বিজ্ঞাপন
default-image

ওখানে নম্রতা ছিল। সবুজের দীর্ঘপথ। আজ দেখি ঊর্ধ্বমুখী উঠেছে দালান

ভূমিদস্যুদের কাছে সত্য নয় শান্তিমেঘ। সত্যি নয় নদী পলি ফসলের গান

জলের অক্ষয় স্মৃতি একদিন লিখেছিল অমরতা, প্রবাহের ঋতু পারাপার

বসতি শান্তির নামে করপুটে কালো বিষ। জলমূল্যে পাখিগুলো হয়েছে পাচার

খ.

দেখে দেখে মুগ্ধ চোখ। তবু যেন শেষ নেই-মেঠোসোনা ফসলের অবিষণ্ন আলো

ক্রমাগত বৃষ্টি যদি। ক্রমাগত রৌদ্রমুখ। কালো-নীলে আকাশের...তা-ও ছিল ভালো

ইটের ভাটিতে রোজ স্তূপাকার বৃক্ষশব। মাটিদলা-ধিকিধিকি আগুনের চাঁই

ওখানে হূদয় পোড়ে। ছায়াগুলো স্বপ্নগুলো বহুদিন পুড়ে পুড়ে হয়ে যাবে ছাই ...

গ.

প্রথাগত দীক্ষা নেই। স্বভাবে লুকানো থাকে রাগ রীতি রোদনের লোকপ্রিয় ভাষা

যৌথ বা একক যদি...কেবলি শান্তির গান। প্রকৃতির পৃষ্ঠাগুলো শান্তিগল্পে ঠাসা

মানুষও নিষ্ঠুর তবে! দেয়ালে দেয়াল ওঠে! অনাকাঙ্ক্ষা, শাখাকাণ্ডে ক্ষতচিহ্ন আঁকা

পাখি নেই। বৃক্ষ নেই। প্ররোচনা, গর্ভবিষ-হূদয়ে নৈরাজ্য নিয়ে যায় না-যে থাকা

ঘ.

নদীর বিস্তার ছিল। মাঠের পশ্চাতে মাঠ। গাছে গাছে ফুটে-থাকা স্বচ্ছ কলরব

শুকনো পাতার পায়ে শুনেছি ঘুঙুরধ্বনি। বহমান বাতাসের গূঢ়ঘূর্ণিস্তব

আসন্ন ঠিকানা ব’লে জলাধারে বালি-ট্রাক। বিকট ছড়াচ্ছে কেউ দখলের ঘ্রাণ

কালো চুল নীল চোখ। আকাশে আকাশ নয়-দালানের উচ্চতাকে করেছি প্রধান

ঙ.

পুঁই-পালংয়ের পাশে হলুদ গাঁদার ভিড়। নুয়ে-পড়া সবুজের গোলাপের হাসি

সকালের ছোট্ট রোদ। ঝরে যাবে। মরে যাবে। উচ্ছ্বসিত-বলেছে সে ‘স্বপ্ন ভালোবাসি’।

বস্তুত বাণিজ্য লোভ। ঠিকানার প্রলোভনে কেউ কেউ হয়ে যাবে ঠিকানাবিহীন

কোথায় শিকড় ছিল, কাদাজলে চিহ্নসুখ! আছে শুধু আচ্ছাদিত জড়বস্তুদিন।

সূত্র: ১৬ ডিসেম্বর, ২০০৩ সালের বিশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত