বিজ্ঞাপন
default-image

এখন থেকে দেড় শ বছর আগেও বাংলা ও বাঙালির ইতিহাস ছিল না, তাই বঙ্কিমচন্দ্র আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ‘বাঙ্গালার ইতিহাস নাই, যাহা আছে তাহা ইতিহাস নয়।... বাঙ্গালার ইতিহাস চাই, নহিলে বাঙ্গালার ভরসা নাই।... কে লিখিবে? তুমি লিখিবে, আমি লিখিব। যে বাঙ্গালী তাহাকেই লিখিতে হইবে। মা যদি মরিয়া যান, তবে মার গল্প করিতে কত আনন্দ। আর এই আমাদিগের সর্বসাধারণের মা জন্মভূমি বাঙ্গালা দেশ, ইহার গল্প করিতে কি আমাদিগের আনন্দ নাই? আইস, আমরা সকলে মিলিয়া বাঙ্গালার ইতিহাসের অনুসন্ধান করি। যাহার যতদূর সাধ্য, সে ততদূর করুক; ক্ষুদ্র-কীট যোজনব্যাপী দ্বীপ নির্মাণ করে। একের কাজ নয়, সকলে মিলিয়া করিতে হইবে।’

বঙ্কিমচন্দ্র ১২৮৭ সনে বঙ্গদর্শন পত্রিকায় ওই কথাগুলো লিখেছিলেন আজ থেকে ১৩৭ বছর আগে। আর একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ৩৬ বছর পর বঙ্কিমচন্দ্রের ওই কথাগুলো বারবার মনে পড়ে, কারণ গত ৩৬ বছর ধরে শুনে আসছি, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নাই, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চাই। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যা আছে তা বিকৃত, মুক্তিযুদ্ধের অবিকৃত ইতিহাস চাই। আমার জানা নেই যাঁরা ওই অভিযোগ করেন, তাঁরা কার উদ্দেশে ওই কথাগুলো বলেন। যখন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ ওঠে, তখন মনে হয় অভিযোগকারীরা রাজাকার মনোবৃত্তির রাজনীতিক, আমলা, বুদ্ধিজীবী এবং ঐতিহাসিকদের প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করছেন। তাঁদের অভিযোগ হয়তো অমূলক নয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, আমরা কি রাজাকারদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের অবিকৃত ইতিহাস রচনা আশা করছি? এমনও অভিযোগ উঠেছে যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশিত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর রচিত ইংরেজি ইতিহাসটিতে মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদানের যথাযথ ইতিহাস নেই। হয়তো ওই ইতিহাসের লেখক দীর্ঘকাল করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসের অধ্যাপক ছিলেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে আসেন, সে কারণে মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় ভূমিকা সম্পর্কে তাঁর সম্যক ধারণা ছিল না, তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধ গুরুত্ব পায়নি। এমনও অভিযোগ উঠেছে, এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ কর্তৃক ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় তিন খণ্ডে প্রকাশিত বাংলাদেশের ইতিহাস ১৭০৪ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত হলেও তাতে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ উপেক্ষিত। কারণ হয়তোবা এই যে আমাদের পেশাদার ঐতিহাসিকেরা তাঁদের সমসাময়িক কালে ঘটে যাওয়া ইতিহাসের গভীরতা, ব্যাপকতা ও গুরুত্ব অনুধাবন করতে সক্ষম হননি।

পেশাদার ঐতিহাসিকেরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনায় শ্লথ হলেও বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা থেমে থাকেনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ১৫ খণ্ড দলিলপত্র সংকলনের সম্পাদক ছিলেন কবি হাসান হাফিজুর রহমান। প্রথম মহাযুদ্ধের বাঙালি পল্টনের সৈনিক চট্টগ্রামের সাহিত্যিক মাহবুব উল আলম চার খণ্ডে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস প্রকাশ করেন সত্তরের দশকের প্রথমার্ধেই। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সেনাপতিরা অনেকেই একাত্তরের রণাঙ্গন নিয়ে তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন। শহীদ আনোয়ার পাশার রাইফেল রোটি আওরাত এবং শহীদ জননী জাহানারা ইমামের একাত্তরের দিনগুলি মুক্তিযুদ্ধের রোজনামচা। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এ পর্যন্ত কয়েক হাজার বই লেখা হয়েছে, অথচ বারবার অভিযোগ করা হচ্ছে—মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখা হয়নি। যাঁরা অভিযোগ করেন, তাঁরা বোধ হয় খোঁজ রাখেন না যে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্পের মুখ্য বিষয় মুক্তিযুদ্ধ-সম্পর্কিত গ্রন্থ। মুক্তিযুদ্ধের ওপর প্রকাশিত গ্রন্থের যে তালিকা ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর’ প্রণয়ন করে চলেছে, তা দেখলেই বোঝা যায় আমাদের ঐতিহাসিকেরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসচর্চায় তেমন কৃতিত্ব প্রদর্শন করতে না পারলেও মুক্তিযোদ্ধারাই সে দায়িত্ব পালন করছেন। এটা ঠিক যে একুশ শতকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের দলিলপত্র, এশিয়াটিক সোসাইটির বাংলাপিডিয়া এবং পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের কোনো কোনো তথ্য পরিবর্তিত এবং বিকৃত করা হয়েছিল, এখন আবার তা সংশোধন করা হচ্ছে। সুতরাং বলা যেতে পারে যে ইতিহাস বিকৃতি যারা করেছে, তারা পার পাচ্ছে না।

একাত্তরের পাকিস্তানি দালালেরা বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে ছিল বাঙালি এবং বাংলাদেশের শত্রু। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান বাহিনী আত্মসমর্পণ করলেও তারা তা করেনি এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে তাদের তত্পরতা এখনো অব্যাহত আছে। সে জন্য একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের পাশাপাশি রাজাকারদের ইতিহাস রচিত হওয়া উচিত। ওই কাজটিতে এখনো হাত দেওয়া হয়নি। একাত্তরের রণাঙ্গনের ইতিহাস রচিত হলেও একাত্তরের গণহত্যা, একাত্তরের নারী নির্যাতন, একাত্তরের এক কোটি উদ্বাস্তুর বাস্তুচ্যুতির ইতিহাস এখনো রচিত হয়নি আর সে কারণে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনার প্রয়াসে অনেক অসম্পূর্ণতা রয়ে গেছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস গবেষকদের দৃষ্টি ওইসব বিষয়ে আকৃষ্ট হওয়া উচিত।

সম্প্রতি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসচর্চায় একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাত্রা সংযোজিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পর ৩৫ বছর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে আমাদের প্রচারমাধ্যমগুলোতে গতানুগতিক ধারায় বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচারিত হয়ে আসছে; যেসব অনুষ্ঠানের প্রভাব তাত্ক্ষণিক এবং ক্ষণস্থায়ী, সেসব অনুষ্ঠানের পেছনে বাস্তব ইতিহাস অপেক্ষা কল্পনাপ্রসূত চিন্তাচেতনা অধিকতর কার্যকর ছিল। সৌভাগ্যবশত ওই গতানুগতিক ধারায় পরিবর্তন এসেছে।

একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আই প্রতিদিন ‘জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান’ নামে তৃণমূল পর্যায়ের মুক্তিযোদ্ধাদের সংক্ষিপ্ত সাক্ষাত্কার অনুষ্ঠান প্রচার করছে, যে সাক্ষাত্কার গ্রহণ করেছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। এই অনুষ্ঠানটি থেকে প্রমাণ পাওয়া যায়, এখন থেকে ৩৬ বছর আগে দেশের কোন শ্রেণীর মানুষ পাগলের মতো দলে দলে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। যেসব মানুষের অধিকাংশ মুক্তিযুদ্ধের আগে হয়তো নিজের গ্রামের চৌহদ্দির বাইরে যায়নি, তারাই ঘরসংসার, আত্মীয়-পরিবার ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছিল, সীমান্ত অতিক্রম করে সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফিরে যুদ্ধে অংশ নিয়ে মরেছে, আহত হয়েছে, অঙ্গ হারিয়েছে, কিন্তু যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ঘরে ফিরেছে। তাদের কণ্ঠে দেশের পরবর্তী অবস্থার জন্য হতাশার সুর প্রতিফলিত হলেও একটা তথ্য বেরিয়ে এসেছে যে বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ ছিল দল-মত-ধর্ম-বর্ণ-পেশা-বয়স নির্বিশেষে জনযুদ্ধ। চ্যানেল আইতে নিয়মিত প্রচারিত ২০ মিনিটের আর একটি অনুষ্ঠান ‘মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিন’ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সবচেয়ে বস্তুনিষ্ঠ অবিকৃত মৌখিক ইতিহাস। মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু উপস্থাপিত এবং মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) শামসুল আরেফিন আয়োজিত ও রাজু আলীম প্রযোজিত এই অনুষ্ঠানটি গত ৭ মার্চ থেকে প্রচারিত হচ্ছে এবং ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। এই অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণকারীদের অভিজ্ঞতার বর্ণনায় একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে দেশের ভেতরে-বাইরে, সীমান্ত অঞ্চলে এবং বিশ্বের যেখানেই একাত্তর সালে বাংলাদেশের বাঙালিদের অবস্থান ছিল, তাদের মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী অবিকৃত ও বস্তুনিষ্ঠভাবে উঠে আসছে। যাঁরা বলেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নেই, তাঁরা ‘মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিন’ অনুষ্ঠান থেকে সঠিক জবাব পাবেন। এই অনুষ্ঠানটিতে অংশগ্রহণকারীদের হয়তো রাজনৈতিক বা পেশাগত পরিচয় আছে, কিন্তু তাঁদের সবচেয়ে বড় পরিচয়, তাঁরা একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা, তাঁরা হয়তো একাত্তরে কেউ ছিলেন তরুণ ছাত্র, কেউ রাজনৈতিক কর্মী, কেউ সামরিক বা আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য, কেউ সদ্য প্রশিক্ষণ পাওয়া গেরিলা যোদ্ধা, কেউ কূটনীতিক বা সাংবাদিক, আবার কেউ একাত্তরে কমিশন পাওয়া ‘ওয়ার কমিশন্ড’ অফিসার। বিচিত্র দল, মত, পেশা ও বৃত্তির বিভিন্ন বয়সী মানুষ যে দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবনপণ করে কীভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, তা ওই অনুষ্ঠানে তাঁদের মুখ থেকেই শোনা গেছে।

নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু এবং মেজর (অব.) শামসুল আরেফিন চ্যানেল আইতে প্রচারিত ‘মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যে কাজটি করলেন, তা কেবল প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার পক্ষেই সম্ভব। এই অনুষ্ঠানটি প্রচারিত না হলে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস অকথিত থেকে যেত, বর্তমান প্রজন্ম জানতে পারত না তাদের পূর্বপ্রজন্ম তাদের প্রিয় স্বদেশ ও মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য কী অপরিসীম শৌর্যবীর্য, আত্মত্যাগ ও অপরিমেয় মূল্য দিয়েছে। বাঙালি যে ভীরু, কাপুরুষ নয়, বাঙালি যে বীরের জাতি, সে সত্য মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিন অনুষ্ঠানে যেভাবে মূর্ত হয়ে উঠেছে, সে জন্য বাংলাদেশের বর্তমান প্রজন্ম তাদের পূর্বপুরুষদের নিয়ে গর্ব বোধ করতে পারে। মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিন অনুষ্ঠানে আমরা একাত্তরের ৩৬ বছর পর ৭ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন একাত্তরের ওই দিনের কোনো না কোনো ঐতিহাসিক ঘটনার কথা জানতে পারছি, কিন্তু এর বাইরেও কত কাহিনী অজানা থেকে যাচ্ছে, সুতরাং অনুষ্ঠানটি বছরব্যাপী চলা উচিত। যদিও আমরা জানি যে বাঙালির নয় মাসের যুদ্ধের বীরত্বগাথা ও আত্মত্যাগের ইতিহাস নয় বছর বললেও শেষ হবে না, তবুও মোটামুটিভাবে মুক্তিযুদ্ধের অবিকৃত ও বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাসের রূপরেখা জানা গেল। মুক্তিযুদ্ধের যে ইতিহাস রচনায় বাংলাদেশের পেশাদার ঐতিহাসিকেরা সফল হননি, বাঙালি জাতির বীরত্বগাথা রচনায় বাংলা সাহিত্যিকেরা সার্থক হননি, কারণ বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ ছিল এমনই বিশাল, গভীর ও সর্বব্যাপী যে মহত্ মননশীল বা সৃজনশীল প্রতিভা ছাড়া তা ইতিহাসে বা সাহিত্যকর্মে যথাযথভাবে তুলে ধরা সম্ভবপর নয়। তেমন প্রতিভার দেখা আজও মেলেনি কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ যাঁরা করেছেন, তাঁদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নিয়ে সমষ্টিগত অভিজ্ঞতার সৃষ্টি হয়ে চলেছে মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের অভিজ্ঞতার এই মৌখিক ইতিহাসের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস ও মহাকাব্যের ভিত্তি রচিত হলো, আমাদের বর্তমান বা ভবিষ্যত্ প্রজন্মের কোনো না কোনো মহত্ মননশীল ও সৃজনশীল প্রতিভা এই ভিত্তির ওপর মহান সৌধ গড়ে তুলতে পারবে—এ বিশ্বাস আমাদের রয়েছে।

২০০৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে আমরা এই আশাবাদ ব্যক্ত করতে চাই যে আমাদের বীরদের চরম আত্মত্যাগ বৃথা যেতে পারে না, ৩০ লাখ শহীদের রক্ত কোনোদিন মুছে যাবে না, আমাদের দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জত, এক কোটি শরণার্থী উদ্বাস্তুর চরম মানবিক বিপর্যয়—সর্বোপরি জানা-অজানা লাখ লাখ বীর যোদ্ধার অকুতোভয় সংগ্রাম এবং মহাপরাক্রমশালী শত্রুর শোচনীয় পরাজয় কাহিনী কোনো দিন মিথ্যা হতে পারে না। আমার জানা নেই মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিন অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ও ব্যবস্থাপক নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু এবং মেজর (অব.) শামসুল আরেফিন অনুধাবন করেন কি না যে কত বড় জাতীয় কর্তব্য তাঁরা সম্পন্ন করছেন, চ্যানেল আই কর্তৃপক্ষ উপলব্ধি করে কি না যে তারা কী ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করছে? তাদের অভিনন্দন জানাই।

সূত্র: ১৬ ডিসেম্বর, ২০০৭ সালের বিশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত