বিজ্ঞাপন
default-image

সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যাপক ভিত্তিতে গবেষণা প্রয়োজন। দেশে যতটুকু গবেষণা হয়েছে তা অপ্রতুল, আংশিক ও খণ্ডিত। মুক্তিযুদ্ধের সময় যে এক কোটি শরণার্থী ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন, সেখানকার মানুষ তাঁদের মুখে খাবার তুলে দিয়েছিলেন, সেই ইতিহাস কোনো গ্রন্থে পাওয়া যায় না।

গতকাল শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সংগঠনটির ১২তম দ্বিবার্ষিক আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে দেশ-বিদেশের শতাধিক ইতিহাসবিদ, শিক্ষক ও গবেষক অংশ নেন। দুদিনব্যাপী এ সম্মেলনের মোট ১২টি অধিবেশনে বিভিন্ন গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হচ্ছে।

সম্মেলনে প্রথমা থেকে প্রকাশিত ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল: অবরুদ্ধ ৬৮ বছর বইয়ের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ গোলাম রব্বানীকে বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ পুস্তক পুরস্কার প্রদান করা হয়। গোলাম রব্বানীর পক্ষে তাঁর স্ত্রী পুরস্কারটি গ্রহণ করেন।

default-image

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, মুক্তিযুদ্ধের যে ক্ষেত্র রয়েছে, বিভিন্ন দিক রয়েছে, সেগুলো এখনো অনাবিষ্কৃত। এগুলো সঠিকভাবে লিখতে হবে। যদি সঠিকভাবে লেখা না হয়, তাহলে ইতিহাস অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। দেশের বুদ্ধিজীবী এবং গবেষকদের ব্যাপক অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই ইতিহাস রচনা করতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের অস্তিত্বের লড়াইয়ের ইতিহাস দীর্ঘদিনের। এটি একদিকে যেমন আমাদের বাঙালি হিসেবে ঐতিহ্য ও অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই, অন্যদিকে আমাদের অধিকার আদায়ের লড়াইও বটে।’

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিনির্মাণ ও সংরক্ষণে দেশের সব পর্যায়ের ইতিহাসবিদদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ বাঙালি সংস্কৃতির মানুষকে ঐক্যবদ্ধ রেখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের সহসভাপতি অধ্যাপক আবদুল মতিন সরকার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান
আবদুল মান্নান। সূচনা বক্তব্য দেন আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী।