বিজ্ঞাপন
default-image

১৯৭১ সালে মো. আবদুল্লাহিল বাকী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলেন। অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে বাকী ৮ মার্চ গভর্নর হাউসে (বর্তমানে বঙ্গভবন) বোমা নিক্ষেপ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। ২৫-২৬ মার্চের প্রতিরোধযুদ্ধেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন তিনি।

বাকী ১৮ এপ্রিল মাকে একটি চিঠি লিখে ভারতে চলে যান। মাকে তিনি লিখেছেন, ‘...দেশের সংকটময় মুহূর্তে আমি ঘরে বসে থাকতে পারি না।’

ভারতের মেলাঘরে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ নিয়ে মে মাসে কয়েকজনের সঙ্গে ঢাকায় ফিরে আসেন বাকী। তাঁরা মতিঝিলের চারটি জায়গায় একযোগে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আবার ভারতে চলে যান। এবার ভারতের চাকুলিয়ায় উচ্চতর প্রশিক্ষণ শেষে বৃহত্তর ঢাকায় গেরিলাযুদ্ধ শুরু করেন। ঢাকা জেলার বিভিন্ন জায়গায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও রাজাকারদের বিরুদ্ধেও তিনি যুদ্ধ করেন। তিনি ছিলেন ইউনিট কমান্ডার।

নভেম্বরের শেষ দিকে বাকী তাঁর দল নিয়ে ঢাকা শহরের উপকণ্ঠে অবস্থান করছিলেন। ৪ ডিসেম্বর রাতে কয়েকজন সহযোদ্ধাকে নিয়ে তিনি খিলগাঁওয়ে তাঁর মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। ফেরার সময় তাঁরা পাকিস্তানি সেনা ও তাদের সহযোগী একদল মুজাহিদের সামনে পড়ে যান। পাকিস্তানি সেনা ও মুজাহিদরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। বাকী ও তাঁর সহযোদ্ধারা পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। বাকী ও তাঁর সহকারী বাবুল গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।

সূত্র: একাত্তরের বীরযোদ্ধা: খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা, প্রথম খণ্ড, প্রথমা প্রকাশন, ঢাকা ২০১২

সম্পাদক: মতিউর রহমান, সংগ্রহ ও গ্রন্থনা: রাশেদুর রহমান