বিজয় দিবস-১৬ ডিসেম্বর

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে পাঠানো ঢাকাস্থ মার্কিন কনসাল জেনারেলের তারবার্তা

গ্রিক ট্র্যাজেডির শেষ অঙ্কে যেমন ঘটনা অভিনব কায়দায় মোড় নেয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের শেষ পর্বে পক্ষে-বিপক্ষে জড়িত শক্তিগুলোর মধ্যে তেমনি মোড় নেওয়া লক্ষ করা যায়। তারই সাক্ষ্য বহন করছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের গোপন নথিগুলো। ১৪ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর অবধি পাকিস্তানের আত্মসমর্পণ এবং স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিজয়ী অভ্যুদয়ের পেছনের টানাপোড়েন এ দলিলগুলোর ছত্রে ছত্রে প্রকাশিত। এখানে ‘ফরেন রিলেশনস অব দ্য ইউনাইটেড স্টেটস’ গ্রন্থের ‘সাউথ এশিয়া ক্রাইসিস, ১৯৭১’ থেকে নির্বাচিত অংশের অনুবাদ দেওয়া হলো

বিমান আক্রমণের পরে বিধ্বস্ত ­গভর্নর হাউসের (বর্তমান বঙ্গভবন) অভ্যন্তর

ঢাকা, ১৫ ডিসেম্বর, ১৯৭১, ০৫০০ জেড

৫৬৪৩.১ সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল পল মার্ক হেনরি চেয়েছেন যাতে আমি তাঁর পক্ষ থেকে পাঠানো নিচের বার্তাটি (একেবারে অক্ষরে অক্ষরে নয়) এসওয়াইজির কাছে (জাতিসংঘের মহাসচিব) পৌঁছানোর ব্যবস্থা করি।

বার্তার শুরু: গভর্নর মালেক ও জেনারেল ফরমান আলীর তরফে আমাকে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের দৃঢ় প্রত্যাশা যে, পূর্ব পাকিস্তানে পারস্পরিক হানাহানির অবসান হোক। এ উদ্দেশ্যে ভারত সরকারের সঙ্গে আশু যুদ্ধবিরতির আয়োজন আশা করছেন তিনি—অন্তত দুই ঘণ্টার জন্য হলেও, যাতে উভয়পক্ষের সংশ্লিষ্ট সেনানায়কেরা আলোচনায় বসতে পারেন। প্রেসিডেন্ট পাকিস্তানি সৈন্যদের জন্য সম্মানজনক শর্ত এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা আশা করছেন। এর কী মূল্য না জেনেই বার্তাটি আমি আপনাকে পাঠাচ্ছি, যেহেতু যাচাই করার কোনো স্বতন্ত্র ব্যবস্থা আমার নেই। বার্তা সমাপ্ত।

স্পিভাক

হার্বার্ট ডি স্পিভাক, ঢাকাস্থ মার্কিন কনসাল জেনারেল (জুন ১৯৭১-সেপ্টেম্বর ১৯৭২)

সূত্র: ১৬ ডিসেম্বর, ২০০৭ সালের বিশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত