বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১

একের পর এক আবেদন করে আসামিপক্ষ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ অকার্যকর করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ গতকাল সোমবার তিনি এই অভিযোগ করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জেয়াদ-আল-মালুমের অপসারণ চেয়ে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযম ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর করা দুটি আবেদনের ওপর শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল।আইন বিশেষজ্ঞ প্রবাসী আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে ট্রাইব্যুনাল-১-এর পদত্যাগী চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের স্কাইপে কথিত কথোপকথনের সংবাদপত্রে প্রকাশিত অংশে কয়েকবার জেয়াদ-আল-মালুমের নাম উল্লেখ রয়েছে।

তিনি গোলাম আযম ও সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা দুটির রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি। গত ১৯ ডিসেম্বর মালুমের অপসারণ চেয়ে আবেদন করেন সাকা চৌধুরীর আইনজীবী ফখরুল ইসলাম। ১০ জানুয়ারি গোলাম আযমের পক্ষে একই ধরনের আবেদন জমা দেওয়া হয়।

গতকাল এ দুটি আবেদনের শুনানি একসঙ্গে হয়।সংবাদপত্রে প্রকাশিত স্কাইপ কথোপকথন উদ্ধৃত করে শুনানিতে গোলাম আযমের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম বলেন, জেয়াদ-আল-মালুম ট্রাইব্যুনাল-১-এর সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রবাসী আইন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে গোপন আঁতাত ও যোগসাজশ করেছেন।

তিনি মামলা পরিচালনা করলে আসামি ন্যায়বিচার পাবেন না।এরপর এ বিষয়ে যুক্তি দেন সাকা চৌধুরীর প্রধান আইনজীবী আহসানুল হক। একপর্যায়ে অ্যাটর্নি জেনারেল ট্রাইব্যুনালকে বলেন, ‘তাঁরা (আসামিপক্ষ) এই ট্রাইব্যুনালকে অকার্যকর করার চেষ্টা করছেন। তাঁরা একের পর এক আবেদন করছেন, যেগুলো নিষ্পত্তির জন্য অনেক সময় নষ্ট হচ্ছে।’ তাঁর এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

পরে শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এই আবেদনগুলোও পুনর্বিচারের আবেদনের মতো একই ধরনের। গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিচার হবে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ এবং এর সঙ্গে সংযুক্ত একাত্তরের পত্র-পত্রিকা, নথিপত্র ও তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে। মালুম কি এসব নথিপত্রের কোনোটি তৈরি করতে পারবেন? তাঁর বক্তব্যের বিরোধিতা করেন মিজানুল ইসলাম।পরে এই আবেদন দুটির শুনানি আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি করেন ট্রাইব্যুনাল।ফখরুলকে নোটিশ: সাকা চৌধুরীর আইনজীবী ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে গতকাল কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল-১। তাঁকে ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।বর্তমান ট্রাইব্যুনালের সদস্যদের সঙ্গে আহমেদ জিয়াউদ্দিনের যোগাযোগ ছিল বা আছে কি না, তা জানতে চেয়ে ফখরুল ইসলামের করা আবেদনের বিষয়ে গতকাল ট্রাইব্যুনাল আদেশ দেন। আদেশে বলা হয়, অসৎ উদ্দেশ্যে আবেদনটি করা হয়েছে। বিচারকের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানতে চাওয়া কেন ট্রাইব্যুনালের জন্য অবমাননাজনক হবে না, ফখরুল ইসলামকে তাঁর জবাব দিতে হবে।