বিজ্ঞাপন
default-image

দ্বিজাতিতত্ত্বের ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ, লাহোরে প্রস্তাবের বিকৃতির মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে প্রতারণা করে পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়। জন্মের পর পাকিস্তান সরকার দমন ও নির্যাতনমূলক রাষ্ট্রে পরিণত হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। অন্যদিকে বঞ্চিত বাঙালি নির্বাচিত হয়েও দেশ পরিচালনায় সুযোগ না পেয়ে একাত্তরে ফুঁসে ওঠে। লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগের ফসল বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে শাসকদের সমুচিত জবাব দেয়।

সত্তরের নির্বাচন বানচালের চেষ্টা

পাকিস্তান সামরিকচক্রের সবচেয়ে ভীতি ছিল নির্বাচন ও এর ফলাফলের ভিত্তিতে বেসামরিক সরকার গঠন। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট জয়ী হয়ে সরকার গঠন করলেও কয়েক দিনের মাথায় তাই বাতিল করা হয়। অনিচ্ছা সত্ত্বেও ১৯৭০ সালে সামরিক সরকার সর্বজনীন ভোটাধিকারের ভিত্তিতে নির্বাচন দিয়েছিল। পাকিস্তানের শাসকেরা গোয়েন্দা রিপোর্টে ‘ইসলাম-পসন্দ’ ও পাকিস্তানের সংহতির পক্ষের দলের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা দেখে। পাকিস্তানি জেনারেলদের লেখা বইয়ে এসব দলকে নির্বাচনের প্রাক্কালে অর্থ সহায়তার কথাও উল্লেখ আছে।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় এবং প্রথা মোতাবেক ক্ষমতা হস্তান্তর করলে পশ্চিম পাকিস্তানিদের শাসনের বিদায়ঘণ্টা বাজার সম্ভাবনা থেকে শুধু জেনারেল ইয়াহিয়া খান নন পাকিস্তানের সামরিক-বেসামরিক আমলা, রাজনীতিবিদেরা বাঙালির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে বিপক্ষে ছিলেন। পশ্চিম পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের বাঙালি-বিদ্বেষী মতৈক্য দেশকে চরম অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেয়।

বাঙালির বিরুদ্ধে সমরসজ্জা

এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে ১ মার্চ ১৯৭১ জেনারেল ইয়াহিয়া গণপরিষদ অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। এর প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে ঘোষণা করেন অসহযোগ আন্দোলন। সরকারের বিভিন্ন বিধিনিষেধ, কারফিউ ভঙ্গ করে এর প্রতিবাদে ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে পড়ে। শুধু ঢাকা ও চট্টগ্রামে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর গুলিতে ৪ মার্চ পর্যন্ত ১১৩ জন মারা যায়। দিন দিন মৃত্যুসংখ্যা বাড়তে থাকে। পাকিস্তান সরকারও বড় ধরনের অপারেশন এবং বাঙালির জনযুদ্ধকে মোকাবিলা করার জন্য যুদ্ধ-উপযোগী সামরিক কাঠামো তৈরি করে। ৭ মার্চ লে. জেনারেল টিক্কা খানকে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ও ইস্টার্ন কমান্ডের কমান্ডার নিযুক্তির পর মূলত গণহত্যার পরিকল্পপনা শুরু হয়। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বাড়তি অস্ত্র আনার কাজ মার্চের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যেই সম্পন্ন হয়। নিয়মিত ৮০ হাজার সেনা ছাড়াও পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আনা হয় ২৪ হাজার রেঞ্জার্স ও মিলিশিয়া। আরও ছিল ২৪ হাজার বেসামরিক সশস্ত্র বাহিনী। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে অনেকে এর পক্ষে চলে এলে এই শূন্যতা পূরণে পাকিস্তানিরা গড়ে তুলল শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর, আলশামসসহ বিভিন্ন সহযোগী বাহিনী, যাদের সংখ্যা ছিল প্রায় ৫০ হাজার।

পাকিস্তানি বাহিনীর দোসররা পাকিস্তান ও ইসলাম রক্ষার নামে নির্বিচারে হত্যা, লুট, চাঁদাবাজি, প্রতিশোধ, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, অস্থিরতা সৃষ্টি করে। মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতাকামীদের সরাসরি হত্যা কিংবা ধরিয়ে দেয় পাকিস্তানি বাহিনীর কাছে। স্বাধীনতার উষালগ্নে বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে এসব বাহিনীর সহযোগিতায় পাকিস্তান সরকার বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার চেষ্টা চালায়।

অপারেশন সার্চলাইট

২৫ মার্চ রাতে শুরু হয় পৃথিবীর নৃশংসতম গণহত্যা। পাকিস্তানি বাহিনী সূচনা করেছিল দখলদারির নিষ্ঠুর অভিযান। রাজনৈতিকভাবে সংকট নিরসনে ব্যর্থ হলে কোন ধরনের সামরিক অভিযান পরিচালিত হতে পারে, তা আগেই স্থির করে রেখেছিল সামরিক জান্তা। এ কারণে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করার পর পর প্রণীত হয় ‘অপারেশন ব্রিত্স’, যাতে ‘শক অ্যাকশন’-এর সুপারিশ করা হয়। বাঙালির দুর্বার অসহযোগ আন্দোলনের ব্যাপকতা লক্ষ করে এ পরিকল্পনায় আরও নিষ্ঠুরতা ও শঠতার বিষয় যুক্ত করে অপারেশন সার্চলাইট প্রণীত হয়। এতে বলা হয়েছিল, ‘অপারেশন পরিচালিত হবে শক অ্যাকশনের সঙ্গে চরম ধূর্ততা, আকস্মিকতা, ধোঁকাবাজি ও ক্ষিপ্রতার সমন্বয়ে। এতে ইয়াহিয়া খান আলোচনা চালাবেন এবং সাফল্যের ভান দেখাবেন।’ অন্যদিকে ব্যর্থতার সব দায় আওয়ামী লীগের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়।

একটি সরকার ও তার সেনাবাহিনী নিজ নাগরিকদের ওপর নিষ্ঠুর, বিবেকহীন হত্যাযন্ত্রে রূপান্তরিত হতে পারে পাকিস্তান হচ্ছে এর একমাত্র দৃষ্টান্ত। আর নিষ্ঠুরতম এই গণহত্যা পরিচালনার শীর্ষ ব্যক্তিরা ছিলেন ইয়াহিয়া, লে. জেনারেল টিক্কা খান, মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা, ব্রিগেডিয়ার আরবাব, মেজর জেনারেল পীরজাদা ও রাও ফরমান আলী।

গণহত্যা

বাঙালির মুক্তিযুদ্ধকে প্রতিহত ও পাকিস্তানকে টিকিয়ে রাখতে দখলদার পাকিস্তান বাহিনী নয় মাস চালায় ব্যাপক গণহত্যা, নৃশংস, ধ্বংসযজ্ঞ, লুটপাট, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ। মার্চ মাসে পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণ ছিল অতর্কিত এবং সময় ছিল ৪৮ ঘণ্টা। কিন্তু তাদের ধারণা মতো বাঙালিকে দমনের বদলে তাদের প্রতিরোধ আরও শক্তিশালী হলে এপ্রিলে গণহত্যার দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হয়। এ হত্যাযজ্ঞ ছিল মারাত্মক, গভীর ও অনিয়ন্ত্রিত। সন্ত্রাসের মাধ্যমে সমগ্র দেশে হানাদার বাহিনী ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় সেনারা ট্যাংক, সাঁজোয়া যান, যুদ্ধজাহাজ, গানবোট, যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে নির্বিচারে হত্যা চালায়। এপ্রিলে শান্তি কমিটি, পরের মাসে রাজাকার বাহিনী গঠন করে শুধু শহরে নয়, গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে পাকিস্তানি বাহিনী।

সামরিক অধ্যাদেশে দেশ শাসন

সারা দেশে রাজনৈতিক তত্পরতা নিষিদ্ধ, আওয়ামী লীগ বেআইনি ঘোষণা ছাড়াও বাঙালির স্বাধীনতাস্পৃহাকে দমনের জন্য সামরিক বিধির মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়। যদিও এই বিধি অসহযোগ আন্দোলন দমনের জন্য ১ মার্চ থেকেই জারি শুরু হয়। ১ মার্চ দেওয়া সামরিক বিধিতে পাকিস্তানের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে পত্রপত্রিকা, বইয়ে ছবি ছাপা ও লেখা হলে সর্বোচ্চ ১০ বছর শাস্তি, ১০ মার্চ সামরিক বাহিনীর চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টিকারীর বিরুদ্ধে শাস্তি বিধান, ১৩ মার্চ কোনো সরকারি কর্মচারী বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকলে ১০ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করে।

তবে ২৫ মার্চ টিক্কা খান ১৫টি সামরিক বিধি জারি করে পূর্ব পাকিস্তানে সব রাজনৈতিক তত্পরতা, মিছিল, সমাবেশ নিষিদ্ধ, প্রেস সেন্সরশিপ আরোপ, সব স্বেচ্ছাসেবক (মুক্তিবাহিনী) নিষিদ্ধ করেন। ২৭ এপ্রিল রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ক্ষতি সাধনের জন্য মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সামরিক আইন প্রশাসক ইয়াহিয়া খান সামরিক আইনের দুটি বিধানে পাকিস্তানের সংহতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ঘোষণা দেন।

এই বিধিগুলো থেকে এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের বদলে বল প্রয়োগকে সরকার সমাধানের পথ হিসেবে বেছে নিয়েছে।

শ্বেতপত্র: মিথ্যাচারের দলিল

বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করতে পাকিস্তান ৫ আগস্ট একটি ‘শ্বেতপত্র’ প্রকাশ করে। এতে সশস্ত্রবাহিনীর মধ্যে বিদ্রোহ সংঘটনের মাধ্যমে পূর্ব বাংলার স্বাধীনতা অর্জনের জন্য আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ কীভাবে দেশে অশান্তি, সন্ত্রাস, বিদ্রোহ সৃষ্টি এবং অবাঙালি জনগোষ্ঠীকে নির্বিচারে হত্যা করছে তার খতিয়ানও এতে রয়েছে। এই ‘শ্বেতপত্র’-এর মাধ্যমে সামরিক বাহিনীর গণহত্যাকে বৈধতা দেয়। আওয়ামী লীগকে হেয়প্রতিপন্ন করা, এর প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘দেশদ্রোহিতার’ অপরাধে বিচার বৈধতা দেওয়ার জন্য এই দলিলটি প্রতিটি পত্রিকায় ছাপা হয়।

বাঙালিরা এটি প্রত্যাখ্যান করলেও পাকিস্তান তার দূতাবাস ও প্রচারমাধ্যমে ফলাও করে তা প্রচার করে। বহির্বিশ্বে অবশ্য এটি কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা সৃষ্টি করতে পারেনি।

বঙ্গবন্ধুর বিচার

শুধু বাঙালির স্বাধীনতার স্পৃহার বাস্তবায়নের দল আওয়ামী লীগকে ধ্বংস নয়, এর প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলানোর প্রচেষ্টা আগরতলা মামলা থেকে পাকিস্তান সরকার চালিয়ে যায়। আরও একটি সুযোগ মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সরকার পায়। ২৫ মার্চ রাতে গ্রেপ্তারের পর পাকিস্তানে বঙ্গবন্ধুকে নয় মাস বন্দী রাখে। ২৬ মার্চ রাতেই ইয়াহিয়া সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাত্কারে ‘শেখকে মরতে হবে’ ঘোষণা দেন। তাঁর বিরুদ্ধে ১২টি অভিযোগের মধ্যে ছয়টিতেই মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। ১১ আগস্ট বিচার শুরু হয় এবং ৪ ডিসেম্বর তাঁর ফাঁসির রায় ঘোষিত হয়। যদিও বহির্বিশ্বের চাপে সরকার এ রায় কার্যকর করতে ব্যর্থ হয়।

পুতুল সরকার

বহির্বিশ্বকে সামরিক সরকার বিভ্রান্ত করতে জেনারেল টিক্কা খানের বদলে সেপ্টেম্বর মাসে ইয়াহিয়ার উপদেষ্টা ডা. আবদুল মোতালিব মালিকের নেতৃত্বে ১০ সদস্যবিশিষ্ট মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজনীতিবিদদের নিয়ে তথাকথিত বেসামরিক মন্ত্রিসভা গঠন করে। তারা সামরিক জান্তার পক্ষ নিয়ে বাঙালির বিরুদ্ধে দাঁড়ান এবং বিভিন্ন বিবৃতি, বক্তৃতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখেন। রাজাকার, আলবদর, শান্তি কমিটি এবং মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সব কর্মকাণ্ড ও সমাবেশে অংশ নিয়ে সংকট নিরসনের বদলে সংকটকে ঘনীভূত করেন।

১৪ ডিসেম্বর গভর্নর হাউসে বিমান আক্রমণ হলে ডা. মালিক মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করে।

বাঙালির চূড়ান্ত বিজয়: পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ

১৯৭১ সালের নভেম্বরে তৃতীয় সপ্তাহ থেকে পাকিস্তানি বাহিনী কোণঠাসা হয়ে পড়ে। ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তান বিমানবাহিনী অতর্কিতে বিভিন্ন ভারতীয় বিমানঘাঁটিতে হামলা চালালে শুরু হয় সর্বাত্মক যুদ্ধ। ৮-৯ ডিসেম্বর কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী শহর ভারত-বাংলাদেশের যৌথ বাহিনী দখল করে নেয়। বিশেষ বিমানযোগে ঢাকা থেকে ব্রিটিশ ও অন্যান্য বিদেশি ঢাকা ত্যাগ করতে থাকেন। ১১-১২ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়া, খুলনা, রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, সিরাজগঞ্জ মুক্ত হলে যৌথ বাহিনী ঢাকার দিকে এগিয়ে আসে। পরের দিনগুলোতে ঢাকায় বিমান হামলা অব্যাহত রাখে। চারদিক থেকে ঢাকা ঘিরে ফেলে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী। অবশেষে ১৫ তারিখেই পাকিস্তানি বাহিনী চূড়ান্তভাবে আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেয়।

নয় মাসের দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটিয়ে বাঙালি জাতির জীবনে ১৬ ডিসেম্বর নতুন প্রভাত নিয়ে আসে। লে. জেনারেল নিয়াজির নির্দেশে ভোর পাঁচটা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। ওই দিনই পৌনে পাঁচটা ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় অধিনায়ক লে. জেনারেল আমীর আবদুল্লাহ নিয়াজি বাংলাদেশ-ভারত যৌথ কমান্ডের পূর্বাঞ্চলীয় অধিনায়ক লে. জেনারেল জগজিত্ সিং অরোরার কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপপ্রধান গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার।

এই আত্মসমর্পণের মাধ্যমে শেষ হলো পাকিস্তানের ২৪ বছরের স্বৈরশাসন, পৃথিবীর মানচিত্রে অঙ্কিত হলো নতুন দেশ, বাংলাদেশ।

ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন: অধ্যাপক, ইতিহাস বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সুত্র: ২৬ মার্চ ২০১৪ প্রথম আলোর "স্বাধীনতা দিবস" বিশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত