স্বাধীনতা দিবস-২৬ মার্চ
যে অন্তর্ঘাতের দায় এখনও কেউ স্বীকার করেনি
বছরে একবার লিখি, বসন্তে অথবা বরষায়,
কারণ রাইসু চায়, ডেকে বলে, বিশেষ কবিতা সংখ্যা, পদ্য
চাই, পদ্য দিতে হবে।
এবার বর্ষা গেছে না লিখেই, বৃষ্টি ছিল, অ্যায়সা বর্ষণ,
কিন্তু গদ্যময় দিন,
ক্লান্তিহীন, গদ্যের কামলা খেটে চলি...
বছরে একটাও পদ্য না লিখেই কবি পদ কমেন ধরে রাখি
বসন্তে লিখব তবে। বসে আছি। বসন্ত আসে না।
তারপর ঋতুরাজ এসে যান, চাই বা না চাই,
জানালায় তাকিয়ে দেখি, সিএ ভবনের পাশে পুরোনো মসজিদ
তটে পাকুড়ের গাছে
ছোট ছোট পাতলা পাতা, নরম, সবুজ, এমন সবুজ যেন
খোকার দু গাল,
এমন আকার যেন তরুণীর চঞ্চল হূদয়
বসন্তের দখনে বাতাসে, চোখের পাতার মতো কাঁপছে তিত্তির
দিন কাটে আশায় আশায়, রাইসু কবিতা চা’বে, বাত্সরিক
পদ্যখানি লেখা হয়ে যাবে।
কী ব্যাপার রাইসু মিয়া, কবিতা চাবা না? এবার বসন্তে আমি
কবিতা লেখব না?
দিও একটা। রাইসু বলে। তাহলে তো লেখতেই হয়।
বসে থাকি আশায় আশায়। বাইরে বসন্ত দোলে অশ্বত্থের
পাতায় পাতায়।
কবিতা আসে না।
ঘটনা কী? ধরতে পারি না। হাওয়া আছে। চাওয়া আছে।
তাহলে কবিতা নাই কেন?
বুকের ভেতরে নাই হায় হায়, তার জন্যে, কার জন্যে, কারো
জন্যে, হায়...
যেহেতু এটাই পদ্য, এ বছর এই সই, কে আছো কোথায়, দাবি করো এ পদ্যের পেছনের সংগোপন দায়।
সূত্র: ২৬ মার্চ ২০০৩ প্রথম আলোর "স্বাধীনতা দিবস" বিশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত
Also Read
-
প্রত্যাবর্তনের এক অভূতপূর্ব দৃশ্য
-
উই হ্যাভ আ প্ল্যান
-
তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়ে কী বললেন নাহিদ, আখতার, হাসনাত ও সারজিস
-
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তারেক রহমানের দেশে ফেরার খবর, ‘সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী’ বলে উল্লেখ
-
মঞ্চে নির্ধারিত চেয়ারে না বসে প্লাস্টিকের চেয়ারে বসলেন তারেক রহমান