বিজয় দিবস-১৬ ডিসেম্বর
সহস্র ক্ষুধার্ত চোখ-মুখ
এমন একটা সময় ছিল, যখন
প্রায়শই সকালে অথবা বিকেলে
নদীতীরে হেঁটে বেড়াতাম কিংবা আয়েশে
বসতাম একা। বহুদিন থেকে হঠাত্
সেই প্রিয় অভ্যাস কেন যে আমাকে
ত্যাগ করেছে, বুঝতেই পারিনি।
এখন আমি ছোট ঘরের এক কোণে একলা
বসে থাকি। আলসেমির মায়াজালে এভাবে
কত যে বেলা আমাকে ছুঁয়ে কোথায়
মিলিয়ে যায়, বুঝতে পারি না কিছুতে।
বিকেলে দেখি, আমার ঘরের কিনারে
এক নিঝুম জলাশয়ে কতিপয় হরিণ
মুখ ডুবিয়ে জলপানে মগ্ন এবং খানিক
পরে এদিক সেদিক গোয়েন্দার মতো তাকায়।
আচমকা সেই দৃশ্য মুছে গিয়ে দৃষ্টিতে
ফুটে ওঠে কজন বাউলের আসর
এবং লালনের গান চৌদিকে, উত্সুক আকাশে
ছেয়ে যায় এবং একতারা সুর ঝরায়—
সেই সুরে বাউল নর্তক হয়, জ্যোত্স্না নর্তকী। দিগন্তে হঠাত্
মঙ্গা সহস্র চোখ-মুখ হয়ে মানবতাকে শাসায়!
১০/১২/২০০৩
সূত্র: ১৬ ডিসেম্বর, ২০০৩ সালের বিশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত
Also Read
-
সালাউদ্দিন এবার সিনিয়র সহকারী কোচ হয়ে জাতীয় ক্রিকেট দলে
-
ডিজিএফআইয়ের চেয়েও ভয়ংকর ছিল র্যাবের গোপন বন্দিশালা
-
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ
-
প্রথম আলোর চারজনসহ ১৯ সাংবাদিক পেলেন ইআরএফ পুরস্কার
-
নির্বাচিত সরকারই শ্রেষ্ঠ সরকার: মির্জা ফখরুল