বিজয় দিবস-১৬ ডিসেম্বর
যে রোগের নাম আলবদর
বদর বাহিনীর লোকেরা অশিক্ষিত ছিল না। অশিক্ষিত লোক হলে তারা নিরীহ বুদ্ধিজীবীদের ঠান্ডা মাথায় হত্যা করতে পারত না, হয়তো তাদের হাত নড়ে উঠত, বুক কাঁপত, হয়তো বা চোখে আসত পানি।
রাজাকার হয়েছে জীবিকার তাড়নায়, কেউ কেউ প্রাণের দায়ে, অনেক ক্ষেত্রে রাজাকাররা অস্ত্রশস্ত্র ফেলে পালিয়েছে, কোথাও-বা যোগ দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে। রাজাকাররা বুদ্ধিজীবীদের চিনত না। অধ্যাপক, সাংবাদিক, ডাক্তার এঁদের বিষয়ে বিশেষ কোনো মাথাব্যথা ছিল না তাদের। তা ছাড়া অল্প কিছু মানুষই রাজাকার হয়েছিল, দেশের অধিকাংশ গরিব-দুঃখী মানুষ বাংলাদেশকে ভালোবাসত, যে বাংলাদেশকে তারা চিনত তাদের ভালোবাসার মধ্য দিয়ে।
আলবদরদের পরিচয়—তারা খুনি। খুনির কাজ ঘৃণিত কাজ। কিন্তু সাধারণ মানুষ যখন খুনি হয়, তখন তার পেছনে একটা উত্তেজনা থাকে, থাকে কোনো প্রত্যক্ষ ব্যক্তিগত স্বার্থের প্ররোচনা। আলবদরদের খুন শীতল, নৃশংস এবং ব্যক্তিগত স্বার্থের অজুহাত-বিরহিত। তাই এই খুন অনেক বেশি ঘৃণার্হ। শুধু তা-ই নয়, খুনি যখন খুন করে তখন তার মধ্যে একটা অপরাধবোধ থাকে, সে জানে সে অন্যায় করেছে, কিন্তু এই খুনিদের মধ্যে সেটা তো ছিলই না, বরং উল্টোটাই ছিল। তারা মনে করেছে খুন করে তারা মস্ত এক মহৎ কাজ করেছে। আলবদররা খুন করেছে কাকে? খুন করেনি একজন দুজন দশজন এক শজন মানুষকে; তারা খুন করতে চেয়েছিল একটি জাতির সত্তাকে, একটি জাতির বোঝার শক্তিকে, দেখার দৃষ্টিকে, অনুভব করার ক্ষমতাকে, একটি জাতির বিবেককে। তাদের খুনের আহাজারি একটি দুটি দশটি এক শটি পরিবারে ওঠেনি, উঠেছে বাংলাদেশজুড়ে। বদর বাহিনীর লোকেরা ঘৃণ্য অপরাধীমাত্র নয়, তারা নিকৃষ্টতম পাপী।
পাঞ্জাবিরা বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করতে চাইবে এটা বুঝতে কোনো কষ্ট হয় না। বুদ্ধিজীবীরা থাকলে তাঁদের চেঁচামেচিতে পাঞ্জাবিদের পক্ষে বাংলাদেশকে শোষণ করতে বিঘ্ন ঘটে, তাই এই শত্রুকে তারা নির্মূল করতে চাইবে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু শিক্ষিত বাঙালি তরুণ কেন হত্যা করতে গেল বাংলাদেশের সেরা সেরা মানুষকে?
গেল এই জন্য যে এই তরুণেরা সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষ ছিল না। এরা ছিল অসুস্থ, বিকারগ্রস্ত। আর এই রোগ কোনো নতুন রোগ নয়। বাংলাদেশের শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির এবং তার বোধ অনুভব-উপলব্ধি বিস্তৃত এলাকাজুড়ে খুনি আলবদরদের গোপন তৎপরতা আজকের ব্যাপার নয়। গুপ্তহত্যার কাজ তারা অনেক দিন ধরে করছিল। তারা মানুষ হত্যা করেনি হয়তো, কিন্তু হত্যা করতে চেয়েছে মানুষের মুখের ভাষাকে, সাহিত্যকে, সংগীতকে, অগ্রগতির ইচ্ছাকে, প্রগতিশীলতার আস্থাকে। তাদের সেই গোপন তৎপরতারই নগ্নতম, চরমতম ও নৃশংসতম প্রকাশ ঘটেছে তাদের অন্তিম মুহূর্তে। হানাদার সামরিক বাহিনী ৩০ লাখ মানুষ হত্যা করেছে, আলবদররা হত্যা করেছে
কয়েক শ বুদ্ধিজীবী। উদ্দেশ্য একই, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনকে পর্যুদস্ত করে দেওয়া। তফাত এই যে হানাদাররা জানত বাঙালিরা স্বাধীনতার জন্যই লড়ছে, আলবদররা কল্পনা করত যে স্বাধীনতা বুদ্ধিজীবীরা চাইছে, সে স্বাধীনতার অর্থ হচ্ছে পরাধীনতা। কার হাতে? ইসলামবিরোধী শক্তির হাতে।
আলবদররা হঠাৎ করে আকাশ থেকে নামেনি। এই দেশের মাটিতেই দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর ধরে এই অসুস্থ-বিকারগ্রস্ত ঘাতকেরা তৈরি হয়েছে, তাদের ছুরি শাণিয়েছে, গুপ্তহত্যার জন্য হাত তুলেছে। দেশের নিহত বুদ্ধিজীবীদের কথা যখন আমরা স্মরণ করব, তখন যে রোগের নাম আলবদর তার কথাও আমাদের স্মরণ করতে হবে, চিনে নিতে হবে তার লক্ষণ ও বীজাণুগুলোকে, নইলে হয়তো আবার তারা আমাদের ক্ষতি করবে, যেমন করেছে হানাদারদের পলায়নের শেষ মুহূর্তে।
এটা জানা গেছে যে আলবদরদের অনেকেই ছিল মাদ্রাসার ছাত্র। মাদ্রাসা শিক্ষা যে অর্থহীন এ কথা অনেকেই স্বীকার করেন, কিন্তু কেবল অর্থহীন নয়; এ শিক্ষা যে ক্ষতিকর ও বিপজ্জনকও বটে—এই সত্যটা নাটকীয়ভাবে উন্মোচিত হয়েছে বদর বাহিনীর কীর্তির মধ্য দিয়ে। কিন্তু কিছু মাদ্রাসার ছাত্রের একার পক্ষে এই কাজ কখনো সম্ভবপর হতো না।
আলবদরদের একমাত্র জোর ছিল সামরিক বাহিনীর জোর, সেই জোর না থাকলে কোনো সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধার প্রয়োজন হতো না, নিরস্ত্র সাধারণ মানুষই এদের শায়েস্তা করে ফেলত। কিন্তু হানাদার সামরিক বাহিনী তো ছিল রাজাকারদের পেছনেও, তবু রাজাকাররা তো আলবদরদের মতো কাজ করতে পারেনি কোথাও? আসলে আলবদররা প্রস্তুত ছিল এই বাংলাদেশেই; প্রস্তুত হয়ে ছিল, সামরিক বাহিনী ইশারা করামাত্র ঝাঁপিয়ে পড়েছে অস্ত্র নিয়ে, বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ মানুষগুলোর মধ্যে যাঁকেই হাতের কাছে পেয়েছে, তাঁকেই ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে। তাদের ট্রেনিং ১৯৭১ সালের মে কিংবা জুন মাসে শুরু হয়নি। অতি প্রকাশ্যে এবং মহোৎসাহে ট্রেনিং শুরু হয় পাকিস্তান প্রতিষ্ঠারও আগে। ট্রেনিং পাঞ্জাবিরা দেয়নি, এই দেশের লোকেরাই দিয়েছে, শিক্ষিত লোকেরা, সমাজের শীর্ষে অধিষ্ঠিত লোকেরা। যেমন ধরা যাক ফরিদ আহমদের কথা। ফরিদ আহমদ বাংলাদেশে একজন ছিল না, ফরিদ আহমদ অনেক ছিল, নানা জায়গায় ছিল, ছিল রাজনীতিতে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, প্রচারের মাধ্যমগুলোতে, ছিল অতিশয় সুপ্রতিষ্ঠিতভাবে। ফরিদ আহমদ শুনেছি ইংরেজি সাহিত্যের ভালো ছাত্র ছিলেন, ভালো খেলোয়াড় ছিলেন, ছিলেন ভালো বক্তা। কিন্তু ফরিদ আহমদের সব আধুনিকতার অন্তরালবর্তী প্রকৃত মানুষ যেটি, সেটি একটি বিকারগ্রস্ত বিকৃতমনা পঙ্গু কাঠমোল্লা। আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এই কাঠমোল্লার বিসদৃশ উল্লম্ফন ও কর্কশ চিৎকার থেকে থেকে বারবার শোনা গেছে। এই কাঠমোল্লাই কখনো জানিয়েছে যে বাংলা ভাষা পৌত্তলিক, কখনো বলেছে নজরুল ইসলাম ঘোরতর কাফের, বলেছে পয়লা বৈশাখ পালন করা মানে মুসলমানত্বের সর্বনাশ করা, বলেছে শহীদ মিনারের সামনে আলপনা আঁকলে আমরা হিন্দুদের ক্রীতদাস হয়ে পড়ব। বহু শতাব্দী ধরে প্রকৃতির হাতে, বিদেশিদের হাতে আমাদের বন্দিত্বের কদর্য গ্লানি, দারিদ্র্যের হাতে আমাদের সুকঠোর লাঞ্ছনা, যুগ-যুগান্তরে অনড় অন্ধকারের মধ্যে লালিত কুসংস্কার, আমাদের জীবনে শোচনীয় আনন্দহীনতা, অগ্রসর হিন্দু মধ্যবিত্তের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় মুসলিম মধ্যবিত্তের অপারগতা ইত্যাকার সকল প্রকার বিকৃতির দ্বারা ওই কাঠমোল্লা গঠিত। আলবদররা ট্রেনিং পেয়েছে এই খর্বাকৃতির কাঠমোল্লার হাতে।
ফরিদ আহমদের আধুনিকতা ও ধর্মান্ধতার মধ্যে কোনো বিরোধ নেই, তারা একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। আর সেই মুদ্রাটি হচ্ছে বাংলাদেশের জীবন থেকে বিচ্ছিন্নতা। সন্দেহ নেই, এদের পূর্বপুরুষেরাই একদিন বড়াই করত আরব দেশ থেকে এসেছে বলে। বলত, বাংলা নয়, উর্দু হচ্ছে তাদের মাতৃভাষা। পরে এরা ইংরেজি শিখেছে। সেও ওই একই কারণে, নিজেদের আভিজাত্যকে কায়েমি করে রাখার অভিপ্রায়ে। পাকিস্তান আমলে উর্দু ভাষাভাষীদের সঙ্গে দহরম-মহরম করেছে। তাতে একদিকে নগদ অর্থ লাভ ঘটেছে, অন্যদিকে ক্ষমতাবানদের গৌরব থেকে কিছুটা এসে ছিটকে লেগেছে নিজেদের গায়ে। এবং উভয় দিক থেকেই সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে সাধারণ মানুষ থেকে তাদের দূরত্ব অর্থাৎ আভিজাত্য।
এরা সুপ্রতিষ্ঠিত ছিল সমাজের শীর্ষে। সেই শীর্ষ দেশ থেকে নিজেদের এরা জাহির করেছে সমগ্র দেশের পক্ষে অনুকরণীয় আদর্শ বলে—করেছে একাধিক কারণে। একটা কারণ এই যে এরা শিক্ষিত ছিল আলবদরের শিক্ষায়। এদের জীবনে আধুনিকতা যেটুকু তা বাইরের ব্যাপার, ব্যাপার জামাকাপড়, আসবাবপত্রের, বড়জোর বই থেকে মুখস্থ বলার ক্ষমতার। ভেতরে এরা অশিক্ষিত ব্যক্তিদের চেয়েও অন্ধকারাচ্ছন্ন। দ্বিতীয় কারণ হলো ভয়। নতুন যুগ যে এসেছে, সেটা এরা জানত, কিন্তু নতুন যুগকে জায়গা করে দিতে এদের ভীষণ ভয়, কেননা নতুন যুগ এলে এদের প্রতিষ্ঠা কেড়ে নেবে, আভিজাত্য দেবে নষ্ট করে আর ভয় এই যে নতুন যুগের শিক্ষা হয়তো তাদের অতীন্দ্রিয় আজন্ম লালিত ধ্যানধারণা ও শিক্ষাকে একেবারে মিথ্যা করে দেবে। সেই জন্য নতুন যুগের প্রবেশপথে এরা পিঠ দিয়ে দাঁড়িয়েছে এবং নিজেদের অভিলাষের মধ্যে ধারণা করেছে যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ তথা সমাজতান্ত্রিক চেতনা নিয়ে প্রগতিশীলতার যে নতুন যুগ আসছে, সে কিছুতেই জিতবে না।
দেশের অধিকাংশ মানুষ এদের প্রচার-প্রচারণায় কোনো প্রকার আস্থা রাখেনি। নতুন কালকে তারা স্বাগত জানিয়েছে। কিন্তু ওই প্রতিক্রিয়াশীলদের কার্যকলাপ একেবারে বৃথা যায়নি। এদের কাজের মধ্য দিয়েই রোগের বীজাণু সৃষ্টি হয়েছে সেই বীজাণু, যা থেকে জন্ম হয় আলবদররা।
এতটা হতো না যদি না এরা পরিপোষকতা পেত দুটো শক্তির কাছ থেকে। তার একটা হচ্ছে বাংলাদেশের প্রাচীন অন্ধকার, অন্যটা এই দেশের বিদেশি শাসক। বাংলাদেশের অন্ধকার শুধু অজ্ঞানতার নয়, অন্ধকার দারিদ্র্যের, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার, উৎপাদনের সামান্যতার। দীনতা এ দেশের মানুষকে পরস্পর পরস্পরের প্রতি অবিশ্বাসী করে তুলেছে, করে তুলেছে পরস্পর পরস্পরের প্রতি অসহিষ্ণু। তার প্রমাণ পাই সাম্প্রদায়িকতায়, পাই গণতন্ত্রের অনুপস্থিতিতে। দুর্বল ও হতাশ মানুষের পক্ষে আত্মবিশ্বাস থাকার কথা নয়, আমাদের জাগতিক ব্যর্থতা আমাদের হীনমন্য করে তুলেছে, আমরা দৈবে আস্থা রেখেছি এবং ঈশ্বরের অসন্তুষ্টির মধ্যে ব্যাখ্যা পেয়েছি নিজেদের জীবনের সর্ববিস্তারি দৈন্যের। প্রকৃতিকে জয় করা হয়নি, তাই প্রকৃতি থেকে আলাদা করে রাখতে চেয়েছি আমরা নিজেদের, দূরদেশবর্তী অতীতের সুখকল্পনার সাহায্যে। সেই জন্য ধর্মান্ধতা এসেছে, এসেছে নতুন যুগের মূল্যবোধের প্রতি অবিশ্বাস। এসেছে এই বিশ্বাস যে সমাজতন্ত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ধর্মহীনতা।
শিক্ষার সাহায্যে এই রোগের চিকিৎসা হতে পারত। কিন্তু বাংলাদেশের বিদেশি শাসকেরা যে শিক্ষাব্যবস্থা চালু করেছিল, তার প্রকৃত উদ্দেশ্য রোগ সারানো ছিল না, ছিল রোগ বাড়ানো। তার ফলে দেখেছি বড় ডাক্তার গলায় তাবিজ না ঝুলিয়ে স্বস্তি পাচ্ছেন না, বড় ইঞ্জিনিয়ার তাবলিগের কাজে ব্যস্ত থাকছেন। দেখেছি যে কবি একদিন লাশ ও ডাহুকের মতো কবিতা লিখেছিলেন, তিনিই মগ্ন হয়েছেন হায়াত দারাজ খানের পদাবলি রচনায়। অত্যাধুনিক শিক্ষা ও মাদ্রাসার মধ্যে যোগাযোগ শুধু ফরিদ আহমদের জীবনেই ঘটেনি, এ দুইয়ের মধ্যে আসলেই একটা স্বভাবগত ঐক্য আছে। ঐক্য আছে জনজীবন থেকে বিচ্ছিন্নতায়, আনন্দহীনতায়, সম্পদ উৎপাদনব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কহীনতায়। উভয় ব্যবস্থাই শাসকেরা সৃষ্টি করেছে তাদের নিজেদের প্রয়োজনে।
আরও কাজ করেছে শাসকেরা। তারা সক্রিয় সমর্থন দিয়েছে, উৎসাহ দিয়েছে, পুরস্কার দিয়েছে ওই রোগে ভোগা মানুষদের। অসুখকে তারা সুখ বলে, বন্ধনকে তারা ভালো বলে মেনে নিতে প্ররোচনা দিয়েছে। বিরুদ্ধ মতের প্রতি হুমকি দিয়েছে প্রকাশ্যে। ফলে আলবদররা আরও পুষ্ট হয়ে উঠেছে দিনকে দিন। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা না পেলে আলবদররা প্রকাশ্যে মানুষ খুনের কাজে লিপ্ত হতে পারত না কিছুতেই।
এরা এখন পালিয়েছে। কিন্তু যে রোগের নাম আলবদর, সেটা এত সহজে শেষ হবে মনে করলে আমরা মস্ত বড় ভুল করব। রোগটা শক্ত, তার বয়স অনেক, তার চিকিৎসা হয়নি পুরোপুরি। কাজেই আপাতত তাকে না দেখা গেলেও সে আছে। যদি প্রশ্রয় পায়, সে বাড়বে; যদি সুযোগ পায়, আবার সে আক্রমণ করবে বাংলাদেশের বিবেককে, তার বোঝার শক্তিকে, দেখার দৃষ্টিকে, অনুভব করার ক্ষমতাকে।
এই রোগকে যদি আমরা নির্মূল না করি, যদি ধ্বংস না করে দিই এর বীজাণু এবং ব্যবস্থা না নিই যাতে এরা না জন্মে আর কখনো, তবে শুধু যে ব্যর্থ যাবে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু তা-ই নয়, মৃত্যু আমাদের সঙ্গ ছাড়বে না, ভবিষ্যতে হয়তো আবার রক্তের নদী বইবে, আবার ব্যাপক ধ্বংস আসবে জীবনে।
রোগটা, পুনরায় স্মরণ করা যাক, শুধু ধর্মান্ধতা নয়, রোগটার নাম আদর্শগত প্রতিক্রিয়াশীলতা।
দৈনিক বাংলা, বিজয় দিবস সংখ্যা, ১ পৌষ ১৩৭৯
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: লেখক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সূত্র: ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সালের বিশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত
Also Read
-
অভিনেত্রী শমী কায়সার গ্রেপ্তার
-
মার্চ-এপ্রিলে নির্বাচনের দাবিতে কর্মসূচি শুরুর চিন্তা বিএনপির
-
চট্টগ্রামে ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে সংঘর্ষ, ফাঁকা গুলি, সাত পুলিশ সদস্য আহত
-
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ
-
প্রাথমিক ভোট গণনার ফল যে কারণে বিভ্রান্তিকর হতে পারে