অনেকক্ষণ বসে আছি একটা কিছু লেখা হবে, চুপচাপ আড়ালে, নিঃশব্দ
বসে আছি
বউ শুনছে নাটক, সঙ্গে বসে আমিরন, গৃহস্থালি কাজ করে, ওরা কেউ এদিকটায় আসবে না জেনেও, কি-বোর্ডে আঙুল না, পালক ছোঁয়াচ্ছি যেন না শোনে, না দেখে ফেলে এই গোপন, পাপের কীর্তি, রাত সবে আটটা ছত্রিশ, যদি বলো মূলে কী গো, কবে থেকে ইতিবৃত্ত এই, এই যে এ অপরাধবোধ, এ দূরত্ব, অন্তরাল খোঁজা, এই ধুকপুক বুকে লুকানো যে তিরস্কার, বিদ্রূপ-চাহনি, দূর চাটগাঁর বাটালিসমান অট্টহাসি বাসা বেঁধে ছিল পুনরভিনয় তার বন্ধ করতে চাওয়া, চেয়ে আরো কুঁকড়ে যাওয়া
এই ইতিহাস পিছে রেখে
ফের বসেছি কবিতা লিখব বলে, হ্যাঁ, কবিতা (প্রকাশিত হলে যা এখনো লুকিয়ে রাখতে হয় যেন কবিতা পড়ার জন্য নয়) তাই এটা হয়তো যেমন চাই সেরকম কবিতা হলো না
তবুও যে বসে আছি, প্রথমে তো দ্বিধাগ্রস্ত, পরে বুক উঠেছে কিন্তু ফুলে
কাগজ কবিতা চায়, প্রথম আলো তো চায়, দিনের প্রথম সূর্য চায়
ষোলো ডিসেম্বর, একাত্তর চায়, সেইদিন লক্ষকোটি বুক গর্বে ফুলে উঠেছিল
সূত্র: ১৬ ডিসেম্বর, ২০০৭ সালের বিশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত