বিজ্ঞাপন
default-image

মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে আমি আগরতলা হয়ে কলকাতায় যাই। সেখানে যাওয়ার পর আমার প্রতিদিনের কাজ ছিল সকালে বাংলাদেশ মিশনে যাওয়া এবং বিভিন্ন রণাঙ্গনের খবর নেওয়া। যুদ্ধ কত দিন চলবে তা জানা নেই। কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে ঘোরাঘুরির সময় খবর পেলাম, ক্যাপ্টেন হাফিজ ভাই (বীর বিক্রম, পরে মেজর) বনগাঁ সীমান্তে আছেন। তিনি আমার খুব পরিচিত। ঢাকা মোহামেডান ক্লাবে আমরা একসঙ্গে খেলতাম। ১৯৭০ সালে একসঙ্গে পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে ইরান সফরে গেছি। হাফিজ ভাই আমার দুই বছরের সিনিয়র। তাঁরও বাড়ি বরিশালে, আমারও।

হাফিজ ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য একদিন বনগাঁয় গেলাম, কিন্তু তাঁর সঙ্গে দেখা হলো না। একটা শিবিরে দেখা হলো ফুটবল খেলোয়াড় হাকিম ও হাসানের সঙ্গে। তারা আমাকে দেখে উৎফুল্ল হলো। বনগাঁ থেকে ফিরে আসার সময় আবার মুক্তিযোদ্ধাদের (প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট) ক্যাম্পে গেলাম। একজন বললেন, এক সপ্তাহ পর এলে ক্যাপ্টেন হাফিজের দেখা পাবেন।

বনগাঁ থেকে কলকাতায় ফিরে শুনি (আমি ছিলাম প্রতাপের [প্রতাপ শংকর হাজরা] বড় ভাইয়ের বাসায়), পিন্টু ভাই ও আলী ইমাম এসেছিলেন। তাঁরা আমাদের (প্রতাপ ও আমাকে) পরদিন সকাল ১০টায় বাংলাদেশ মিশনে গিয়ে দেখা করতে বলেছেন। পরদিন যথাসময়ে সেখানে গেলাম। দেখি, পিন্টু ভাই, আলী ইমাম, তানভীর মাজহার তান্নাসহ আরও কয়েকজন বিভিন্ন জায়গার ফুটবল খেলোয়াড় উপস্থিত। তাঁরা সংক্ষেপে যা জানালেন, তা হলো বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে তাঁরা অনুমোদন পেয়েছেন যে প্রচারণা এবং জনগণের সমর্থন লাভের জন্য বাংলাদেশের একটি ফুটবল দল গঠন করা হবে। ঢাকার ও অন্যান্য এলাকার অনেক খেলোয়াড় ভারতে এসেছে। তাদের নিয়েই এই দল গঠন করা হবে।

তাঁরা আরও জানালেন, ভারতের বিভিন্ন শহরে প্রদর্শনী ফুটবল খেলে যা আয় হবে তা সরকারকে দেওয়া হবে। শুনে আমাদের খুব ভালো লাগল যে খেলোয়াড়েরা যুদ্ধক্ষেত্রে না হলেও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদের কিছু অবদান রাখতে পারবেন। এর পরের কয়েক দিন গেল সাংগঠনিক কাজে। বিভিন্ন স্থানে খেলোয়াড়দের খোঁজখবর নিতে কয়েক দিন কেটে গেল।

এক সপ্তাহ পর আমি ও প্রতাপ হাফিজ ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য বনগাঁয় গেলাম। সেদিন আমাদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল। তাঁর সঙ্গে দেখা হলো। হাফিজ ভাইয়ের কাছ থেকে শুনলাম যুদ্ধের অনেক কথা। একপর্যায়ে হাফিজ ভাই আমাকে বললেন যুদ্ধে যোগ দিতে। তাঁর কথায় আমি সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গেলাম। কিন্তু কলকাতায় ফিরে আসার পর অনেকে বলল, সম্মুখযুদ্ধে না গিয়ে খেলোয়াড়দের যে ভূমিকার চেষ্টা চলছে, সেটাও দেশের জন্য কম হবে না। কী করব ভেবে পাচ্ছিলাম না। সত্যি বলতে কি, ইতস্তত ভাব আমার মনেও ছিল।

দুই-তিন দিন পর আবার গেলাম বনগাঁয়। হাফিজ ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর একপর্যায়ে তিনি বললেন, যুদ্ধক্ষেত্রে নিয়মিত সেনাদের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অফিসার সংকট খুব প্রকট। তাই তিন-চার দিনের মধ্যে উচ্চমাধ্যমিক পাস তরুণদের মধ্য থেকে অফিসার নেওয়া হবে। তাঁদের স্বল্প প্রশিক্ষণ দিয়ে মুক্তিবাহিনীর বিভিন্ন দলে নিয়োগ দেওয়া হবে। আমি ইচ্ছে করলে যোগ দিতে পারি। তাঁর কথাতেই আমি প্রথম বাংলাদেশ ওয়ার কোর্সে যোগ দিলাম।

প্রশিক্ষণ চলাকালে এক সন্ধ্যায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান শুনছি। হঠাৎ ঘোষণা হলো, বাংলাদেশ কতৃ‌র্পক্ষ শরণার্থী শিবির আর মুক্তিযোদ্ধাদের শিবিরে অবস্থানরত ফুটবল খেলোয়াড়দের সংঘবদ্ধ করে একটা ফুটবল দল গঠন করবে। সে জন্য বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা খেলোয়াড়দের একত্র করা হচ্ছে। খবরটা শুনে আমার খুব ভালো লাগল। দু-একজন আমাকে জিজ্ঞেস করল, ‘নবী ভাই, আপনি যাবেন না?’ আমাদের প্রশিক্ষকদের মধ্যেও খবরটা পৌঁছে গেল। তাঁরাও আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, আমি যাব কি না। আমার উত্তর ছিল খুবই সাধারণ, রণাঙ্গনে যাওয়াটা আমাদের বোধ হয় বেশি জরুরি। এটা নিয়ে খুব একটা ভাবলাম না। প্রশিক্ষণের ওপরই মনোনিবেশ রাখতে চেষ্টা করলাম।

কয়েক দিন পর একদিন বিকেলে মেজর আসোয়ান থাপা আমাকে তাঁর মেসে ডেকে পাঠালেন। দু-একটি কথা বলার পর আমাকে বললেন, কাল সকালে তুমি কলকাতায় যাচ্ছ। আমি খুবই আশ্চর্য হয়ে গেলাম। জিজ্ঞেস করলাম, কেন? তিনি উত্তরে জানালেন, তোমাদের সদর দপ্তর থেকে অনুরোধ এসেছে, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের প্রথম খেলা দুই দিন পর, তুমি তাতে খেলবে এবং খেলার পর আবার ফিরে আসবে। খবরটা শুনে আমার আনন্দ কীভাবে প্রকাশ করব বুঝতে পারলাম না। আমি কোনো কিছু বলার আগেই তিনি আবার জানালেন, ভোর সাতটায় কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার যোশীর গাড়িতে তুমি যাবে। তোমাকে বাগডোগরা সামরিক বিমানঘাঁটিতে নামিয়ে দেওয়া হবে। ওখান থেকে তোমার কলকাতায় যাওয়ার সব বন্দোবস্ত করা আছে।

তাঁর কাছ থেকে ফেরত আসতেই সবাই আমাকে ঘিরে ধরল। ‘আমাকে কেন ডেকেছে?’ অফিসার্স মেস এলাকায় কোনো ক্যাডেটের যাওয়া নিষেধ ছিল। আমি ওদের জানালাম, আগামীকাল ভোরে আমি কলকাতায় যাচ্ছি স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলে প্রথম ম্যাচ খেলার জন্য। শুনে সবাই হইচই করে উঠল। অনেকের মুখে আবার প্রশ্ন, ‘নবী ভাই, তুমি আবার ফেরত আসবে তো?’ আমি বললাম, ‘অবশ্যই’। একটা ভিন্ন আনন্দ আর অনুভূতিতে সারা রাত ঘুমোতে পারলাম না। খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে প্রস্ত্তত হয়ে নিলাম। সবাই শরীরচর্চার পোশাক পরে মাঠে যাচ্ছে আর আমি শার্ট-প্যান্ট পরে বের হলাম। একজন জেসিও আমাকে সঙ্গে নিয়ে ব্রিগেডিয়ার যোশীর গাড়ির সামনে দাঁড় করালেন। কয়েক মিনিটের মধ্যে তিনি এলেন এবং গাড়ি চালাতে শুরু করলেন। তাঁর পাশের সিটে বসলেন জেসিও। আমি আর দুজন সেনা পেছনে বসলাম। ব্রিগেডিয়ার যোশী প্রচণ্ড গতিতে গাড়ি চালিয়ে আমাকে বিমানঘাঁটিতে পৌঁছে দিলেন।

বিকেলের দিকে বিমান ব্যারাকপুরে নামল। দাপ্তরিক কাজ শেষে একজন ভদ্রলোক আমাকে তাঁর সঙ্গে আসতে বললেন। তিনি ছিলেন বেসামরিক পোশাকে। আমাকে একটি জিপে বসিয়ে তিনি ব্যারাকপুর থেকে নিয়ে গেলেন ফোর্ট উইলিয়ামে। ফোর্ট উইলিয়াম পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের সদর দপ্তর, এখানে তিনি একজন কর্তব্যরত শিখ অফিসারের কাছে পৌঁছে দিলেন। ওই অফিসার আমার ওখানে যাওয়ার বিষয়ে জানতেন। তিনি আমাকে বললেন, ‘তোমাদের খেলা আগামীকাল। খেলার পরদিন অর্থাৎ পরশু সকাল সাতটায় তুমি আবার আমার অফিসে আসবে। তখন আমি তোমার মূর্তিতে ফেরত যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেব। সবকিছু ঠিক করা আছে, ঠিক সকাল সাতটায় রিপোর্ট করবে।’ আবার একটু তামাশা করে বললেন, ‘তুমি ফেরত যাবে তো, নাকি ফুটবল দলের সঙ্গে থেকে যাবে?’ আমি উত্তর দিলাম, ‘আমি প্রশিক্ষণে ফেরত যাব।’ ওটাই মুখ্য।

তখন প্রায় সন্ধ্যা হয় হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন ভদ্রলোক আমাকে একটা জিপে করে বাংলাদেশের তৎকালীন সদর দপ্তর ৮ নম্বর থিয়েটার রোডে নিয়ে গিয়ে মেজর চৌধুরীর কাছে হস্তান্তর করলেন। মেজর চৌধুরী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা। সিলেটের অধিবাসী, অবসর জীবন যাপন করছিলেন। একাত্তরে আবার মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছেন এবং মুক্তিবাহিনীর সদর দপ্তরে কর্নেল ওসমানীর সঙ্গে কাজ করেছেন। আমাকে বসিয়ে দু-একটা টেলিফোন করলেন। পরে আমাকে বললেন, আমি যেতে পারি। তবে পরশু দিন যেন সকাল সাতটায় অবশ্যই ফোর্ট উইলিয়ামে ডিউটি অফিসারের কাছে রিপোর্ট করি। আমি তাঁর অফিস থেকে বের হয়ে একটা ট্যাক্সি নিয়ে আমহার্স্ট স্ট্রিটে প্রতাপের বড় ভাইয়ের বাসায় এলাম। বাসায় পৌঁছতেই সবাই খুব খুশি হলো। মাসিমা জানতেন, আমি হয়তো আসতে পারি। তখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে। প্রতাপ বাসায় নেই। সন্ধ্যার কিছু পর প্রতাপ, কায়কোবাদ আর সালাহউদ্দিন এল। আমরা সবাই একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আনন্দ প্রকাশ করলাম।

ভোরবেলা কৃষ্ণনগরের ট্রেন ধরার জন্য শিয়ালদহ স্টেশনে এলাম। স্টেশনে এসে দেখি ২০-২৫ জন ঢাকার প্রথম বিভাগের খেলোয়াড়। তার মধ্যে ঢাকা মোহামেডানের ছয়-সাতজন। পিন্টু ভাই আমাদের দলের অধিনায়ক। তানভীর মাজহার তান্না আমাদের ম্যানেজার, ননীদা (ননী বসাক) আমাদের কোচ। সবাইকে কাছে পেয়ে খুবই ভালো লাগল। আমরা যথাসময়ে কৃষ্ণনগরে পৌঁছালাম।

দুপুরে খাওয়ার পর বিশ্রাম নিয়ে বিকেল চারটার দিকে মাঠে উপস্থিত হলাম। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল বনাম কৃষ্ণনগর একাদশের মধ্যে প্রদর্শনী ফুটবল খেলা। মাঠে প্রচুর দর্শক সমাগম হয়েছে। অনেক দিন পর মনে হচ্ছিল, ঢাকা স্টেডিয়ামের দর্শকপূর্ণ মাঠে এসেছি। ঢাকা স্টেডিয়ামে মোহামেডানের খেলা মানেই দর্শকপূর্ণ গ্যালারি আর চরম উত্তেজনা। মাঠে নিজেদের মনে হতো রাজা আর জিতলে মহারাজা।

মাঠে নেমে আমরা বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করলাম। তারপর আমাদের পতাকা উত্তোলন করা হলো এবং বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হলো। আমরা সবাই একই সুরে গাইলাম, ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’। নিজের জাতীয় পতাকা তার সঙ্গে জাতীয় সংগীত। সে এক ভিন্ন অনুভূতি, প্রকাশের ভাষা আমার নেই, প্রায় সবার চোখেই পানি আসছিল। বুকের গভীরে অনুভব করছিলাম এক প্রচণ্ড আলোড়ন এবং আনন্দ।

জীবনে বহুবার ঢাকাসহ সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে, পশ্চিম পাকিস্তানে এবং বিদেশের মাটিতে ফুটবল খেলেছি, অনেকবার জয়ী হয়েছি, অনেকবার হেরে গেছি। কিন্তু আজকের এই আনন্দের মতো কিছুই লাগেনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের একটি অংশীদার হয়ে থাকতে পারার গৌরব ভিন্ন। এটাকে আজও হৃদয় দিয়ে অনুভব করি। আবেগে আপ্লুত হয়ে যাই, বুকে ভিন্ন শিহরণ জাগায়।

স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচয়ের পালা শেষ হলে খেলা শুরু হলো। লোকের চিৎকারে বুঝতে পারলাম, কাছাকাছি শরণার্থী শিবির থেকে বহু বাংলাদেশি খেলা দেখতে এসেছে। এত কষ্টের মধ্যেও আমাদের দেশের সাধারণ মানুষকে কিছু আনন্দ উপহার দিতে পেরে ভালো লাগল। খেলায় প্রথমে আমরা এগিয়ে ছিলাম। পরে ওরা সমতা আনে। খেলা ২-২ গোলে শেষ হয়। আমি ছিলাম গোলরক্ষক। আমার স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারিনি। আর আমার অনেক দিন অনুশীলন ছিল না, সেটাও একটা কারণ। যা-ই হোক, খেলার ফলাফল নিয়ে খুব মাথা ঘামাইনি আমরা। একটা দেশের পতাকা তুলে সে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছি এবং বিভিন্ন মাধ্যমে এর প্রচার হয়েছে, সেটাই আমাদের বড় জয়। সেই দুর্যোগময় মুহূর্তে বাংলাদেশের পরিচিতি এবং এই প্রচার খুবই প্রয়োজন ছিল। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল ছিল তার একটি অংশ। আমি এরপর আর কোনো খেলায় অংশ নিতে পারিনি। আমাকে রণক্ষেত্রে চলে যেতে হয়েছিল। তবে পরে শুনেছি, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল ভারতের বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলে বেশ কিছু অর্থ সরকারি তহবিলে জমা দেয়। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল তৈরির জন্য যাঁরা সার্বিক সাহাঘ্য ও সহযোগিতা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা সারা জীবন থাকবে।

আমি ছাড়া স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলে অন্যান্য খেলোয়াড় যাঁরা ছিলেন, তাঁরা হলেন: ১. মো. জাকারিয়া পিন্টু (অধিনায়ক), ২. প্রতাপ শংকর হাজরা (সহ-অধিনায়ক), ৩. আইনুল হক, ৪. শাহজাহান আলম, ৫. আলী ইমাম (প্রয়াত), ৬. মো. কায়কোবাদ, ৭. সুভাষ সাহা, ৮. অমলেশ সেন, ৯. শেখ আশরাফ আলী, ১০. এনায়েতুর রহমান খান, ১১. শেখ মনসুর আলী লালু (প্রয়াত), ১২. সাইদুর রহমান প্যাটেল, ১৩. বিমল কর, ১৪. শেখ তসলিম উদ্দিন, ১৫. আবদুল মমিন জোয়ারদার, ১৬. ফজলে সাদাইন খোকন, ১৭. কাজী সালাহ উদ্দিন (তূর্য হাজরা), ১৮. কে এম নওশেরুজ্জামান, ১৯. আমিনুল ইসলাম সুরুজ, ২০. নিহার কান্তি দাস, ২১. লুৎফর রহমান, ২২. গোবিন্দ কুণ্ডু, ২৩. আবদুল হাকিম, ২৪. সঞ্জিত কুমার দে, ২৫. মজিবুর রহমান, ২৬. আবদুস সাত্তার, ২৭. মুনিরুজ্জামান পেয়ারা, ২৮. মাহমুদুর রশিদ, ২৯. অনিরুদ্ধ, ৩০. তানভীর মাজহার তান্না (ম্যানেজার), ৩১. ননী বসাক (কোচ)।

এ ছাড়া বিভিন্ন কাজের ব্যস্ততার জন্য সভাপতির দায়িত্ব পরিবর্তিত হয়।

১। প্রথম সভাপতি সামসুল হক ২। দ্বিতীয় সভাপতি আশরাফ আলী চৌধুরী ৩। তৃতীয় সভাপতি এম এ চৌধুরী (কালু ভাই)।

খেলা শেষ হতেই কোনো রকমে হাত-মুখ ধুয়ে আমি ছুটলাম রেলস্টেশনে। আমাকে ট্রেন ধরতে হবে কলকাতায় যাওয়ার জন্য। পরদিন সকাল সাতটায় ফোর্ট উইলিয়ামে রিপোর্ট করতে হবে বাগডোগরার বিমানের জন্য।

মেজর জেনারেল (অব.) খোন্দকার মো. নূরুন্নবী: মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়।

সূত্র: ২৬ মার্চ ২০১২ প্রথম আলোর "স্বাধীনতা দিবস" বিশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত