ষাত্ হয়েছিল তাঁদের প্রায় সম্পূর্ণ একটি তালিকা বর্তমান রচনার শেষে যুক্ত হলো।
৩৫ বছর পর পুরোনো কথা স্মরণ করতে গিয়ে বিচিত্র সব অনুভূতি মনে জাগে। সেদিন ছিল স্বদেশপ্রেমের মাত্রাতিরিক্ত উত্সারণ, অকুতোভয় মনোবল, আত্মত্যাগের অভিপ্রায়। বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রচারের উদ্দেশ্যে লেবানন ও সিরিয়ায় আমরা প্রচুর কষ্টসাধ্য কাজ সম্পন্ন করেছি। কখনো জীবনের ওপর হামলা উপেক্ষা করেছি। কিন্তু ইরাক ও ইজিপ্ট যাওয়া সম্ভব হয়নি। ইরাকে যাওয়ার আর প্রয়োজন ছিল না। সেখনকার ক্ষেত্র অনেক সহানুভূতিশীল ছিল। পাকিস্তানের বাঙালি রাষ্ট্রদূত আবুল ফতেহ বাংলাদেশের সপক্ষে দূতাবাসের বহু টাকা-পয়সা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মিশনে যোগদান করলেন। ইজিপ্টের রাজনীতি একটু ঘোলাটে বলে বন্ধুরা পরামর্শ দিলেন আপাতত লেবানন নিয়ে থাকতে। সিরিয়ায় যা করতে পেরেছি, সেটা ড. ওমর আবু রিলে ও আমার বন্ধু মিশেলের সৌজন্যে। বৈরুতে আমাদের মিশনের জন্য নিযুক্ত সাংবাদিক নাবিল বারাদে আরবদের উদ্দেশ্যে লেখা আমার সাফারিং হিউম্যানিটি ইন বাংলাদেশ শীর্ষক পুস্তিকা আরবি ভাষায় অনুবাদ করল। পরে আরবিভাষী দেশসমূহে তার অজস্র কপি বিলির ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু তখন আমি আবার মুজিবনগর ফিরে এসেছি।
১৮ সেপ্টেম্বর অঁদ্রে মালেরা যে ঘোষণা দিলেন তা আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। যদিও তখন আমার ফরাসি সরকারের আমন্ত্রণে সস্ত্রীক প্যারিসে যাওয়ার কথা এবং আইনবিরুদ্ধ হলেও পড়াশোনার চেয়ে আমি ‘রাজনীতি চর্চা’ অর্থাত্ বাংলাদেশ মিশন প্রতিষ্ঠার কাজ করতে পারব সেখানে। তার জন্য পরোক্ষ প্রতিশ্রুতি আদায় করে নিয়েছিলাম। মালেরাকে পত্র পাঠালাম; তাঁর তো একজন বাঙালি দোভাষীর প্রয়োজন হবে, আমি সে দায়িত্ব গ্রহণ করতে রাজি। ২৬ অক্টোবর তাঁর সেক্রেটারি লিখলেন এক ইতিবাচক জবাব। কিন্তু কী ছিল মালেরার বক্তব্য? বাংলাদেশ সম্মেলনে যোগদানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে ইতিহাসের এই মহানায়ক একের পর এক বিবৃতি দিতে থাকেন। তাঁর বিভিন্ন বিবৃতির কিছু অংশ এখানে উদ্ধৃত করা যেতে পারে:
‘বাংলাদেশ, প্রয়োজনের দিক থেকে অহিংস প্রতিরোধের ক্ষেত্র নয়। সে শুধু প্রতিরোধের দেশ হতে পারে এবং তা-ই হওয়া উচিত। বাঙালিদের নেতৃত্বে গঠিত মুক্তিবাহিনীর একটি ইউনিট পরিচালনার দায়িত্ব আমি পেতে চাই। আমার কিছু সামরিক অভিজ্ঞতা রয়েছে যা লেখকদের মধ্যে একান্ত দুর্লভ।
‘সম্মেলনে অনেক আলোচনার ফলে কিছু প্রবন্ধ-নিবন্ধের মালমসলা পাওয়া যাবে কিন্তু ততক্ষণে পাকিস্তানিদের ট্যাংক অনেক দূর এগিয়ে যাবে।...তা ছাড়া সেসব বুদ্ধিজীবীই আজ বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলতে পারেন যাঁরা বাংলাদেশের জন্য যুদ্ধ করতে প্রস্তুত।...
‘ফাঁকা বুলি আওড়ানোর অভ্যাস আমার নেই, তাই বাংলাদেশের পক্ষে যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার প্রস্তাব আমি দিয়েছি। ট্যাংক যুদ্ধের অভিজ্ঞতা আছে আমার। বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর অধীনে একটি ট্যাংক ইউনিটে অংশগ্রহণে আমি বদ্ধপরিকর।
‘আমাদের বন্ধুরা গণতন্ত্রের কথা বলে কেন? বাংলাদেশ তো কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শ রক্ষা করতে যাচ্ছে না। সে চাচ্ছে তার নিজের জীবন রক্ষা করতে। আমরা যদি মরি তো মরব। কিন্তু তাতে তুমি এতই ক্ষতিগ্রস্ত হবে যে শেষ পর্যন্ত পালিয়ে বাঁচতে হবে তোমাকে। বাংলাদেশ তো সবসময় সাহসী দেশ ছিল। মৃত আদর্শবাদ নিয়ে বাংলাদেশ মেতে থাকতে পারে না, বরং বলে উঠতে হবে: হয়তো আমরা সবাই নিহত হব, কিন্তু প্রতিজ্ঞায় থাকব অটল।’
একদিকে বিবৃতি, অন্যদিকে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রপ্রধান যেমন নিক্সনের কাছে চিঠি লিখে মালেরা সংবাদ-মাধ্যমে বাংলাদেশের সমস্যাকে নিত্য-আলোচ্য বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত করলেন। ইউরোপের বহু তরুণ স্পেনের মতো বাংলাদেশের জন্য একটি আন্তর্জাতিক ব্রিগেড তৈরি হবে ভেবে তাঁর কাছে স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার জন্য পত্র দিতে থাকেন। ইন্দিরা গান্ধী ও বাংলাদেশের দু-চারজন ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন। কিন্তু ইতিমধ্যে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের প্রত্যক্ষ যোগদান আসন্ন হয়ে পড়ে এবং শুরু হয় নতুন উপমহাদেশীয় সমর।
যুদ্ধান্তে শত্রু কবলমুক্ত হলো দেশ এবং শুরু হলো দেশ গড়ার সংগ্রাম। মালেরা তাতেও যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেন ১৯৭৩-এর এপ্রিলে বাংলাদেশ সফরের সময়। বাংলাদেশের ছাত্র-শিক্ষকদের আত্মদানের কথা তাঁর মতো আর কেউ এত গুরুত্বসহকারে বলতে পেরেছেন কি না তাতে আমার সন্দেহ আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি বক্তৃতা প্রসঙ্গে বললেন:
‘বাংলাদেশের ছাত্ররা পৃথিবীর বুকে একটি ঐতিহ্য সৃষ্টি করেছে যে জন্য তাঁদের গর্বিত হওয়া স্বাভাবিক। উত্তরাধিকারীদের কাছে তাঁরা বলতে পারবেন যে দাসত্ব থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য তাঁরা বদ্ধ পরিবেশে খালি হাতে যুদ্ধ করেছিলেন। মানুষের স্মৃতি এই গৌরবগাথা বহন করবে এবং ভবিষ্যতের প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।’
পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের দেখতে গেলে তাঁরা তাঁকে মাল্যভূষিত করতে চাইলেন। তিনি তা তাঁদের একজনের গলায় পরিয়ে দিয়ে বলেন, ‘এ ফুলের মালা তোমাদের গলায়ই সাজে। কারণ তোমাদের আত্মদানে বাংলাদেশ আজ স্বাধীন।’
একটি ভাষণে মালেরা উদাত্ত কণ্ঠে বলেন, ‘শাশ্বত বাংলা এবং ফরাসি বিপ্লবের ভাষাকে সংযুক্ত করার প্রয়াস ছিল আপনাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্যে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মালেরা যা বলেন, তাও এখানে প্রণিধানযোগ্য: ‘মুক্তিযুদ্ধে কারা কী সাহায্য করেছে সে প্রশ্নে বিতর্ক অনুচিত। আসল কথা হলো, মুক্তিযোদ্ধা ব্যতিরেকে স্বাধীন বাংলাদেশ কল্পনা করা যায় না। ওরা ট্যাংকের চেয়েও শক্তিশালী।’
আজকের এই স্বাধীন বাংলাদেশ ‘ব্রিটিশ বেঙ্গল’ বা পাকিস্তানি আমলের পূর্ববঙ্গ থেকে কত স্বতন্ত্র, কত উন্নয়নশীল এবং বহির্বিশ্বে কত সুপরিচিত তা কি স্পষ্ট নয় আমাদের কাছে? আর তা যদি হয়ে থাকে তাহলে তা সম্ভব হয়েছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মিশন সফল হয়েছে বলেই। অন্তত আমি তা মনে করে থাকি। বলা বাহুল্য, মুক্তিযুদ্ধের মিশন হচ্ছে স্বদেশ ও জাতির প্রতি সার্বিক দায়বদ্ধতা।
২.
বৈরুত, দামেস্ক ও আলেপ্পোতে যাঁদের সঙ্গে সাক্ষাত্ হয়েছিল। বৈরুত: ওয়াফিক তিবি, সম্পাদক, আল ইয়োম; (মহামান্য ড.) ওমর আবু রিশে, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও কবি; (মহামান্য) মোহাম্মদ আলী হামাদে, রাষ্ট্রদূত ও সভাপতি, আন্নাহার পত্রিকা গোষ্ঠী; (মহামান্য) রেয়মোঁ এদে, পিয়ের এদে, মালিক, দৈনিক অবিয়ঁ ল জুর; (মহামান্য) কামাল জুম্বলাত, সমাজবাদী প্রগতিশীল নেতা ও তাঁর দশ সহকর্মী, (লেনিন পুরস্কারপ্রাপ্ত); মোহাম্মদ কাহবাসি; আবাসার খানাপানি; (ডা.) হিতাফ আবদেল সামাদ; এদুয়ার শাবের; জর্জ স্কাফ, সম্পাদক, আল জরিদা; দাউদ হামেদ, পিএসপির বৈদেশিক দপ্তর; আসাদ আকল, ট্রেড ইউনিয়ন নেতা; মারিয়ান ইফ, মনস্তত্ত্ববিদ, প্যারিস; জঁ শুয়েরি, সহকারী সম্পাদক, লরিঅঁ ল জুর; মারওয়ান হামাদে, সহকারী সম্পাদক লরিঅঁ ল জুর; (প্রফেসর) নিকোলাস জিয়াদে, আমেরিকান ইউনিভার্সিটি, বৈরুত; কাব্বাসি, আরব কালচারেল ক্লাব; খায়রুল্লাহ খায়রুল্লাহ, সাংবাদিক, আন্নাহার; (মহামান্য) আমিন হাফিজ, চেয়ারম্যান, ফরেন রিলেশন্স কমিটি, লেবানিজ পার্লামেন্ট (পরে প্রধানমন্ত্রী) ও সাতজন সংসদ সদস্য। দামেস্ক: মুহাম্মদ শাহরারি, প্রকৌশলী; ফৌজি আল-দাববাগ, রসায়নবিদ; (ড.) মোস্তফা আমিন, সেক্রেটারি জেনারেল, আফ্রো-এশীয় সলিডারিটি কমিটি; মুরাদ কুয়াতলি, সদস্য, ওয়ার্ল্ড পিস কাউন্সিল; হায়দার বোযো, ডিরেক্টর, লিগ অব জুরিস্টস; মিশেল আরবাশ (প্যারিসের সহপাঠী বন্ধু) আইনবিদ; বাহিজ আরবাশ (প্যারিসে পরিচয়) শিল্পী; (ড.) মাদানি খিয়ামি, রেক্টর অব দ্য ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিন; দামেস্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট; মোরিস সালিবা, আন্ডারগ্রাউন্ড কমিউনিস্ট পার্টির প্রভাবশালী নেতা; রিয়াদ আবেদ, প্রেসিডেন্ট, বার অ্যাসোসিয়েশন; আবদেল সালাম হিদার, আইনবিদ; মিশেল দাহবার, আইনবিদ; আদনান হাকিম, নেতা, নাজাত পার্টি।
আলেপ্পো: লুই সেকুতেভিচ, ফরাসি কনসাল জেনারেল; জর্জ আগিয়া, আইনজীবী, মিসেল আরবাশের বন্ধু। বৈরুত: নাবিল বারাদে সাংবাদিক, আল ইয়োম এবং বাংলাদেশ মিশনের প্রথম আরব কর্মকর্তা; (ড.) ফতহি, রেড ক্রিসেন্টের নেতা; প্রধান সম্পাদক, ডেইলি স্টার ; লুই হাজ্জ, প্রধান সম্পাদক, আন্নাহার; (মহামান্য) মারুফ সাদ, প্রেসিডেন্ট, শান্তি সংসদ; (ড.) হোসেইনি, কমিউনিস্ট নেতা; গাউদাত্ রাসি; বিশরা গোরায়েব (লেবানিজ প্রেসিডেন্টের ছেলের বন্ধু. ব্যবসায়ী, সংস্কৃতিসেবী, প্রফেসর সৈয়দ আলী আহসানের বন্ধু); শেখ আবদুল্লাহ আলায়লি, ধর্মীয় নেতা, সেক্রেটারি জেনারেল কাউন্সিল অব উলেমা; ফরিদ জেবরান সাংবাদিক; খলিল ফ্লেহান, সম্পাদক আল আনোয়ার; কামিল হারুবা, অ্যারাব কালচারেল ম্যাগাজিন; মাহমুদ তুব্বু, আইনবিদ; ত্রিপোলি (যিনি সেপ্টেম্বরে সাহায্য নিয়ে শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করে গেছেন); (ড.) ক্লোভিস মকসুদ, আরব লীগের প্রতিনিধি; রবার্ট হান্না, কামাল জুম্বলাতের দলের নেতা (তাঁর প্রতেজে দিল্লির বাংলাদেশ সম্মেলনে অংগ্রহণকারী); মিশেল আবু জোয়াদেহ; (মহামান্য) রশিদ কারামে (অনেক বছর ধরে যিনি লেবাননের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, সাক্ষাত্ ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭১); (মহামান্য) তাকিয়েদ্দিন সোল, প্রবীণ নেতা, একসময়ের প্রধানমন্ত্রী; আদনান হাকিম; ফারিস গ্লুব (বিখ্যাত গ্লুব পাশার ছেলে), সিবিএস-কলাম্বিয়া ব্রডকাস্টিং সার্ভিসের বৈরুত অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ২৫ মার্চ ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে যাঁর সাক্ষাত্ হয়েছে; জেরার ভিরাতেল, প্যারিসের ল মোঁদ পত্রিকার দিল্লি প্রতিনিধি; আদুকি, কঙ্গো ব্রাজাভিলের প্রতিনিধি, কলকাতা/প্যারিস; দার, বুদদ্যো, জঁ-ক্লোদ এলালুফ-দিল্লিতে অবস্থানরত ফরাসি স্কলার; ফ্রঁসোয়া বেরনার, কলকাতাস্থ ফরাসি কনসাল জেনারেল; উ্যগ্যুয়ে দবোজিয়, ল ফিগারোর সাংবাদিক; কঁসেস ও ওবেত্যাঁ, ফ্রেঞ্চ টেলিভিশন টিমের ২ সদস্য, তা ছাড়া ফরাসিভাষী বহু ইউরোপীয় পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি।