বিজয় দিবস-১৬ ডিসেম্বর
বীরশ্রেষ্ঠর অমর গাথা
১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাস। মিত্র বাহিনীর অপ্রতিরোধ্য অগ্রাভিযানে বাংলাদেশের সর্বত্র পাকিস্তান বাহিনীর দিশেহারা অবস্থা। মুক্তিবাহিনীর ৭ নম্বর সেক্টর ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর শত্রুমুক্ত করার পরিকল্পনা নেয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরটি মহানন্দা নদীর তীরে অবস্থিত। হানাদার বাহিনী নদীর উঁচু পাড় ধরে সংযোগ মরিচাসহ বাংকার তৈরি করে শক্তিশালী শহর প্রতিরক্ষাব্যূহ তৈরি করেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর তাঁর দল নিয়ে সোনামসজিদ-শিবগঞ্জের পথ ধরে এগোবেন। লেফটেন্যান্ট রফিকের দল রহনপুর-আমনুরা হয়ে শহরের দিকে এগোবেন। অভিযানের নেতা মেজর গিয়াস চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী রাস্তায় অবস্থান নিয়ে রাজশাহী থেকে শত্রুর সহায়তার পথ রুদ্ধ করবেন। মুক্তিবাহিনীর এই অগ্রযাত্রা ও আক্রমণে ভারতীয় গোলন্দাজ বাহিনী গোলন্দাজ-সহায়তা দেবে।
১০ ডিসেম্বর ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর প্রায় দুই কোম্পানি মুক্তিযোদ্ধাসহ সীমান্ত অতিক্রম করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের দিকে রওনা দেন। সন্ধ্যার মধ্যে কানসার্ট হয়ে শিবগঞ্জ পর্যন্ত এলাকা শত্রুমুক্ত করে পরদিন দুপুরের মধ্যে মহানন্দা নদীর উত্তর-পশ্চিম দিকে বারঘরিয়ায় পৌঁছান ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর। কিছুক্ষণের মধ্যে লেফটেন্যান্ট কাইউম ও লেফটেন্যান্ট আউয়ালও তাঁদের দল নিয়ে ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের সঙ্গে যোগ দেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ আক্রমণের জন্য ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিশ্রুত ভারতীয় সহায্য না পাওয়ায় ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর আর দেরি না করে নিজস্ব শক্তি নিয়েই শহর আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন।
১৩ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন অবস্থান থেকে পাকিস্তান বাহিনীর ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করেন। সাঁড়াশি আক্রমণে টিকতে না পেরে মূল প্রতিরক্ষা অবস্থান ছেড়ে পেছনে সরতে শুরু করে পাকিস্তানি বাহিনী। সন্ধ্যায় ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের দল বিভিন্ন পথে শহরের প্রান্তে এসে পড়ে। তিনি নিজেও আকন্দবারিয়া ঘাট দিয়ে নদী পার হয়ে টিকারামপুর এলাকায় পৌঁছান। রাতে প্লাটুন ও সেকশন কমান্ডারদের শহর দখলের পরিকল্পনা ও প্রত্যেকের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর নিজে রেহাইচরকে নিষ্ক্রিয় করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের আরও ভেতরে ঢুকবেন। মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আর তুরফানের দল ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরকে কাভারিং ফায়ার দেবে।
১৪ ডিসেম্বর সকাল আটটায় ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর টিকারামপুর থেকে নদীর পাড় ঘেঁষে এগোতে থাকেন। তিনি ওয়্যারলেস অপারেটর নওশেরকে এগিয়ে গিয়ে শত্রুর খবর সংগ্রহ করতে পাঠান। নওশের ফিরে এসে জানান, শত্রু ২০০-৩০০ গজ পরপর পশ্চিমমুখী কয়েকটি বাংকারে অবস্থান নিয়ে আছে। বাংকার আর সঙ্গের সংযোগ মরিচাগুলো মুখোমুখি আক্রমণ চালিয়ে দখল করা সহজ হবে না বুঝতে পেরে ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর পরিকল্পনায় কিছু পরিবর্তন আনেন। শত্রুকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য তিনি দক্ষিণ দিক দিয়ে অগ্রসর হয়ে ১০টির মতো বাংকার দখল করলেন। এরপর বাকি বাংকারগুলো দখলের জন্য এগোতে থাকেন। পরের ঘটনা বর্ণনা করেছেন ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের সঙ্গে থাকা রবিউল ইসলাম। তিনি স্মৃতিচারণ করেছেন সেই রোমহর্ষক মুহূর্তের:
৫ নম্বর বাংকারের ওপর দাঁড়িয়ে ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর কমান্ড করছেন। তাঁর বাঁ পাশে আমি, ডান পাশ থেকে ১৫-১৬ বছরের এক মুক্তিযোদ্ধা সামনের দালানঘরের দিকে পলায়নরত পাকিস্তানি এক সেনাকে দেখিয়ে বলল, স্যার, পালিয়ে যাচ্ছে। জাহাঙ্গীর ‘ধর ওকে’ বলে সামনে দৌড় দিলেন। একই সময় পেছন থেকে একজন বলল, নিচে শত্রু। আমি পেছনে লাফ দিয়ে দেখি, দুজন পাকিস্তানি সেনা দুটি এলএমজি নিয়ে ক্যানেলের নিচে দুই মুখে পজিশন নিয়ে আছে। আমরা দুজন ওপর থেকে শত্রুকে গুলি করা আরম্ভ করলাম।...আমরা যখন শত্রুকে গুলি করায় ব্যস্ত, তখন অসীম সাহসী, দেশমাতৃকার নিবেদিত সন্তান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তির নায়ক এই বীর মুক্তিযোদ্ধা ছুটে চলেছেন শত্রুকে জীবন্ত ধরার জন্য। তারা ধেয়ে আসা ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরকে জানালা দিয়ে খুব কাছ থেকে গুলি করল। কপালের নিচে গুলি লেগে এপার-ওপার হয়ে গেল।
ঘটনাস্থলেই শহীদ হন ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর। অধিনায়কের অভাবে মুক্তিবাহিনী বাধ্য হয়ে পিছিয়ে আসে। ১৫ ডিসেম্বর মেজর গিয়াস, লেফটেন্যান্ট রফিক, লেফটেন্যান্ট কাইউম একযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আক্রমণ করেন। সকাল ১০টার মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ মুক্ত হয়। ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের লাশ উদ্ধার করে বিকেলে তাঁকে সোনামসজিদ প্রাঙ্গণে সমাহিত করা হয়।
ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের জন্ম ৭ মার্চ ১৯৪৯, বরিশাল জেলার রহিমগঞ্জ গ্রামে। বাবা আবদুল মোতালেব হাওলাদার। বরিশাল থেকে ১৯৬৪ সালে এসএসসি ও ১৯৬৬ সালে এইচএসসি উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পড়াশোনা অসমাপ্ত রেখে ১৯৬৭ সালে যোগ দেন সেনাবাহিনীতে। প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৬৮ সালে ইঞ্জিনিয়ার কোরে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে যোগ দেন।
১৯৭১ সালে ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর পশ্চিম পাকিস্তানে কর্মরত ছিলেন। বাংলাদেশে মার্চ মাস থেকে শুরু হওয়া হত্যাযজ্ঞ সম্পর্কে অধিকাংশ বাঙালি সেনাসদস্যের মতো ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরও প্রথম দিকে কিছুই জানতে পারেননি। বিভিন্ন সূত্র থেকে ধীরে ধীরে তিনি বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে সংবাদ পেতে শুরু করেন। জানতে পারেন যে স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর মন স্থির করেন, তিনি যুদ্ধে যোগ দেবেন। প্রস্তুতি শেষে ৩ জুলাই পাঠানের ছদ্মবেশে তিনি কর্মস্থল ত্যাগ করেন। তাঁর সঙ্গে ছিল আরও তিনজন সহকর্মী—ক্যাপ্টেন সালাহ্উদ্দীন (শহিদ), ক্যাপ্টেন শাহ্রিয়ার আর ক্যাপ্টেন আনাম। সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁরা চলে আসেন কলকাতায়, বাংলাদেশ বাহিনীর সদর দপ্তরে। আগস্ট মাসের মধ্যে ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর ৭ নম্বর সেক্টরে যোগ দিয়ে মহদিপুর সাব-সেক্টরের (সাবসেক্টর ৩) দায়িত্ব নেন। ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর দায়িত্ব নেওয়ার পর এই সাব-সেক্টরের কর্মতৎপরতা সম্পর্কে সেক্টর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী নুরুজ্জামান তাঁর স্মৃতিকথায় লিখেছেন, ‘সৌভাগ্যক্রমে ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর এ সময় (আগস্ট মাস) আমার সদর দপ্তরে এসে যোগ দিল এবং তাকে মহদিপুর সাব-সেক্টরে বদলি করা হলো। মহিউদ্দিন একজন অসাধারণ দেশপ্রেমিক ও যোগ্য প্রশাসক ছিলেন। সাব-সেক্টরটি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে বদলে গেল। তারা দেখিয়ে দিল যে তারা গেরিলা অপারেশনে কত ভালো এবং প্রেম সিং (ব্রিগেডিয়ার, ভারতীয় বাহিনীর পক্ষ থেকে মুক্তিবাহিনীর সমন্বয়ক) ও আমার প্রশংসা অর্জন করল।’
ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর কখনো নিজেকে তাঁর সহযোদ্ধাদের কাছ থেকে নিজেকে আলাদা করতেন না। তাদের সঙ্গেই সব সময় মিলেমিশে থাকতেন। সহযোদ্ধা মেজর এ কাইউম খান লিখেছেন:
জাহাঙ্গীর সহজাতভাবে গেরিলা যোদ্ধা ছিলেন। তিনি মাও ও গুয়েভারা পড়েছিলেন এবং তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন যে একজন গেরিলা হচ্ছে জনসমুদ্রে মাছের মতো। তিনি প্রকৃত অর্থেই তা গ্রহণ করেছিলেন। ‘তোমাকে অবশ্যই সাধারণের সদৃশ হতে হবে, মানুষ যেন সমষ্টি থেকে তোমাকে আলাদা করতে না পারে; শূন্য থেকে এসে আঘাত হানবে আর জনতার মধ্যে হারিয়ে যাবে; তাই তো লুঙ্গি আর গামছা দিয়েই তিনি চালিয়ে নিতেন। মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে আমাদের একমাত্র পার্থক্য ছিল জুতোতে, আমাদের ছিল জাঙ্গাল বুট।’
ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর বেতনের কিছু অংশ নিজের কাছে রেখে বাকি সব টাকা শরণার্থী তহবিলে দিয়ে দিতেন। এভাবে টাকা দিতে উৎসাহিত করতেন অন্য অফিসারদেরও। মৃত্যুকালে তাঁর পকেটে মাত্র কুড়ি টাকা পাওয়া গিয়েছিল। নভেম্বর মাসে এক যুদ্ধে আহত হয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার আগেই কর্তৃপক্ষের অনুমতির অপেক্ষা না করে আবার যুদ্ধের ময়দানে ফেরত চলে আসেন। এ কারণে অনেকে তাঁর ওপর বিরক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু জীবনের চেয়েও দেশের আহ্বান তাঁর কাছে সেদিন বেশি জরুরি বলে মনে হয়েছিল।
ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর চার মাসের যোদ্ধাজীবনে অনেক অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর সে রকম একটি অভিযান সম্পর্কে সেক্টর কমান্ডার বলেছেন:
মহানন্দা নদীর দুপাশে আলীনগর মোকরমপুর থেকে শাহপুর গড় পর্যন্ত প্রায় সাত মাইল বিস্তৃত এলাকায় মুক্তিবাহিনীর প্রতিরক্ষা অবস্থান ছিল। অপর পক্ষে নদীর অপর তীরে শিবরামপুর থেকে রোহনপুর হয়ে বিষ্ণুপুর পর্যন্ত পাকিস্তানি সেনাদের কংক্রিট বাংকারসহ সুদৃঢ় প্রতিরক্ষা অবস্থান ছিল। একাত্তরের ২২ নভেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর ২৫ পাঞ্জাব রেজিমেন্ট মুক্তিবাহিনীর এই প্রতিরক্ষা অবস্থানের ওপর ভোররাতে হামলা চালায়।...পাকিস্তানি সেনারা অতি সহজেই দখল করে নেয় শাহপুর গড়।
শাহপুর গড় থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের পশ্চাদপসরণে আমি অত্যন্ত রাগান্বিত হই এবং লে. রফিককে অবিলম্বে পাল্টা আক্রমণ করে শাহপুর গড় পুনর্দখলের আদেশ দিই। পরিকল্পনা অনুযায়ী সেদিন রাত ১টা ৩০ মিনিটে পাল্টা আক্রমণ শুরু হয়। আক্রমণ শক্তিশালী করতে ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর মেহেদিপুর থেকে তাঁর বাহিনী নিয়ে এসে নৌকাযোগে খাল অতিক্রম করে শাহপুর গড়ের পূর্ব কোনে অবস্থান নেন। তিনি শিবরামপুর, রোহনপুর ও শাহপুর গড়ে একযোগে কামানের গোলা নিক্ষেপ শুরু করেন। আলীনগর মকরমপুর প্রতিরক্ষা অবস্থান থেকে মুক্তিবাহিনীর ৮১ মিলিমিটার মর্টার গর্জে ওঠে।
এখান থেকে শিবরামপুর ব্রিজের অপর প্রান্তে অবস্থিত পাকিস্তানি অবস্থান ও রোহনপুরে অবস্থিত পাকিস্তানি সেনাদের ওপর প্রচণ্ড গোলাবর্ষণ অব্যাহত থাকে। মুক্তিবাহিনীর উদ্দেশ্য ছিল, পাকিস্তানি বাহিনী যাতে ধারণা করে, রোহনপুরেই মূল আক্রমণ হয়েছে। অল্পক্ষণ পরে ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের বাহিনী পূর্ব কোণ থেকে শাহপুর গড় আক্রমণ করে। লেফটেন্যান্ট রফিক, নজরুল, আলতাফ ও ওয়াশিলকে সঙ্গে করে শাহপুরের সম্মুখ ও পশ্চিম দিক থেকে একযোগে আক্রমণ চালান তিনি। প্রায় দেড় ঘণ্টা যুদ্ধ চলার পর পাকিস্তানি সেনারা শাহপুর গড় ছেড়ে বিষ্ণুপুর ও কসবা এলাকায় পালিয়ে যায়।
ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের সাহস ও বীরত্ব সম্পর্কে তাঁর আরেক সহযোদ্ধা মেজর রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর কালাবাড়ি, ছোবরা, কানসাট ও বারঘরিয়া যুদ্ধে বীর নায়ক হয়ে আছেন। একটি মানুষ যে কত সাহসী ও তেজস্বী হতে পারেন, জাহাঙ্গীর ছিলেন তার দৃষ্টান্ত। প্রতিটি যুদ্ধে সবার আগে থেকে তিনি নেতৃত্ব দিতেন।’
ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের মৃত্যুতে মেজর কাইউম লিখেছিলেন, ‘আমি ঘুমাতে পারছিলাম না। যখনি আমি চোখ বন্ধ করি, আমি জাহাঙ্গীরকে দেখতে পাই...হাসছেন। জাহাঙ্গীর, যিনি পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসেন, সকল পার্থিব সুখ-সুবিধা ত্যাগ করেন, কৃচ্ছ্র জীবন যাপন করতে থাকেন, স্বাধীন বাংলদেশের জন্য কঠিন যুদ্ধ করেন, কিন্তু মাত্র দুদিনের জন্য তিনি স্বাধীন বাংলাদেশকে নাগালে পেলেন না। জীবন তাঁর প্রতি সুবিচার করেনি!’
১৯৭৩ সালের ডিসেম্বর মাসে জাতি মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরকে সম্মানিত করে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে।
সুলতানা নাজনীন: লেখক
সূত্র: ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সালের বিশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত
Also Read
-
ট্রাম্প-কমলা: কে কোন অঙ্গরাজ্যে এগিয়ে
-
ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে ট্রাম্পের ২০০ পার: এএফপি
-
পেনসিলভানিয়ায় জিতলেই আমরা জিতে যাব: ট্রাম্প
-
বায়ুদূষণে বিশ্বের ১২১ শহরের মধ্যে আজ ১৫তম ঢাকা
-
বাংলাদেশের স্বস্তি নাকি শঙ্কার সিরিজ