‘কিন্তু আমি কী-ই বা করতে পারি’—মানুষের এ ধরনের কথা শুনে শুনে আমি ক্লান্ত। পাশাপাশি ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশে পত্রিকাগুলোর অনীহার কারণে বিকল্প উপায়ে বিষয়টির প্রতি মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করাটা জরুরি হয়ে পড়ে। কাজেই কনসার্টের চেয়ে চলমান যুদ্ধের প্রতি বেশি মনোযোগ আকর্ষণের জন্য বিশেষভাবে লেখা হয় ‘বাংলাদেশ’। লিওন রাসেল আমাকে পরামর্শ দেন গানের শুরুতেই ঘটনাটা ব্যাখ্যা করার জন্য, যেন আমি কিছু করি: একটি ধীরগতির অবতরণিকা। তাঁর পরামর্শ গ্রহণ করলাম এবং এটাকে সংক্ষিপ্তভাবে প্রকাশ করলাম:
এল একদিন বন্ধু আমার
চোখভরা তার ধু ধু হাহাকার
বলে গেল, চাই শুধু সহায়তা
দেশ তার আজ ধুঁকে ধুঁকে মরে...
রবিশংকরই আমার সেই বন্ধু।
I. Me. Mine থেকে ঈষৎ সংক্ষেপিত,
পৃষ্ঠা ২২০
বাংলাদেশ
জর্জ হ্যারিসন
বন্ধু আমার এল একদিন
চোখভরা তার ধু ধু হাহাকার
বলল কেবল সহায়তা চাই
বাঁচাতে হবে যে দেশটাকে তার
বেদনা যদি বা না-ও থাকে তবু
জানি আমি, কিছু করতেই হবে
সকলের কাছে মিনতি জানাই আজ আমি তাই
কয়েকটি প্রাণ এসো না বাঁচাই
বাংলাদেশ, বাংলাদেশ
দেখছি সেখানে সকলই ধ্বস্ত
কত শত প্রাণ মরে নিঃশেষ
দেখিনি এমন বেদনা অশেষ
তোমরা সবাই দু হাত বাড়াও আর বুঝে নাও
মানুষগুলোকে সহায়তা দাও
বাংলাদেশ, বাংলাদেশ
দেখিনি কখনো এত দুর্যোগ
দেখছি সেখানে সকলই ধ্বস্ত
দেখিনি কখনো এত দুর্ভোগ
দোহাই তোমরা ফিরিও না মুখ, বলো এই কথা
মানুষগুলোকে দেব সহায়তা
বাংলাদেশ, বাংলাদেশ
মনে হবে সে তো কোন সীমানায়, আমরা কোথায়
কী করে বা একে ছুড়ে দিই ফেলে
এত যে বেদনা রাখি দূরে ঠেলে
দেবে না তোমরা ক্ষুধিতকে রুটি সামান্য দুটি
মানুষগুলোকে সহায়তা দাও
অনুবাদ: সাজ্জাদ শরিফ
সূত্র: ২৬ মার্চ ২০১১ প্রথম আলোর "স্বাধীনতা দিবস" বিশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত