বিজ্ঞাপন
default-image

মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম হত্যাকাণ্ডে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তাদের ধারণা, হত্যার পেছনে দুটি কারণ রয়েছে। কুমিল্লার মুরাদনগরে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় প্রতিপক্ষ জাহাঙ্গীরের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। অথবা ছিনতাইকারীর হামলার শিকার হতে পারেন তিনি।

গত বৃহস্পতিবার ভোরে রাজধানীর ধলপুরে বাসার কাছে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম। এ ঘটনায় তাঁর ছেলে দিদারুল আলম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় হত্যার কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি।

যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিছুর রহমান গতকাল শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম হত্যায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। হত্যার পেছনে দুটি কারণ রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এর একটি হচ্ছে কুমিল্লার মুরাদনগরে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় প্রতিপক্ষ জাহাঙ্গীরের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। এ ছাড়া ছিনতাইকারীর হামলার শিকার হতে পারেন তিনি। এ ক্ষেত্রে তাঁর যুক্তি হলো, প্যাকেটে থাকা নথিপত্রকে টাকার প্যাকেট মনে করে সেটি ছিনিয়ে নিতে জাহাঙ্গীরকে কোপানো হয়েছে। জাহাঙ্গীরের প্যান্টের পকেটে হাত দেয়নি তারা। তাই টাকা ও মুঠোফোন পকেটে থেকে গেছে। তবে তদন্তে হত্যার প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে।

মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীরের বড় ছেলে দিদারুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের গ্রামের বাড়ি মুরাদনগরের দারোরা ইউনিয়নের পায়ব গ্রামে। তাঁর বাবা মুরাদনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন। তিনি মুরাদনগরে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করে তাঁদের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় তাঁর বাবাকে প্রাণ দিতে হয়েছে। তাঁর বাবার কাছ থেকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন প্রমাণ্য নথিপত্র ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। যাত্রাবাড়ী এলাকায় একটি সিকিউরিটি সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের মালিক ছিলেন তিনি।

পায়ব গ্রামে জানাজা শেষে গতকাল জাহাঙ্গীরের লাশ তাঁর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

সূত্র: ৩ জুন ২০১৭, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪, শনিবার, প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।