বিজয় দিবস-১৬ ডিসেম্বর
দিল্লির বিশ্বসম্মেলনে
একটি খুব উল্লেখযোগ্য ঘটনার কথা মনে পড়ে। ১৯৭১ সালে ১৮-২০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে বাংলাদেশের ওপর এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করেন জয়প্রকাশ নারায়ণ। আমি তখন মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছি। আমার কাছে খবর এল যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এবং তাঁর মন্ত্রিসভা চাচ্ছে যে এই সম্মেলনে বাংলাদেশ পক্ষের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব যেন আমি দিই। তাজউদ্দীনের পক্ষে আসা সম্ভবপর নয়। আমি রাজি হলাম। আমি দিল্লি চলে এলাম। সম্মেলনটি ‘ওয়ার্ল্ড মিট অন বাংলাদেশ’ নামে পরিচিত।
নারায়ণকে প্রচুর সহযোগিতা করেছিল গান্ধী পিস ফাউন্ডেশন। পৃথিবীর ২৪টি দেশ থেকে সম্মেলনে যোগদানের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিনিধি আসেন। ১৬০ জনের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব সভায় ছিলেন।
এ সভার জন্য আমি তেমন প্রস্তুত ছিলাম না। হঠাত্ করেই আমাকে বলতে হয়। সে সময় সে বক্তব্য টেপ করে রাখা হয়। টেপরেকর্ডে ধারণকৃত সভার বিবরণী পরবর্তী সময়ে মুদ্রিত হয়। আমার মনে আছে, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আমার বক্তব্য দেওয়া সময় বহুবার করতালি পড়ে। আমাদের সহায়তার জন্য যখন আহ্বান জানানো হলো তখনো বেশ হাত ওঠে বিভিন্ন দিক থেকে।
আমার জীবন কথা ও বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম, এ আর মল্লিক, আগামী প্রকাশনী, ঢাকা, ২০০৭
সূত্র: ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সালের বিশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত
Also Read
-
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট–পররাষ্ট্রমন্ত্রীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না
-
ইরানের মন্ত্রিসভার বৈঠক, তাবরিজ যাচ্ছেন শীর্ষ কর্তারা
-
রাইসি মারা গেলে কে হবেন ইরানের প্রেসিডেন্ট
-
রাজশাহীতে ৩০ শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ, শিক্ষক গ্রেপ্তার
-
ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে হেলিকপ্টারে যাঁরা ছিলেন