বিজ্ঞাপন
default-image

মোহাম্মদ ইব্রাহিম চাকরি করতেন ইপিআরে। ১৯৭১ সালে কর্মরত ছিলেন চট্টগ্রাম ইপিআর সেক্টরের অধীনে। তখন তাঁর পদবি ছিল হাবিলদার। হালিশহরে ছিল সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স। এর অধীনে ছিল তিনটি উইং—১১ ও ১৪ উইংয়ের অবস্থান ছিল হালিশহরে, ১৭ উইংয়ের ছিল কাপ্তাইয়ে। ১১ উইংয়ের ইপিআর সদস্যরা ছিলেন কক্সবাজার, টেকনাফ, বরকল ও মাসলংয়ে এবং ১৪ উইংয়ের সদস্যরা ছিলেন সাজেক, ট্যানডং ও রামগড়ে।

মার্চ মাসের শুরুতে চট্টগ্রাম ইপিআর সেক্টরের অধীন ইপিআর সদস্যদের চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়। অল্পসংখ্যক সদস্য থেকে যান সীমান্ত এলাকায়। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তাঁরা সরাসরি তাতে অংশ নেন। ২৬ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ইপিআর বাহিনীর সদস্যরা সংঘবদ্ধ ও বিচ্ছিন্নভাবে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। এসব যুদ্ধে তারা যথেষ্ট সাহস ও বীরত্বের পরিচয় দেন।

মোহাম্মদ ইব্রাহিম পরে যুদ্ধ করেন ২ নম্বর সেক্টরের রাজনগর সাবসেক্টরে। এই সাবসেক্টরের অধীন এলাকা ছিল বিলুনিয়ার পশ্চিমাঞ্চল, লাকসামের দক্ষিণাঞ্চল, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম-নাঙ্গলকোট, ফেনী জেলার অংশবিশেষ এবং নোয়াখালী জেলার কিছু অংশ। রাজনগর সাবসেক্টর এলাকায় অসংখ্য যুদ্ধ সংঘটিত হয়। মোহাম্মদ ইব্রাহিম বেশ কয়েকটি যুদ্ধে অংশ নিয়ে সাহসিকতার পরিচয় দেন।

তবে এসবের মধ্যে কোন যুদ্ধে মোহাম্মদ ইব্রাহিম অংশ নিয়েছেন, সে সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়নি।

সূত্র: একাত্তরের বীরযোদ্ধা: খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা, দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথমা প্রকাশন, ঢাকা ২০১৩

সম্পাদক: মতিউর রহমান, সংগ্রহ ও গ্রন্থনা: রাশেদুর রহমান