বিজ্ঞাপন
default-image

একাত্তরের মার্চ মাসে সারা বাঙালি জাতি সমন্বিতভাবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল-‘আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীন নাগরিক।’ সেই সিদ্ধান্ত ঘোষিত হয়েছিল পিলখানায় বাঙালি ইপিআর, রাজারবাগে বাঙালি পুলিশ, চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টে বাঙালি সিপাইদের রাইফেলের গুলির শব্দে। ঢাকার রাস্তায়, চট্টগ্রামের জেটিতে খালি হাতে পাকিস্তানি ট্যাঙ্ক, কামান, মেশিনগানের সামনে যারা রুখে দাঁড়িয়েছিল, তাদের রক্তেই স্বাধীনতার ঘোষণা লেখা হয়েছিল। দেশের প্রতি শহরে, প্রতি গ্রামে, প্রতি মহল্লায় প্রায় সব মানুষ এক মন, এক প্রাণ হয়ে শপথ নিয়েছিল-‘আমরা স্বাধীন’। এর ব্যতিক্রম ছিল অতি মুষ্টিমেয় দাসমনা, পাকিস্তানি প্রভুদের পদলেহনকারী।

এর পরের নয় মাসের যুদ্ধ দখলদার বাহিনীর হাত থেকে স্বাধীন দেশকে মুক্ত করার। এই উদ্দেশ্য সফল হয়েছে অনেক অশ্রু, অনেক রক্তের বিনিময়ে। ইতিহাস গড়ে ওঠে একদিকে দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের, অন্যদিকে নিষ্ঠুর অত্যাচার ও বর্বরতার।

প্রতিটি স্বাধীনতা দিবসে আমাদের স্মরণ করতে হবে এই ইতিহাস। স্মরণ করতে হবে একাত্তরের ২৫ মার্চের কালো রাতে নিউমার্কেটে, লঞ্চঘাটে, বিশ্ববিদ্যালয়ে, বস্তিতে বস্তিতে যাদের রাইফেলের গুলিতে, কামানের গোলায়, মশালের আগুনে ঘুমের মধ্যে হত্যা করা হয়েছিল। স্মরণ করতে হবে সেই ছাত্রদের ও শ্রমিকদের, যারা নিজ দেহ দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করে পাকিস্তানি ট্যাঙ্ককে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। স্মরণ করতে হবে কয়েক লাখ শিশু, নারী, যুবক, বৃদ্ধ যারা নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের বলি হয়েছিল চট্টগ্রামের পাহাড়ে, সিলেটের হাওরে, নোয়াখালীর চরে, রাজশাহীর বিলে আর দিনাজপুরের আকাশ-ছোঁয়া মাঠে। নতুন করে প্রতি বছরই স্মরণ করতে হবে, গভীর রাতে যাদের দুয়ারে বুটের লাথি পড়েছে, যাদের আর্তনাদ অসংখ্য বধ্যশালায় চিরদিনের মতো বন্ধ হয়ে গেছে, ইজ্জত-লুণ্ঠিত যে নারী স্বেচ্ছামৃত্যুবরণ করেছে, নয়তো উন্মাদ হয়ে গেছে-তাদের সবাইকে। স্মরণ করতে হবে সেই সব পিতামাতা, পুত্র-কন্যা-স্ত্রীকে যারা প্রিয়জনের জন্য একটু মুখ খুলে কাঁদতে পর্যন্ত পারেনি।

দুই

স্বাধীনতার জন্মলগ্নে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের তাদের এই সদ্য স্বাধীন দেশটি কেমন হবে সেই বিষয়ে একটা প্রত্যাশা ছিল। সেই প্রত্যাশায় ছিল জাতীয় ঐকমত্যের প্রতিফলন।

সেই ঐকমত্য দেশ থেকে বিদেশী দখলদার বাহিনীকে বিতাড়িত করতে হবে, ভবিষ্যতে আর কোনো বিদেশী আমাদের শাসন ও শোষণ করতে পারবে না-শুধু এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। স্বাধীন দেশের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি ও আদর্শ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ব্যবস্থাপনা সমের্কও একটি বিশ্বাস ছিল।

সবার বিশ্বাস ছিল স্বাধীন বাংলাদেশ হবে সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক দেশ, প্রতিষ্ঠিত হবে শোষণমুক্ত একটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থা, যেখানে মানবাধিকার নিশ্চিত করা হবে, যেখানে প্রতিটি মানুষের অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিত্সাসহ জীবনধারণের মৌলিক উপকরণ প্রাপ্তি নিশ্চিত করা হবে। আরো প্রত্যাশা ছিল যে, স্বাধীন বাংলাদেশের সকল নাগরিক হবে আইনের চোখে সমান, প্রত্যেকের মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে, প্রত্যেকের জান ও মালের নিরাপত্তা থাকবে। সেসব প্রত্যাশা, সেসব বিশ্বাসের যতটুকু অর্জিত হয়েছে, আর না হলে কেন হয়নি, স্বাধীনতার পর তিন দশকেরও বেশি সময় পেরিয়ে এসব প্রশ্ন প্রতিটি নাগরিকের মনে আসা স্বাভাবিক। আমরা কী চেয়েছি আর কী পেয়েছি তার হিসাব করতে হয়।

অগ্রগতি অবশ্যই কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে মোটামুটি সমতা রেখেই কৃষি উত্পাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। শিক্ষিতের হার কিছুটা বেড়েছে। রাস্তাঘাট অনেক বেড়েছে। চরম দারিদ্র্যের প্রকোপ সামান্য হলেও কমেছে। আমরা আর বিদেশীদের দ্বারা প্রত্যক্ষভাবে শাসিত ও শোষিত হচ্ছি না-দেশের মানুষই এই কাজগুলো করছে।

স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের প্রায় আধাআধিই কেটেছে প্রত্যক্ষ সামরিক শাসন অথবা বেসামরিক লেবাস পরা সামরিক শাসকের অধীনে। বাকি সময়টা এক ধরনের গণতন্ত্রের বহিরঙ্গ থাকা সত্ত্বেও বাস্তবে বেসামরিক একনায়কত্বের আওতায়। দুই আমলেই মৌলিক মানবাধিকার আক্রান্ত ও বিপন্ন হয়েছে। দুর্নীতি ও কুশাসন সর্বগ্রাসী রূপ নিয়েছে। সর্বত্রগ্রাসী সন্ত্রাসের প্রকোপে জনজীবন বিপর্যস্ত। অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও তার ফলে সমগ্র সমাজব্যবস্থা অসম থেকে অসমতর হয়েছে। একদিকে চরম দারিদ্র্য অন্যদিকে ন্যায়-অন্যায় পথে অর্জিত সমেদর সহাবস্থান হয়ে উঠেছে উত্কট।

স্বাধীনতার প্রভুত্বে এ দেশের মানুষ এমন একটা সন্ত্রাসআক্রান্ত, দুর্নীতিপীড়িত, কুশাসনে জর্জরিত দেশ ও সমাজ নিশ্চয়ই চায়নি।

এই অবস্থা থেকে দেশ ও জাতি কীভাবে বেরিয়ে আসবে, কীভাবে স্বাধীনতার ঊষালগ্নের প্রত্যাশাকে বাস্তবে রূপ দেবে, আজকের স্বাধীনতা দিবসে এই প্রশ্ন।

তিন

স্বাধীনতা সংগ্রামে জয়ী হয়েও জাতি হিসেবে আমাদের একটা বিরাট ব্যর্থতা যে, একাত্তরের পাকিস্তানি দস্যুদের ও তাদের স্থানীয় দোসরদের কোনো বিচার হয়নি। নিঃসন্দেহে তাদের বর্বরতা নািস জার্মানির, কসোভোতে সার্বিয়ানদের, চিলিতে পিনোচেটের বর্বরতাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। নািস বর্বরতার অনেক হোতাদের বিচার ও শাস্তি হয়েছে। অর্ধ শতাব্দীর অধিক সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরও তাদের খোঁজা অব্যাহত ছিল। আন্তর্জাতিক আদালতে কসোভোর হত্যাযজ্ঞের অপনায়কদের বিচার হচ্ছে। দেশে না হলেও বিদেশের আদালতে পিনোচেটকে তার অপরাধের জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে। এসব অপরাধীর মানবতাবিরোধী সকল অপকর্মের ওপর নথি তৈরি হয়েছে।

আমাদের দুর্ভাগ্য যে, বাংলাদেশে একাত্তরের বর্বরতার নায়কদের কোনো বিচার হলো না, কোনো শাস্তি হলো না। শাস্তি দূরে থাক হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ, লুণ্ঠনের এই পাশবিকযজ্ঞের কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ পর্যন্ত রাখা হলো না। কেন এই ব্যর্থতা তার কোনো ব্যাখ্যা কেউ কোনোদিন দিল না। এই ব্যর্থতার জন্য কাউকে জবাবদিহি করতে হলো না।

একাত্তরের রক্তেভেজা দিনগুলোতে যখন পাকিস্তানি নির্যাতনকেন্দ্রে শিকারদের চিত্কারে রাতের অন্ধকার খান খান হয়ে যেত, মনে মনে বলতাম, ‘এর বিচার হবে।’ অত্যাচারে বিকৃত নারী ও শিশুদের মৃতদেহ নদী দিয়ে ভেসে যেত, নিঃশব্দে উচ্চারণ করতাম, ‘এর বিচার হবে।’ দাউ দাউ আগুনে গ্রাম-বস্তি ভস্ম হয়ে যেতে দেখতাম, সারা অন্তর দিয়ে প্রতিজ্ঞা করতাম, ‘এর বিচার হবে।’ কিন্তু সেই বিচার কোনো দিন হলো না।

বিচার দূরে থাক, একাত্তরের সেই বর্বরতার কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ, নথিপত্র কিছুই নেই। তাই আজ এসবের হোতা সেইসব পাকিস্তানি সেনানায়করা বড় বড় বই লিখে দাবি করছে, ‘সব মিথ্যা কথা। আমরা মাত্র ন্যূনতম শক্তিপ্রয়োগ করেছি বিদ্রোহ দমনের জন্য। হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিকাণ্ডের এসব কাহিনী বানোয়াট। সত্য হলে সাক্ষ্য-প্রমাণ কই?’ তাদের এদেশী দোসররাও একই কথা বলে। বিচারের পরিবর্তে তারা অনেকে দেশের, সমাজের উঁচুস্তরে স্বচ্ছন্দে বিচরণ করছে।

চার

তবে পাকিস্তানি হানাদারদের বর্বরতার সাক্ষ্য-প্রমাণ, তথ্যাদি সংগ্রহের চেষ্টা যে একেবারেই হয়নি, তা নয়। যতদূর জানা যায়, বাহাত্তরের ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতেই স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন সরকার এই উদ্দেশ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এই কমিটির করণীয় হিসেবে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো নির্ধারিত হয় :

ক. ১৯৭১ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বর্বর পাকিস্তান বাহিনী ও তার স্থানীয় দালালদের হাতে জান ও মালের যে ক্ষতি হয়েছে, সে সমের্ক যথাযথ পরীক্ষা-নিরিক্ষাক্রমে পূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা।

খ. যথাসাধ্য সম্ভব প্রতিটি হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের জন্য দোষী নির্ধারণ করা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে প্রবীণ পুলিশ কর্মকর্তা (প্রয়াত) এ রহিমকে নিয়োগ দেওয়া হয়। কমিটিতে অন্যান্য সদস্যের মধ্যে ছিলেন তত্কালীন জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক খুরশীদ আলম এমসিএ (কুমিল্লা), মাহমুদুল হাসান খান এমসিএ (বগুড়া), আবদুল হাফিজ এমসিএ (যশোর) ও ন্যাপ নেতা (প্রয়াত) মহীউদ্দীন আহমদ। ১৫ নিউ বেইলি রোডে কমিটির কার্যালয় স্থাপিত হয়।

কমিটির পক্ষ হতে তদন্তাধীন বিষয় সমের্ক তথ্যাদি সরবরাহের জন্য কয়েকবার রেডিও, টেলিভিশন ও সংবাদপত্রের মাধ্যমে জনসাধারণের কাছে আবেদন জানানো হয়। কমিটি প্রধানত মাঠপর্যায়ে কার্যরত সরকারি কর্মকর্তাদের ও শিক্ষাকর্মীদের সাহায্যে এলাকাভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে সেই বছরই সেপ্টেম্বর মাসের দিকে একটি খসড়া রিপোর্ট প্রস্তুত করে। কিন্তু কোনো রহস্যজনক কারণে সেই খসড়া আর চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত হয়নি।

পাঁচ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে পা দিয়েই ঘোষণা করেছিলেন, ‘একাত্তরের সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে।’ কিন্তু তা সত্ত্বেও বিনা বিচারেই সকল যুদ্ধবন্দি পাকিস্তানি সেনা ও সেনাপতিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। বিচারের জন্য তথ্য ও সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহের কাজটি আংশিকভাবে সমঙ্ন্ন করা হয়েছিল। এ সমের্ক বাংলাদেশে তত্কালীন ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনার জে এন দীক্ষিত তার লিবারেশন অ্যান্ড বিয়ন্ড বইতে লিখেছেন, ‘যুদ্ধবন্দি পাক সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১১৮ জনের বিরুদ্ধে অকাঠ্য সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছিল। কিন্তু তার কোনো ব্যবহার হয়নি, কোথায় গেল কেউ জানে না।’

এই স্বাধীনতা দিবসে সরকার দেশ ও বিদেশের খ্যাতনামা আইন-বিশারদদের নিয়ে একাত্তরের গণহত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠনের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য একটি কমিশন গঠনের ঘোষণা দিতে পারে।

এই কমিশনের দায়িত্ব হবে বাহাত্তরের রহিম কমিটির রিপোর্ট এবং জে এন দীক্ষিতের উল্লিখিত ১১৮ জন যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে সংগৃহীত তথ্যসহ অন্যান্য তথ্য-প্রমাণ খুঁজে বের করে সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচারের কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে সমের্ক সুপারিশ রাখা।

আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিও এখন এই ধরনের উদ্যোগের জন্য আগের তুলনায় অনেক অনুকূল। আজ এই নীতি স্বীকৃত যে, যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ থাকলে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও গণহত্যাবিরোধী আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় অপরাধী যেখানেই থাকুক, অপরাধ যত আগেরই হোক, তার বিচার করা যাবে। একাত্তরে বাংলাদেশে পাকিস্তানি ও তাদের স্থানীয় দোসরদের অপরাধ টহরাবত্ংধষ ঔঁত্রংফরপঃরড়হ-এর আওতায় পড়ে। ফলে পৃথিবীর যেকোনো দেশে তাদের বিচার হতে পারবে।

কিছুদিন আগে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধ বিচারের অন্য আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (ওহঃবত্হধঃরড়হধষ ঈত্রসরহধষ ঈড়ঁত্ঃ) গঠন করা হয়েছে। পৃথিবীর ১২০টি দেশ একমত হয়ে এই কোর্ট স্থাপন করেছে। উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান ও ইসরায়েলসহ মাত্র সাতটি দেশ এর বিরোধিতা করেছে। কারণ সহজেই বোধগম্য। এই দেশগুলোর ভয়, পৃথিবীর দেশে দেশে এই ১২টি রাষ্ট্রের মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে ইতিহাস আছে, তাতে তাদের অপকর্মের জন্য এই আদালতে বিচারের দাবি উঠতে পারে।

এই স্বাধীনতা দিবসে এমন একটি পদক্ষেপই হবে যাদের রক্তের আর ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা আজ ‘স্বাধীনতা দিবস’ উদযাপন করছি, তাদের স্মৃতি ও অবদানের প্রতি জাতির শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার প্রমাণ।

সূত্র: ২৬ মার্চ ২০০৩ প্রথম আলোর "স্বাধীনতা দিবস" বিশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত