মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষী
মা বললেন, ‘তোমরা সবাই পালাও, আমাকে মারবে না’
এক সকালে জাউ খেতে বসলাম আমরা। তখনই শুনি, পাকিস্তানি মিলিটারি এসেছে। জাউয়ের প্লেট ফেলে কেউ ছুটে গেলাম পাটখেতে, কেউ পানিতে কিংবা জঙ্গলে।
মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষী
সুন্দরবনে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার লড়াই
আমরা আটজন সুন্দরবনের দিকে রওনা হয়েছিলাম কাঠ কাটার জন্য। নৌকায় করে কিছু দূর যাওয়ার পর স্থানীয় লোকজন জানাল, আজ এখানে যুদ্ধ হতে পারে।
মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষী
বাবাকে আর ডাব পাড়তে হলো না
বাবার সঙ্গে আমিও কাঁপা কাঁপা গলায় কালেমা তাইয়েবা পড়তে লাগলাম। পাশেই ছিল নারকেলগাছ। পাকিস্তানি সেনারা বাবাকে বলল, ‘ডাব পাড়ো।’
মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষী
স্বামী-স্ত্রী দুজনই শহীদ হলেন যেভাবে
আমি দরজা খুলে দিয়ে খাটের নিচে লুকালাম। দরজা খুলে দিলাম, যাতে পাকিস্তানি সেনারা মনে করে, সবাই পালিয়েছে। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পেলাম।
মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষী
আজকে দুপুরে আমাদের মেরে ফেলবে
রাস্তা থেকে একটু দূরে মাটি লাল দেখাচ্ছে। কাছে গিয়ে দেখি, মাটি রক্তে লাল। ভয়ে–আতঙ্কে কারখানায় ফিরে আসতে আসতে চোখে পড়ল একটা গভীর গর্ত।
মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষী
চার মুক্তিযোদ্ধার অসমসাহসিকতা
প্রথমে ভাবলাম, সৈন্যরা হয়তো ইপিআর বাহিনীর। কিন্তু ভালো করে খেয়াল করে বুঝলাম, তারা পাকিস্তানি সেনা। তাদের সংখ্যা ১০-১৫ জনের মতো হবে।
মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষী
চোখের সামনে সঙ্গীদের মেরে আমাদের ভয় দেখাত
শুধু ফাঁসি দিয়ে বা গুলি করেই নয়, গাড়ির পেছনে হাত বেঁধে টেনে নিয়ে যেত। অনেকের ক্ষতস্থানে লবণ ছিটিয়ে দিত। যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে প্রাণ দিতেন মুক্তিযোদ্ধারা।