আবার আবার সেই শব্দ শুনি আজ।
গটমট পায়ের আওয়াজ
গনগনে সীসের সাঁ সাঁ
হাওয়ার হা হা
বারুদের গন্ধ ভেসে আসে
বেড়া দেয়া চারপাশে।
সেই জিভে লালাঝরা
চোখে মুখে আগুন ছড়িয়ে পড়া।
বাণিজ্যের ঠোঙা হাতে
ঢুকেছিল যে হাভাতে
লুটেরা, এশিয়া আফ্রিকায়
মসলা, সোনা, হীরে আর ফসলের জমির আশায়,
তারা ফিরে আসে।
আর এক লেবাসে।
তেল আর গ্যাসের ব্যাপারী।
জিম্মাদারী করে তার সাত সমুদ্দুর।
যত দূর চোখ যায় বন্দরে বন্দরে
ঘোরে তার ধান্দাবাজ
হাজার জাহাজ আজ মৃত্যু শেল কাঁধে
অবাধে বীরের মহড়ায়।
হায়, একদিন
অর্বাচীন কিশোর বয়সে
ঘরে বসে মনের দূরবীন পেতে
ঘোড় সওয়ারদের যেতে দেখে ভেবেছি ওদের
কামানের গোলাগুলি যদি পৃথিবীর বালি খুঁড়ে
মরুভূমি জুড়ে বুনতে পারত ধান।
সে স্বপ্নের অবসান দেখে যেতে হবে
এভাবে, কখনও তো ভাবিনি।
জানি আমাদের মতো
আনত দেশেই
কিছু নেই মানুষের দাম।
কিন্তু যারা অবিরাম যে কোন ফিকিরে
মানবতার জিকিরে আকাশ ফাটায়,
আদত শেখায় দিনরাত আমাদের,
তাদের খাতায় মানুষের খুলি এত শস্তা—
তা জানা ছিল না।
মগর গয়ের মুলুকের
মানুষের কাবাব এমন খাস্তা
আর তার রক্তে হোলিও এমন জমে!
এটাই কি দাঁড়াবে নিয়মে?
সূত্র: ২৬ মার্চ ২০০৩ প্রথম আলোর "স্বাধীনতা দিবস" বিশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত